ক্রিয়েটিং অ্যা ফিমেইল গেইজ ইন বাংলা-সাহিত্য

এই সময়ে, এই সময় বলতে ২০১৫-এর ঢাকা শহরে, ভার্জিনিয়া উলফ-এর চাইতে অ্যানাএস নিন অনেকবেশি রিলেভেন্ট হওয়ার কথা, কারণ উনি খালি নারী-আবেগ’রে রিফ্লেক্ট করেন না, এইটা করতে গিয়া একটা পুরুষ-ফিগার এর ধারণাও ক্রিয়েট করেন। সাহিত্যে এই জিনিসগুলা প্যাসিভলিই থাকে। মানে, একজন মাইয়া কে ও কি জিনিস, সেইটা পোলা’র গেইজটা দিয়াই ডিফাইনড হয়। অ্যানাএস নিন-এ ফিমেল গেইজ’টা থাকে টুওয়ার্ডস দ্য মেইল-অবজেক্ট। যেইটা একটা কনজাম্পশন প্যার্টান’রে সাজেস্ট করে, যেইখানে ফিমেইল বডি’টা পার্টিসিপেট করতেছে না খালি একটা টুল হিসাবে, বরং সেন্টার পয়েন্টটাতেই অপারেট করতেছে।

ব্যাপারটা হইলো, মেইল গেইজের মধ্যে এই সাজেশনটা তো থাকে যে, আপনি ফিমেল কেমনে হইবেন। রিয়েল সাবিনা হইলো অ্যালান যেইটারে সাবিনা বইলা ভাবে। এখন একজন সাবিনা যে আছে এবং তার যে অপশন আছে অ্যালান-এর ভাবনার চাইতে অন্যকিছু হওয়ার এবং শে যে হইতেই পারে, এই অপশনগুলা অ্যানাএস নিন-এ রিয়েল মনে হইতে থাকে। ভার্জিনিয়া মেইল গেইজটারে বাতিল করেন না, দেখান যে, মেইল গেইজের বাইরে ফিমেইল ইমাজিনেশনগুলা কেমনে অপারেট করে। আর অ্যানাএস বরং একটা ফিমেইল গেইজ’রে কনস্ট্রাক্ট করেন। এইটা মোর পাওয়ারফুল, কারণ এইটা আরেকটা গ্রাউন্ড থিকা অপারেট করে। তখোন পোলা হিসাবে একটাকিছু’রে আপনি ডিফাইনড কইরা ফেলতে পারেন। প্রজেক্ট করতে পারেন। এই জায়গাটা এখনো এক্সপ্লোরড হইতে পারে নাই, আমাদের আবাসী ও প্রবাসী বাংলা-সাহিত্যে।  যেইটা লিটারেচারে নাই সেইটারে রিয়ালিটতে মাইনা নেয়াটা এই কারণে টাফ হয়। মে বি যা হইতে পারে, সেইটা নট নেসেসারিলি অ্যানাএস নিন’র মতো হবে, বা যা হবে সেইটারে মোর‌্যাল সেন্সে একটা বাজে ধরণের সেক্সুয়াল ফ্যাণ্টাসি বইলাই ইগনোর কইরা ফেলতে পারবো না আর। হইতেই তো পারে!

 

Leave a Reply