অন জোকস (২)

: তুম ইতনে পেরেশান কিঁউ হো, অর্জুন?
: মত পুছো, মেরা দিন ইতনে বাকোয়াজ যা রাহে হে না… মতলব…
: গার্লফ্রেন্ড সে লড়াই হোয়ি?
: উমম হুঁ
: তো ফির?
: ভাই সে…
: বাই সে!
: বাই সে নেহি, ভাই সে! মে বাই সে কিঁউ লড়ো ইয়ার!… লড়োঙ্গা তো ইয়াহা কিঁউ বেঠেঙ্গে, অ্যায়সে…

………………………………………………………………………………………..

জোকস যে কি পছন্দ আমার! সিনেমা’তে এইটা মোটামুটি কমেডি সিন, জোকস।

এক পার্টি’তে গিয়া আলিয়া ভাট গাঞ্জা খাওয়ার লাইগা বাথরুমে ঢুইকা দেখে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা মুখ বেজার কইরা প্যানের উপরে বইসা রইছে, তখন এই কনর্ভাসেশন হয়।

দুইটা জিনিস এইখানে। ব্রেকাপ ছাড়া, প্রেমের ঝামেলা ছাড়া হিন্দি সিনেমা’তে অ্যান্ড ইভেন লাইফেও ইয়াং লোকজনের আর কি কারণে খারাপ লাগতে পারে? :p ভাইয়ের লগে মারামারি করা’র কারণে মন-খারাপ এইটা তো খুবই অ্যাবসার্ড ব্যাপার! :)আলিয়া ভাট খালি গাঞ্জা খাইছে বইলা না, এমনেও এইটা তো একটা ডিসট্যান্স রিয়ালিটি। 🙂 এই কারণে বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড টাইপের ঝামেলা যে না, এইটা মন থিকা সরতেই টাইম লাগে।

সইরা ওইটা যায় বুয়া’র কাছে। বুয়া’র সাথে ঝগড়া করার মন-খারাপ হবে ক্যান? রিকশাওলা, সিএনজিওলা’র* সাথে ঝগড়া হইলে কি মন-খারাপ হয় নাকি ‘মানুষের’ ( মানে, ‘মানুষ’ তো কিছুটা হইলেও আপ-ক্লাশ না হোক মিনিমাম কমন-সেন্সওলা কনশাস একটা আইডেন্টিটি :D)? সো, ওইটা তো আরো অ্যাবসার্ড।

এইজন্য ‘বাই’ থিকা ‘ভাই’য়ে ফিরা যায়। প্রেমের কবিতা ছাড়াও তাইলে দুনিয়াতে আরো আরো রিলেশন আছে আর এই কারণে মন-খারাপ হইতেও পারে! মানে, ব্যাপারটা হয়তো এতোটা সত্যি না (সত্যি হইলে তো অনেক অনেক গল্প-কবিতা থাকতো :p), তারপরও হইতে পারে মনেহয়। 🙂 মানে, দোষটা কিছুটা গাঞ্জা খাওয়ার উপরেও নাহয় দেয়া গেলো। এইভাবে।

……………………………
*একইসাথে সব্জিওলা, দেখেন, উনাদের আইডেন্টিটি হইলো উনারা যা পজেস করেন, কি রকমের ইনফিরিয়র এরা! মন-খারাপ করার পাওয়ার তো এদের কুত্তা বিলাইয়ের চাইতেও কম হওয়ার কথা।

Leave a Reply