অন কনফেশন

কনফেশন কখনোই পছন্দের জিনিস না আমার। কনফেশনে যেইটা হয় আপনি খালি আপনার একটা ভার্সনই কইতে পারেন। আধুনিক ব্যক্তি যখন ব্যক্তি হয়া উঠতেছেন তখন এইরকম স্টেটমেন্ট অনেক জরুরি জিনিস ছিল। আমার ধারণা, সিক্সটিইজেই এই জিনিস মারা গেছে। মানে, ব্যক্তি বইলা ব্যক্তিরে আপহোল্ড করার কিছু নাই। ব্যক্তি বরং সার্টেন ইমেজ বা কনফার্মেশন অফ সার্টেন থটের ভিতরে নিজেরে এক রকম বাইন্ধা ফেলতে পারছে। ব্যক্তি বইলা কিছু নাই, তা না, ব্যক্তি জিনিসটা মেবি ব্যক্তিত্ব টাইপ একটা ঘটনাতে গিয়া শেষ হইছে। বাজেই হইছে এইটা। যার ফলে, কনফেশন ব্যাপারটা ব্যক্তির এক্সটেনশন আর ঘটাইতে পারে না, বরং কনফার্মেশনের জায়গাটাতেই ফিরা যাইতে থাকে।…

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, এই ব্যক্তি হিসাবে আমার স্বীকার করার কিছু নাই। অথচ চারপাশের একটা চাপ সবসময়ই থাকে ব্যক্তির উপরে, যে, আপনি কনফেশন করেন! স্বীকার করেন বা অস্বীকার করেন! এইটা বাদে আপনি ব্যক্তি হিসাবে আপনার কোন পজিশন আপনি ক্লেইম করতে পারবেনই না! কিন্তু এই স্বীকার করা বা অস্বীকার করাটা কোনকিছুই মিন করে না। এই কনফেশনাল অ্যাটিটুডটারে বরং ব্যক্তিরে একটা পাপেট বানায়া রাখার ফ্রেমওয়ার্ক বইলা সন্দেহ হয় আমার।

গডের কাছে, পাবলিকের কাছে, এমনকি নিজের কাছেও কনফেইস করার কিছু নাই। বলাটা অবশ্যই দরকারি জিনিস, না-বলার বা নিরবতার উকালতি আমি করতেছি না! কিন্তু ফ্রেমওয়ার্কটারে খেয়াল করা লাগবে তো! মানে, জিনিসটা একটা প্যারাডাইমের ভিতরে স্বীকার বা অস্বীকার করার ঘটনা না, কখনোই।… ব্যক্তির ফ্রিডম বইলা যদি কিছু থাকে একটা সোসাইটিতে. একটা টাইমে, সেইটা মেবি এইরকম কনফেশনাল অ্যাটিটুডের থিকা যতোটা দূরে থাকা যায়, ততটুকই।…

Leave a Reply