কবিতা: জুন, ২০২০

সহজ, সরল গিমিকে ভরা

কেন যে তোমার মনের
সহজ-সরল
গিমিকে ভরা
ভাবনাগুলার মতন
হয়া উঠতে
পারলো না
আমার কবিতা…
(আজো তো এখন!)
মনের মিল
যে হইলো না,
বাচ্চা আর বুড়া কবি’দের
কবিতার মতন
কি হবে, বলো?
“জারজ সন্তানের মতন
ফেলে যাবা তুমি এরে
কোন ডাস্টবিনে, আবার?”
কুত্তায় আইসা
চাটবে এর গাল,
রইদে ঠ্যাং চেগায়া
কাঁই-কুই করবে, জিগাবে:
“সাংবাদিক’রা কই? রিপোর্ট করবে না?”
“ফটোগ্রাফার’রা কই? ব্লার কইরা ছবি তুলবো না?”
তারপর আসবে, বুড়া ও বাচ্চা
কবি’রা তোমার; হাতিদের মতন
ভোমা ভোমা শব্দ দিয়া
অরা ঢাইকা ফেলবে আমার
বেঢপ শরীর
তুমি বলবা, আরে
এরে তো ফেলে আসছিলাম আমি!
কুৎসিত বডি, পার্ভাট-মন!!
নিউজ আর নিউজের মতন
কেন যে, কেন যে
সহজ-সরল
গিমিকে
ভইরা উঠতে পারলো না
এ খ নো
আমার কবিতা
তোমার
নিউজফিডের মতন

 

তুমি রিয়েল, আমি ফেইক

আমি যে ফেইক – এই একমাত্র রিয়ালিটি’টাও
না কোনদিন ফেইক হয়া উঠে!
এই ডরে আমি তোমার রিয়ালিটি’র কথা ভাবতে পারি না, আর

 

একদিন, শূন্যতা আইসা বলবে, চলো যাই!

একদিন,
শূন্যতা আইসা বলবে,
চলো যাই!

 

ফুল, পাখি, গান

একটা ধারণার মতন
মিনিংফুল
হয়া উঠতেছো না
কেন তুমি?
বললো একটা ফুল,
আর শে তাঁর
ঠোঁট
বাঁকাইলো,
যেন মিনিং
তৈরি হইলো কোন
আর
আসলো
একটা পাখি,
বসলো একটা
কোহেনের
একলা তারে,
কইলো শে,
তোমারে চিনি তো
আমি!
তুমি ভুল,
তুমি পারা
আর না-পারা নিয়া
কনফিউজড,
প্যারানয়া,
একটা দুপুরবেলা,
আজীবন,
থমকায়া থাকা
ধী রে ধী রে
তারা
বুইঝা ফেললো
আমারে,
একটা
ধারণার
মতন;
আর গাইতে থাকলো
তাদের
গান
আ মা র ই ম ত ন

আর্টের কান

কান ধইরা টান দিলাম,
মাথাটা আসলো না, কানটাই চইলা আসলো
কইলো সে, অই পার থিকা, আমি তো ভ্যান গঁগ!

 

ভালো না লাগার গান

সন্ধাবেলাগুলা ভাল্লাগে না,
সকালবেলাও ভালোই লাগে না,
দুপুরবেলাগুলাও জঘন্য হয়া উঠতেছে,
রাতগুলা অনেকদিন বন্ধ থাকা বারগুলার মতন দমবন্ধ, ভ্যাপসা;
মাঝে-মধ্যে খালি মনেহয়
তুমি আর তোমার প্রেমিক ভালো আছো এখন,
শান্ত নদী তীরের মতন, একটু একটু বাতাস…
গল্প-কবিতা-গান
আ মা র ভা লো ই লা গে না
আমার ভালো না লাগার অন্ধকারের ভিতরে
একটা পেঁচা বইসা থাকে
একটা অন্ধ বিলাই হাঁটাহাঁটি করে, সা রা ক্ষ ণ

 

একটা অন্ধকার

অন্ধকার আসলো আমার ঘরে
তোমার হাত থিকা খইসা পড়লো
চিরুনি একটা, আমি বললাম, আসো
তোমার চুল আমি আঁচরাইয়া দেই;
তুমি বললা, থাক! বারান্দায় বইসা
থাকা অন্ধকার’টা জানালা দিয়া
আসলো আমার ঘরে; তুমি বললা,
যাও, দেরি হয়া যাইতেছে… আর
অন্ধকারটা গিয়া বসলো তোমার
চুলের ভিতর… আমি তোমার ঘাড়ে
মুখ রাখলাম, যেন একটা অন্ধকার
শুইষা নিতেছি আমি, আর নিজেই
হয়া উঠলাম একটা অন্ধকার, তোমার

