অন বাঁইচা থাকা

মইরা যাওয়ার চাইতে বাঁইচা থাকা’টা ভালো। মানে, চাইলে তো মইরা যাওয়া যায়-ই। এইটা আমার হাতেই আছে। আমি পারি। অনেককিছুই আমি করতে পারি। কিন্তু পারি বইলাই কইরা ফেলতে হবে, এইরকম না। বরং কি কি আমি করতে পারি, কিন্তু করি না, সেইটাই ঘটনা, বেশিরভাগ সময়।

বেশিরভাগ সময়ই লাইফ আনবিয়ারেবল। মানে, লাইফ নিয়া যদি আপনি ভাবতে চান। মিনিংলেস তো! জোর কইরা কোন মিনিং ইম্পোজ করারও কিছু নাই। অইটা আরেকটা প্রেশার। চারপাশ এতো প্রেশার দিতে চাইবে আপনারে। এইটা করেন, অইটা করেন! এইটা ভালো, এইটা খারাপ! কিন্তু এইসবের তো কোন দরকার নাই। বলারও দরকার নাই, আমি এইসব কেয়ার করি না। আমি পাত্তা দেই বা দেই না। এই জিনিসটাই আজাইরা। বাঁইচা থাকার মতোই।

বাঁইচা থাকাটারে না বলাটা সহজ, হ্যাঁ বলাটাই কঠিন। কোন মানে নাই, তারপরও বাঁইচা আছেন – এইরকম অ্যাবসার্ড না; মিনিংটা জরুরি না। কোন মিনিং যদি থাকে, যদি ক্রিয়েট করা যায় তো ভালো; কিন্তু জরুরি না। না চাইলেও বাঁইচা থাকা যায় তো! মরা’র লাইগা বরং ‘কারণ’ দরকার! যে কোন কারণেই মইরা যাওয়া যায়। যেহেতু যায়, মরবোই, খুবই সার্টেন একটা ঘটনা। আমি এর লাইগা আর ওয়েট করি না। আমি চাই কোনদিন সে-ই আমারে খুঁইজা নিক। আমি না চাইলেও নিবে। আমার চাওয়া, এতো ইর্ম্পটেন্ট কিছু না। এইরকম ইনসিগনিফিকেন্ট হইতে সাহস লাগে। এই কারণে,

বাঁইচা থাকা মইরা যাওয়ার চাইতে সাহসী একটা ঘটনা।

জিতা বা হারা না। জিতা বা হারা’র বাইরে। টু কন্টিনিউ ফর নাথিং। অ্যাকসেপ্ট টু বি অ্যা নাথিং’টাই অনেকবেশি বাঁইচা থাকার ঘটনা।…

Leave a Reply