অ-সম্পূর্ণ দিন আমাদের…

বেকেটের নাটকের চাইতে ভিন্ন কিছু না, এই জীবন

প্রতিটা পর্বের ভাগ, যে যে স্টেপ তুমি নিতে পারো, তার অপশনগুলা

ধারণা করা যায়, বড় জোর ১৪-১৫টা, এর বেশি কিছু আর কি হইতে পারে

যখন দেখা যাইতেছে, প্যার্টানটা, তুমি দেখতেছো… কি যে ভয়াবহ

এক একটা রোবট দৃশ্য; তুমি জানতেছো যে, ভিন্নতাগুলা, কোনটার পর কোনটা[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

এর চে করুণ স্বপ্নদৃশ্য আমি আর দেখি নাই কখনো…

বেকেটর নাটকের মতো এই স্বপ্নটা নিয়া একটা গল্প না লিখলে ত শান্তি পাবো না… যা দেখলাম গতকাল রাতে…

 

অগাস্ট ২৭, ২০১২

#

ঈদের পরে বাড়ি থিকা আসার পর, গত বুধবারে, বাংলামটরে আড্ডা দেয়ার পর রিকশায় ফিরতেছিলাম মনু, শোয়েব সর্বনাম আর আমি… রিকশাওলা’রে ঠিক করলাম ১২০ টাকা দিয়া বাংলামটর থিকা বনশ্রী পর্যন্ত, পথে মনু’রে নামাইতে গিয়া মগবাজারে চা খাইলাম, রিকশাওলারেও খাওয়াইলাম… তারপর যখন নামতে যাবো, তখন হঠাৎ কইরাই রিকশাওলা আপ্লুত হয়া পড়লো, এমন অযাচিত প্রশংসা করতে লাগলো যে, আমি ত থ… কি ঘটনা!… সে বলতেই থাকলো যে, ঢাকা শহরে এতদিন ধইরা রিকশা চালাই, আপনার মতো জানাশোনা, ভালোমানুষ (আরো নানানরকমের বিশেষণ) আর দেখি নাই, আরো কি কি জানি… তার এই প্রশংসায় আমি বিহ্বল পুরা, কইলাম যে, আপনি ভাড়া ঠিকমতো পাইছেন ত… মানে, আমি ডরাইতেছিলাম, এই বয়স্ক লোক হয়তো আমার পা’য়ে ধইরা সালাম কইরা ফেলতে পারে… তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুকলাম… মনে হইলো যে, সে যা দেখছিলো, তা হইলো একটু জেনোরোসিটি, সমবেদনা বা সহানুভূতি আর আলপের ভিতরে ঘনিষ্ঠ করার একটা প্যার্টান… আমি দেখছিলাম যে, ক্লাশ ডিফারেন্স কত সহজেই অমিট করা সম্ভব… মানে, আমি এবং এই রিকশাওলা আরো অনেকক্ষণ ধইরা গল্প করতে পারতাম!

 

অগাস্ট ১৭, ২০১২

#

অসম্ভব এই বেঁচে থাকা… ভৈরব যাবো কালকে… কি লিখবো আর… এই যে বেঁচে থাকা, তার আর কোন মানে-ই থাকলো না… কিভাবে তৈরি হবে তারা, মানে এই ‘মানে’ গুলা… প্রতিদিন যে তারা তৈরি হইতেছে, দেখা যাইতেছে… তার ভিতর ডুবতে চাই না, আল্লা… আমার নিরবতারে তুমি ধ্বংস করো… বলো, এই যে পালাইয়া থাকা, না-বলা, এরা নিশ্চয় কোন না কোন অর্থ তৈয়ার করতে পারবে… এইরকম আশা’র ভিতর না থাকাটাই ভালো… অনেক অনেক কিছু করবো, বলবো নিশ্চয়… এর আগে যদি মারা যাইতে পারি, সেইটা ত আরো ভালো!