 

আদা চা

আদা চা, আদা চা
আমি মইরা গেলে
খাবো না আর এই
সব ফালতু আদা
চা, তারপরও তো
থাকবে দুনিয়াতে
বৃষ্টির বিকালে কে
উ খাইতে থাকবে
আদা চা, আর ত
খন মনে হইতে পা
রে, আরে, আদা
চা নিয়াও তো এ
কটা কবিতা আ
ছে, বাংলা ভাষা
য়, লিখছিলেন ই
মরুল হাসান, খু
ব একটা ভালো
কবিতা না, কিন্তু
কবিতা তো মো
স্টলি, এইরকমই
আদা চা, আদা চা
এর মতন, ক ষা
কিছুটা, যেন কবি
তার মতন, অথচ
(আমরা তো জানি)
এইগুলা যে কবিতা
না, এইসব আদা চা

 

মেলানকলিয়া

মেলানকলিয়া, মেলানকলিয়া
তুমিও আইসো, তুমিও থাইকো
আমার জানাজায়
কবরে নামবে লাশ, তুমি
বইসা থাকবা, চির-অচঞ্চল
আরো কি কি জানি আছে না!
অইরকম, অইরকম কইরা
বইসা থাকবা কিছুক্ষণ, হয়তো
দুই বা তিন বছর; তারপরে বলবা
‘যাই গা, বস! আরো আরো
কবর তো আছে দুনিয়ায়!’
বইলা, তুমি চইলা যাবা না
একটা ছায়ার মতন বইসা
থাকবা, একটু দূরের টিলায়
মেলানকলিয়া, মেলানকলিয়া
আমি তো থাকবো না তখন!
আমার কবরের ঘাসে পইড়া
থাকবে তোমার হৃদয়ের ঘাস
আর থাকবে আশেপাশের মাঠে
কয়েকটা বিষন্ন গরু ও ছাগল…

 

বর্ষাকাল

সন্ধ্যা হইলেই আসে
মাগরিবের আজান,
বৃষ্টি, কাদায় ল্যাট-প্যাট
বাইন্নাপট্টির গলিতে জ্বলতে থাকে ধূপ
ফলপট্টির হাউকাউ কইমা আসতে থাকে
পোস্টঅফিসের সামনে টিনের চিঠির বাক্সের মতন
চুপ হইতে আরো অনেক সময় লাগবে ওর,
ডাইলপট্টির অন্ধকারের মতন ফিসফিস করবে, তারপর
ঝিঁঝিঁ পোকাগুলাও নিরব হয়া আসবে,
জোনাকিগুলা পাছা দিয়া জ্বালাবে লাইট
হেই হেই রাইতের আন্ধার, তুমি কই যাও?
জিগাবে লাঠি হাতে নিউ মার্কেটের দারোয়ান
হুঁশ, হুঁশ কইরা তারে সাবধান করবে চাঁন
লাইটগুলা ভিজতে থাকবে মাঝরাতের বৃষ্টিতে, আবার…

 

আমার অমর কবিতা

আমি তোমারে নিয়া
অমর কবিতা লিখছি কয়েকটা;
মানে, এরা যে মরবে না – তা না,
এরা আমরা কে ছিলাম, কি ছিলাম টাইপ
মিথ আর কাহিনির বাইরে গিয়া
বাঁইচা থাকতে পারবে।
কি হবে তাইলে? তুমি জিগাইলা।
তুমি হাসলা।
কবিতাগুলাও হাসলো।
আমার অমর কবিতা কয়েকটা
তোমার শরীরে মুখ লুকায়াই
বাঁইচা থাকতে চাইলো।
তুমি জানো, আর
মাপতে থাকো চাঁন আর তারাদের দূরত্ব;
আমি বলি, এইগুলা তো সত্যি না!
হ্যাঁ, এই যে তুমি আর আমি – এইগুলাও
তো সত্যি না, তাই না? তুমি বললা।
যুক্তির ঘূর্ণির ভিতর ঘুরপাক
খাইতে থাকে আমাদের কথারা…
যা রা কো ন দি ন ক বি তা হ ই তে পা র বে না

 

