‘আফরিন, আফরিন…’

Slavoj Zizek-এর একটা জোকস আছে Joseph Stalin’রে নিয়া, Underground (1995 film) সিনেমাটাতেও এইরকম একটা সিন আছে। যে, বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে অডিয়েন্স যখন হাততালি দিতে থাকে, তখন স্ট্যালিন বা ওই সময়ের কমিউনিস্ট নেতারা নিজেও হাততালি দিতে থাকেন; যে, উনিও তখন পাবলিকের হইয়া সেইটারে রিকগনাইজ করতেছেন, হাততালি দিয়া হাততালিটারে নিতেছেন।

Coke Studio’র এই গানটাতেও এইরকম একটা ঘটনা আছে। [ Momina Mustehsan চোখের পলক ফেলার ঘটনা তো আছেই, Sudip Bosu Roy  ] মিউজিকের ফিউশন তো করেই কোক স্টুডিও, একটা গানের লিরিকসের সাথে আরেকটা গানের লিরিকসও জোড়া দেয়, কিন্তু এইরকম নতুন লিরিকস ইনসার্ট করার ব্যাপারটা খেয়াল করি নাই আগে। গানটা তো এইরকম যে, আফরিন কতো সুন্দর! আর নতুন লিরিকসে আফরিনও কয়, আরে, তোমার নজর আমারে টাচ করছে বইলাই তো আমি সুন্দর হইছি! [কথা মিথ্যা না, দেখার কেউ না থাকলে আমরা কি সুন্দর হইতে পারতাম!] তখন সবাই আফরিন-এর নামটা জপতে থাকে। এই সেলিব্রেশনটা তো ভালো, কমপ্লিট করে গেইসটারে, রিকগনাইজ করে। যদি ভাবি যে সুন্দর, সেইটা সুন্দর একটা ব্যাপার, বা সুন্দরের ভাবনাটাই আসলে আসল।

তবে একইসাথে ফানটাও মেবি এইটাই, স্ট্যালিন তো আসলে বাধ্য করেন হাততালি দিতে; যে অডিয়েন্স, তার এগজিসটেন্সের মানেই হইতেছে হাততালি দিতে পারাটা। [আরো বাজে অবস্থা ছিল গুলাখে, কামলা তো খাটতোই, তারপরে আবার জন্মদিনে স্ট্যালিন’রে টেলিফোনে গান শুনানো লাগতো, বন্দীদের।]

আপনারে যখন কেউ সুন্দর কইতেছে, তখন আপনার কাজ খালি সুন্দর হওয়াটা না, তার ধারণা অনুযায়ী সু্ন্দর হওয়ার অ্যাক্ট করাটা। মূল লিরিকসের আধ্যাত্মিক মিনিংগুলির কথা বাদ দিতেছি এইখানে। প্রেজেন্টেশনের জায়গাটা নিয়া বলতেছি; মোমিনা একটা সুন্দর কইরা হাসিও দেন, গানটা গাওয়ার সময়ে, ওইটা ইন্সট্রাকশনও হইতে পারে, প্রডাকশন ডিরেক্টরের।

মানে, সুন্দর তো আপনি আছেনই, কেউ সুন্দর কইবো বইলা তার ধারণা অনুযায়ী সুন্দর হওয়াটা তো আর সবসময় জরুরি না; তারপরও ওইটারে ধইরা নিয়া তার লগে বা বিপরীতে গিয়াই সুন্দর হওয়া লাগতেছে আপনারে। তাই না?

 

Leave a Reply