 

অগাস্ট ১৭, ২০১২

#

একটা ঘটনা, এতোটাই বুঁদ কইরা রাখছে যে, সেইটারে কোন না কোনভাবে বলা দরকার… হয়তো বলবো অন্য কোথাও, কিন্তু তার আগে যে স্মৃতি ছাড়তেছে না আমারে, তার একটা গতি করি… ঘটনাটা খুবই সামান্য… কয়দিন আগে এর সামনাসামনি হইছিলাম…

লিফটে অফিস থিকা নামার সময় ১০তলা থিকা ৯ এ থামলো কোন মানুষ নাই, খালি আমরা দুইজন যারা ১০ তলা থিকা উঠছিলাম, আমি আর আরেকটা ছেলে; ৮ তলা’তেও থামলো, কোন মানুষ নাই; ৭ তলা’তেও একই ঘটনা; এরপর যখন ৬ তলা আসলো, ভাবলাম যে একই ব্যাপার, কিন্তু তখন ২টা মেয়ে আর ১টা ছেলে উঠলো; ১টা মেয়ে বেশ লম্বা আরেকটা মেয়ে মাঝারি হাইটের, দুইজনেই মধ্যবিত্ত সুন্দরী, ছেলেটা অ্যাভারেজ, লম্বা মেয়ে’টা, যে আবার একটু শ্যামলা, কইলো ছেলেটারে, কি আজকে খুব ঝামেলা গেছে?; ছেলেটার কি যে ভয়াবহ অবস্থা! সে খালি কানতে পারতেছে না… যেহেতু একটা মেয়ে তারে জিজ্ঞাসা করছে, সে গালিও দিতে পারতেছে না… কি জানি কইলো, অস্ফুটের মতোন, মনে হইলো যে, ‘শালার অন্য কোন উপায় থাকলে এই চাকরি করতাম না…’ এই টাইপের, মানে সে যদি স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে পারতো তাইলে তার কান্না হয়তো সবার চোখে পড়তো… মেয়ে ২টা এই দৃশ্যটা সহ্য করতে পারতেছিল না, আবার কিছু বলতেও পারতেছিলো না… হয়তো তারা ভাবছিল যে, এইভাবে ছেলেটারে/পুরুষ মানুষটারে একটু সাত্বনা দেয়া যাইবো, কিন্তু এই সহমর্মিতা টাইপের জিজ্ঞাসাটা তার আবেগরে আরো ছড়াইয়া দিলো… ওরা, মানে মেয়ে ২টা তখন নিজেরাও অস্ফুট হয়া গেলো, বলতে লাগলো, আসলেই কি যে বাজে অবস্থা… মানে আমতা আমতা করতে করতে তারা ব্যাপারটারে ইগনোর করতে পারলো হয়তো, শেষ পর্যন্ত…

 

অগাস্ট, ২০১২

#

নন্দন এ গিয়া মনটা খারাপ হয়া গেলে, ওদের গুলশানের আউটলেট’টা বন্ধ হয়া যাচ্ছে, সম্ভবত মিনা বাজার কিইনা নিবে, দোকানে ৪/৫জন লোক বইসা আছে, র‌্যাক কমে গেছে, অল্প কয়েকটা প্যাকেট সেইখানে… গরুর মাংস কিনলাম, হাড়-ছাড়া মাংস চাইছিলাম, কিন্তু হাড়সহ কিছু মাংস-ই আছে, সেইটা নেয়ার পর একজন ভিতর থিকা আরো কেজিখানেক মাংস আইনা দিল যেইটা ৪০০টাকা কেজি, ২৫০টাকার কেজির সাথে দিয়া দিলো… এমনিতে ত দিতে পারতো না, এখন দোকান বন্ধ হয়া যাইবো বইলা দিতে পারতেছে… কেমন না জিনিসটা…

 

অগাস্ট ৯, ২০১২

Leave a Reply