আমার পুরান ফ্রেন্ড

কথাগুলা কি আমি গিইলা ফেলবো?
কিন্তু তখন আমার মাথার ভিতরে যারা আছে
তারা তো কপি কইরা ফেলতে পারবে
আমার চিন্তাগুলা। আমি কি তাইলে চিন্তা করা
বন্ধ কইরা দিবো? ভাত খাবো, সিনেমা দেখবো
আর ঘুমাবো? ভাববো যে, একটা কোদাল কিইনা
সামনের প্লটের মাটি’টা একটু কোপাইয়া দিয়া আসি?
কি করবো আমি? কি করবো আমি?
আমার পুরান ফ্রেন্ড হাসে; কয়, কদ্দিন পরে
আসছি আমি, আর তুমি আমারে ফেইলা চইলা
যাইতে চাইতেছো? কাওরান বাজার বস্তিতে
দুপুরবেলা কেমনে যাবা তুমি, অইখানে তো
বিজিএমই’র বিল্ডিং আর অইটাও ভাইঙ্গা ফেলা
হবে। লেয়ারের পরে লেয়ার তৈরি হইতেছে,
লেয়ারের পরে লেয়ার। তুমি কেন লুকায়া যাইতে
চাইতেছো? আমার পুরান ফ্রেন্ড হাসে একটু।
দেখি, তার চেহারাও মলিন হইছে, মারা যাবে তো
সে-ও। আমি আমারে দেখতে পাবো বইলা ডরাই।
আমি ঘুম থিকা উঠার পরে আবার ঘুমায়া যাইতে চাই,
কোন চিন্তা নাই, ড্রিম নাই, কোন দেখাদেখি নাই
নদীর পানি ভরা বর্ষায় খলবল করে খালি,
যাইতে থাকে, যাইতে থাকে, কিন্তু যায় না কোথাও
যাইতে যাইতেও থাইকাই যায়, আসে
এইরকম আমার পুরান ফ্রেন্ড, মগজের ভিতরে আমার
শরীরের ভিতরে আমার, চিন্তার ভিতরে আমার,
ফিলিংসের ভিতরে আমার, কাজকর্মের ভিতরে
আইসা বইসা থাকে। কথা কয় না, চুপ কইরা থাকে
সে জানে আমি চাই সে চইলা যাক, কিন্তু
সে যাইতে পারে না, আমিও না দেখার ভান করি
আর তখন সে চেইতা যায়, কয়,
আমি তো আছি! তুমি আমার সাথে এইরকম
বিহেভ করতে পারো না, যেন আমি মারা গেছি!
আমি তারপরও চুপ কইরা থাকি।
আমি আমার কথাগুলার কথা ভাবি,
চিন্তাগুলা, দৃশ্যগুলা কেমন জানি লিকুইড হয়া
নাই হয়া যাইতে থাকে…
এইগুলা আমার পুরান ফ্রেন্ডের কান্দা,
আমি বুঝতে পারি।
সে আসে আমার কাছে, আমরা হাসাহাসি করি,
পুরান দিনের কথা বলি, পুরান দিনগুলা
পুরান দিন হয়াই থাকে, আমাদের না-থাকা
ফিউচারের সামনে।
পুরান ফ্রেন্ড কয় আমারে, আমরা যে মারা গেছি
এইটা তুমি মাইনা নাও, রাসেল!
আমি কোন কথা কই না।
আমার যে কোন কথাই প্রতিধ্বনির মতো
কারো না কারো কাছ থিকা
আমার কাছেই ফিরা আসতে থাকে…

 

বিকাল

এইরকম থম-ধরা মেঘলা দিনের মতন
তোমার শরীরের গন্ধের কথা মনেহয়,
তারপরে, রইদ উঠে
আমাদের শরীর আমরা শুকাইতে দেই
বাতাসে, আর ক্লিপগুলা ধইরা রাখে
আমাদেরকে ডিজায়ারের দড়িতে, ছাদে অন্য সব
মেমোরির সাথে উড়তে থাকি আমিও,
একটা বিকাল নামতে থাকে
বিলাইয়ের মসৃণ হাঁটাহাঁটির মতো,
যেন সে আসে নাই, না আসলেও পারতো…
একটা মেঘলা দিনের মতন,
তোমার শরীরের গন্ধ
বিকালের পাশে বইসা থাকে,
সন্ধ্যা আসার আগ পর্যন্ত

 

রইদ ও বাতাস

মনে পড়লো তাঁর
মনে পড়লো তার কথা তাঁর,
এমনিতে এলেমেলো
বাতাসও তো দাঁড়ায়
প্রেমিক ডাকতেছে দূর থিকা
সে আরো কাছে আসতে চায়,
বলতেছে, হাই! কথা বলো… হাই!
আমি ভাসি, আমার নিরবতায়
বাতাস আসে, রইদরে কাঁপায়
হেই হেই… রাখাল তার গরু চড়ায়
বাতাসে দুলে উঠা চরের ঘাসের মতো
মনে পড়ে তার, মনে পড়ে হঠাৎ…
আমার যে কোন ক্রুয়েলিটির কথাই?

