বিচারে ট্রুথ আবিষ্কারের ঘটনা

Talvar এর সবচে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এইটাই যে, প্রতিটা ন্যারেটিভ’রে ভিজ্যুয়ালাইজ করছে সে। মানে, কি কি হইছে – এইটারে যে যেমনে কইছে সেইটা খালি কওয়ার মধ্যে আটকাইয়া রাখে নাই [বার্গম্যান করছিলেন পারসোনা’তে, মোস্ট ইরোটিক কইছেন তারে জিজেক…। কারণ এইটা অডিয়েন্সরে ভিজ্যুয়ালাইজ করার প্লেজারটা দেয়।] এতে কইরা অডিয়েন্স আরো কনফিউজড হইতে পারে। বলা-কথা সত্য বা মিথ্যা হইতে পারে, কিন্তু যেই জিনিস দেখতেছে একজন সেইটা মিথ্যা হওয়াটা একটু মুশকিলই। যা কিছু আমরা দেখতে পারি [থ্রু আইস অর ইমাজিনেশন], সেইটা এক ধরণের সত্যি – এই কনফিউশনটারে ইউজ করছেন ডিরেক্টর।

মূল ঝামেলাটাও ইন্টারেস্টিং, যখন মিনিস্ট্রি’র সাথে দুইটা ডিফরেন্ট রিপোর্ট নিয়া সিবিআইএ’র লোকজন বসে। নতুন ডিরেক্টর না পাইরা কয় যে, আপনি আদালতের হাতে ছাইড়া দেন! সচিব তখন কয়, আরে আমরা যদি ডিসিশান নিতে না পারি তাইলে আদালত কি ডিসিশন নিবো! পরে আদালত যাতে উনাদের ডিসিশান নিতে পারে সেই ব্যবস্থাই করতে পারেন মনেহয় নতুন সিবিআই ডিরেক্টর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেই কারণে খুন করার ব্যাপারটা অ্যাকসেপ্টবল হইতে পারে আলাপের মধ্যে, সেইটা খুন না, বরং এই অনুমানটা যে, প্যারেন্টসরা ‘অবৈধ’ সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি করছিলেন বা করতেন নিয়মিত।

ফোর্স রিয়াটমেন্টে যাওয়া গোয়েন্দার মেইন আর্গুমেন্ট হইলো, কাউন্টার-পার্ট একটাকিছু ইমাজিন করছেন, তারপরে সেইটারে এভিডেন্ট দিয়া প্রুফ করতেছেন; কি ঘটছে – এইটা কোন ঘটনাই না উনাদের কাছে! এইটার কোন রেসপন্স উনারা করেন না ঠিক; বলেন যে, প্রমাণ ত আছে। ডিজায়ার আর ক্লাশ দুইটারে একরকম সামনাসামনি নিয়া আসে এই ক্ল্যাশটা। একটা হইলো মিডল/আপার-মিডলক্লাসটা তো নৈতিকভাবে করাপ্টেট। আরেকটা হইলো পর্ণগ্রাফিক রিয়ালিটি আমাদের ইমাজিনেশনগুলির ভিতরে এমবেডেড হয়া থাকতেছে; ক্লাশ ডিফরেন্সের জায়গাটাতে আরো রিয়াল হয়া উঠতেছে।… তো, ছোট-পেশার লোকজনের উপর দোষ চাপাইতে চাইতেছেন আগের অফিসার – এই ক্লেইম পলিটিক্যালি যতোটা কারেক্ট, ট্রুথ’রে বিচার করার একটা লিনিয়ার ফর্মও আসলে।

এন্টারটেইনিং মুভি।

—————————

Sudip Bosu Roy আইচ্ছা তাইলে এরকম যে একটা কথা আছে, “যো দিখতা হে ও হোতা নেহি অর যো হোতা হে ও দিখতা নেহি” তার কি হব? আর মুশকিল হইতেছে যে এই ভিজ্যুয়ালাইজেশনও তো মিথ্যা হয়া যায়। যেমনটা কি কুরোসাওয়ার রশমোনে দেখা যায়।

Abir Hasan Eka বা ঝ্যাং ইমাওয়ের হিরো

Imrul Hassan এই সিনেমাতে রাশোমনের ট্রিটমেন্টটাই ইউজ করছে আসলে। দেখানোর ভিতর দিয়া কনফিউজ করার ট্রাই করছে, কিন্তু এইটা সিনেমার মূল ব্যাপার না হওয়াতে হয়তো আরেকটু বেশি কনফিউজিং হইছে। 🙁 তবে কথা বা বাণীগুলি বেশিরভাগ সময়ই পার্শিয়াল টাইপের ট্রু। আমার মনেহয় দেখারে দেখার একটা প্যাটার্ন আছে…। ট্রুথ ব্যাপারটা ইনভিজিবল না ঠিক, ভিজিবল ইন অ্যা সার্টেন ওয়ে আসলে।…

Sudip Bosu Roy ট্রুথ জিনিসটাই তো কনফিউজিং লাগে আমার কাছে।

Imrul Hassan তা ঠিক… 

 

 

Leave a Reply