এম্পটি সার্কেল অফ থট

কুড়ি কুড়ি বছরের পরে
আবার আসে কুড়ি কুড়ি বছর
হাজার বছর ধইরা পথ হাঁটে
আরো হাজার হাজার বছর
রিপিট করো, রিপিট করো
রিপিটেশনটা বলতে থাকে
আবার, আবার
টানেলের ভিতরে একটা অন্ধকারের দিকে
তাকায়া থাকে আরেকটা অন্ধকার

 

রইদ

আমারে ময়লা করার পরে,
ডিটারজেন্ট দিয়া ধুইয়া
শুকাইতে দেয়ার মতন
রইদ উঠছে আজকে।
আমি ঘরের কোণায় পইড়া আছি
আরো অনেকগুলা ময়লা কাপড়ের নিচে
দমবন্ধ, যেন মারা গেছি।
“আ মা রে  খুঁ ই জা  বা ই র  ক রো,  ম্যা রি য়ে ন”
রইদে শুকাইতে দাও!

 

হাসি

আমি হাসি,
কিন্তু হাসিগুলি আমার লগে আর হাসে না
একটু দূর থিকা দেখে,
বাঁকা চোখে তাকায়া থাকে
অন্য অনেক হাসিদের সাথে গিয়া
হাসাহাসি করে; কয়, দেখো
হাসতে হাসতে ঝরে পড়তেছে জোছনা!
তোমার হাসির ক্রুয়েলিটি আসে,
কোন একটা চান্সও বাদ যায় না!

 

দুপুর

হইতে গিয়া একটা শূন্যতা
দেখি আমি মন-খারাপই হইলাম একটা
দুপুরের; আকাশে উইড়া যাওয়া
মেঘেরা আমারে বলে,
ঘুমাও, সময়ের ঘোড়া চইলা যাওয়ার পরে
তার পিছন পিছন যাইতে থাকা কিছু
ধূলার মতন, থাকতে থাকো… হয়তো
তোমার বাঁইচা থাকাই,
কারো না কারো
শূন্যতা
দুপুরের মেঘগুলা উড়তে থাকে
আকাশ থিকা আকাশে,
অরা নিয়া আসে আমার কাছে
তোমার না-থাকা
তোমার মতন একটা শূন্যতা
হইতে গিয়া আমি, পাত্থর হইতে থাকি একটা
দুপুরের মতন, যারে মনেহয় ‘অক্ষয়,
কো ন দি ন চ লে যা বে না…’
আর যাইতে থাকে একটা শূন্যতার দিকেই
যারে সে কোনদিনই খুঁইজা পাবে না

 

অবিচুয়ারি

আমি অসহায়,
আমি ৬০ টাকা
আমি বৃষ্টি আসার আগে উল্টা-পাল্টা বাতাস
আমি স্লো-মোশনে চলা লাইফ, টাইম-ল্যাপ্সে তাড়াতাড়ি চইলা যাইতে থাকা জীবন
আমি রাস্তার মোড়ে পুরানা বিলবোর্ড
হাঁটতে হাঁটতে আমি আমি বলতে বলতে শুনতে থাকা গান
হলুদ পাতা, সিগ্রেটের ফিল্টার, হাবিজাবি মোবাইল কনটেন্ট
আমি সাহিত্য হইতে চাওয়া ইয়াং ইউনিভার্সিটি টিচার
গল্প-লেখক, ক্রিটিক ও গোপনে গান গাইতে পারা লোক
ফ্যাশন ও ভঙ্গিমা, ‘অরিজিনাল’ ‘অরিজিনাল’ দাবি করতে থাকা ফেইক
লোকগুলার ছায়া, পার্কে বিকালবেলার রইদ
আমি বরই গাছের নুইয়া পড়া ডাল রাস্তার উপর
মোটর সাইকেলের লগে কম্পিট করতে চাওয়া হিরো সাইকেলের ম্পিড
বিরিয়ানির দোকানের বিশাল ডেকচি, তলায় পইড়া থাকা তেল
লাল স্যান্ডেল, পা’টা উঠতেছে আর নাইমা যাইতেছে, ব্যাঙের মতন আমারেই বলতেছে,
“কেনো তুমি আসতেছো আমার পিছন পিছন!”
আমি দোকান, আমি দোকানদার
আজাইরা কোশ্চেন, সহজ উত্তর
আমি আমি হওয়ার পরেও আমি আর অন্য কেউ
আমি একটা কন্সট্রাকশন বিল্ডিংয়ের হা-করা ফ্লোর
আমি কথা বলতে বলতে নিরব হওয়া আর নিরবতার ভিতর কথা বলতে থাকা
রাতের বেলা কুত্তাদের ঘেউ ঘেউ, অ্যানিমেল রাইটস অ্যাক্টিভিস্টের না হওয়া ঘুম
আমি আমি হইতে হইতে টায়ার্ড, আমি হইতে চাই না আর
তারপরও আমি জাইগা উঠি আবার, তোমার প্রশ্নের ভিতর
চাপা একটা ক্রোধ, একটা ঠেস মারা হাসি,
লাস্যময়ী, এই সেই, যা কিছু থাকে আর কি…
আমি নিভতে থাকা একটা চোখ,
আমি ভিলেন, আমি জোকার, আমি একটা পাসিং শট
নায়ক, নায়ক লোকদের নায়ক ফিলিংস দিতে পারা লোক
‘আমি নাই’ – এই কথা বলার পরে গুলি খাইয়া আবার মইরা যাওয়া অস্তিত্বের প্রতিশোধ
আমি অডিয়েন্স, আমি রিডার, আমি ‘খুব সুন্দর’ ‘মারভেলাস’ বলা একটা স্বর, আউট অফ ফোকাস
যে কোন একজন, ইউনিক, ইন্ডিভিজ্যুয়াল, সুইসাইড ভালোবেসে সুইসাইড নোট লিখতে চাওয়া কেউ
আর বুঝতে পারা, আমি তো কোনদিন বাঁইচাই ছিলাম না! তারপরে
বাঁচার মানে খুঁজতে খুঁজতে দেখা দুনিয়াটাই একটা ভন্ডদের জায়গা, বুঝছো! বইলা
বিকালবেলা ছাদে হাঁটতে থাকা, মেঘগুলা যে কি সুন্দর! ভাবতে পারার পরে
স্ক্রিন স্ক্রিনে ঘুরতে ঘুরতে একটা আমি হইতে হইতে ‘হাজার বছর ধরে…’
হাঁটু ব্যথায় টের পাওয়া, আমি হওয়া যে কি টাফ, সিসিফাস!
আমি হাসে, আমি আমি’রে বলি, আমি আর আমি হমু না! এই শেষ!
তারপরে আমি আর ইমরুল, কিছু না হওয়ার ভিতর কিছুক্ষণ বইসা থাকার পরে
জিগাই, আজকে কি বৃষ্টি হবে? করোনার কি নিউজ? আমাদের মইরা
যাওয়ার আগে কোনদিন কি আমরা আমি পারবো, এই ঘরকা না ঘাটকা
ধানাই পানাই দিয়া, সারভাইব কইরা যাইতে, ‘আমি কিছু নয় গো
আমি কিছু নয়…’ গানই একটা, আর দেখেন,
এই গানটাও আমি।
আমি মুখ টিইপা হাসি, আমি ‘অপেক্ষমান’, আমি ‘বুজরুকি’
“খালি কথা, খালি কথা, খালি আজাইরা কথা কতোগুলা,
তা-ও নকল করা, ফেইক! আর কেউ তো সেইগুলা শুনেও না।
এইটাই হইতেছেন আপনি!” আমারে শে বলে।
আমি বুঝতে পারি, আমি ধরা খায়া গেছি, আমি একটা ট্রাপ
আমি ঘুঘু, আমি ফাঁদ, আমি মাছ, আমি নদী, আমি পানি, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন
ঘরে ফিরা গরু, হাবিজাবি অন্ধকার আগায়া আসতেছে আর যতক্ষণ
আমারে মুইছা না ফেলতেছে, আমি আমি করতে করতে
বিশাল একটা মরুভূমিতে ব্যাটারি শেষ হইতে থাকা রেডিও’র মতো
ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় করতেই থাকবো;
দ্যান বালিতে বালি, বাতাসে বাতাস, আকাশে আকাশ হয়া বলবো,
“তুমি আমারে একটু ভালোবাসতে পারতা তো!”

Leave a Reply