আমারে প্রশ্ন করেন!

ফেসবুকে Profoundly নামে একটা অ্যাপে প্রশ্ন করার লাইগা জিগাইছিলাম। অনেকে যা জিগাইছেন,  তার বেশিরভাগই লেখালেখি নিয়া। তো, ভাবলাম, একসাথে কইরা রাখা যাইতে পারে। সবাই যে প্রশ্ন করছেন, তা না, কয়েকজন কমেন্টও করছেন, সেইগুলিও রাখছি। কিন্তু যারা স্ট্যাটাসে বা কমেন্টে রিঅ্যাকশন রাখছিলেন, সেইটা আর এই ফরম্যাটে ধইরা রাখা গেলো না আর কি!

……………………………………………………….

আদিত্য রহমান  আপনার ‘বসন্ত…’ বইটার দাম এতো বেশি কেনো, কিনতে না পারার মতো?

Imrul Hassan খরচ বেশি হইছিলো আসলে ছাপাইতে আর ছাপাইছিলামও কম, ৩০০ কপি মনেহয়, সেই হিসাবে পার কপির দাম ঠিক করছিলাম ২৫০ টাকা। তবে বেশিরভাগ কপি তো বন্ধু বান্ধবদেরকে পড়ার লাইগাই দিছি। বেচা কমই হইছে। এখন আরো ৩০ কপির মতো আছে আমার কাছে, আপনি পড়তে চাইলে বইলেন, নিজ খরচে নিতে পারলে, আমি দিতে রাজি আছি। ধরেন, আপনার এই প্রশ্নের বিনিময়েই। 🙂

এমনিতে কোন বইয়ের দাম আমার কাছে কখনোই খুববেশি লাগে নাই, মানে টাকার লাইগা কিনতে পারি নাই এইরকম তো হইছেই, কিন্তু আমার মনে হইছে, লেখক রয়ালিটির জায়গাটা সবসময়ই মিসিং থাকতেছে আমাদের পাবলিকেশনে বা বইয়ের দামের কথা যখন ভাবতেছি। ওভারঅল গরিবি একটা ব্যাপার আছে, নানান ভাবেই। এইটা ঠিক না আর কি!

আদিত্য রহমান বাতিঘরে দাম দেখছি চারশো বা সাড়ে। সেজন্যই এই প্রশ্ন করছি। ২৫০ হইলে করতাম না উন্নত পেইজের দিকে তাকায়া। আপনার দিতে চাওয়াতে বিব্রত আসলে। জবাব দিবার ভরসা দিছেন বলে প্রশ্নটা করে ফেলছি আরকি। অনেকগুলাই পড়া বাতিঘরে, গিয়াই পইড়া ফেলবো আরগুলা।

Imrul Hassan ও, হ্যাঁ, চারশো টাকা-ই মনেহয়। আর আপনার বিব্রত হওয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। ব্যাপার না!

মেহেরাব ইফতি আপনি কবে দাড়ি রাখবেন? নাতি নাতনি হইলে?

Imrul Hassan বয়স না আসলে, সিচুয়েশনের উপ্রে ডিপেন্ডেড। চাকরি ছাইড়া বিজনেস শুরু করতে পারলেই ট্রাই করবো চুল দাড়ি বড় রাখার। 🙂

Sheikh Saddam Hossain রবার্ট ফ্রস্ট কইলেন, আই ক্যান সাম আপ মাই হোল লাইফ ইন্টু থ্রি ওয়ার্ডস ‘লাইফ গোজ অন’। আপনি লাইফরে সাম আপ করলে তা কেমন হবে? আর আত্মহত্যা করতে চাইছেন কখনো? করতে চাইলে ক্রাইসিসটা কী বা কীরকম ছিল?

Imrul Hassan লাইফ’রে সাম-আপ করতে গেলে এখন ভুল-ই হওয়ার কথা, আরো দুই-চাইর বছর পরে কিছুটা ট্রাই করলে বেটার হইতে পারে; তবে এখন টেম্পোরারি বেসিসে বলা যাইতে পারে, লাইফ (যেইটা আমরা ভাবি সেইটা মোস্টলি) আর্টের ইমিটেশন।

সুইসাইডাল টেন্সডেন্সি ছিলো দুইটা টাইমে, ঠিক সুইসাইড করতে যাই নাই কখনো। একটা ওয়েভ ছিলো পনের-ষোল বছর বয়সে, আরেকটা তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সে; থার্ড ওয়েভ এখনো নানানভাবে ঠেকায়া রাখতে পারতেছি। 🙂

ক্রাইসিস’টা খুব ডেফিনিট কিছু বইলা মনে হয় না, লাইফের মিনিংলেসনেস বা লাইফ’রে কোন না কোনভাবে আর্টিকুলেট না করতে পারা’র একটা জায়গা থিকাই মেবি ছড়াইতে শুরু করে।…

নৈরিৎ ইমু আপনারে জিগানোর বহুত বহুত কিছু আছে। কিন্তু একটা কথা এখানে জিগাই, আপনি আপনার সাহিত্য জীবনরে কিভাবে দেখেন? ব্যক্তিগত বা সামাজিকভাবে যে জীবন তার থেকে আলাদা কাটান? এ অবধি সাহিত্য করার পর আপনার কি কখনো মনে হইছিলো আপনি ক্লান্ত?

Imrul Hassan আসলে ‘সাহিত্য জীবন’ বইলা আলাদা কিছু আছে কিনা – এইটার ব্যাপারে শিওর হওয়াটা তো মুশকিলেরই। লাইফ তো একটাই। 🙁 এর ভিতরে নিজের বাঁইচা থাকা, সমাজের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করা, সাহিত্য করা… সবকিছুই। তো, এই বাঁইচা থাকা আর সাহিত্য করা – ইন্টার-রিলেটেড ঘটনাই। আমরা যেইরকম ভাবি যে, আমাদের লাইফটাই আমাদের আর্ট – এইটাতে আমার বিশ্বাসটা কম, বরং মনেহয় আমরা যেইভাবে আর্ট ব্যাপারটারে ভাবি, লাইফ গ্রসলি অই জিনিসটারে ফলো করতে চায়। এই ভুল ভাবনার কারণে এখনকার সময়ে আর্টিস্টদের উপ্রে একটা প্রেশার আছে ‘আর্টিস্টিক লাইফ’ লিড করার। আমি এই সামাজিক প্রটোটাইপ বা প্রেশারটারে আমলে নিতে রাজি না। যেই কারণে মনে হইতে পারে আমার লাইফ আর আর্ট আলাদা, কিন্তু এইভাবে দেখতে পারাটারই বিপক্ষে আসলে আমি।… মানে, এইটা নিয়া আরো কথা বলা যায় আসলে। আমিও টুকটাক লেখার ট্রাই করছি।

আর ক্লান্ত ঠিক না। মাঝখানে পাঁচ-সাত বছর লিখতে পারি নাই (১৯৯৯-২০০৫ এইরকম সময়টাতে), তখন বেশ বোবা-টাইপের ফিলিংস হইছিলো। আর এমনিতে লিখতে লিখতে তো এইরকম হয়-ই, যে কিছু হইতেছে না আসলে 🙁

Hujaifa Mahmud আপনে লেখেন অপ্রমিত ভাষায়,কিন্তু কথা বলেন একদম বিশুদ্ধ প্রমিত ভাষায়,আমার মনেহয় আরকি,এর কারণ কী😀

Imrul Hassan Hujaifa Mahmud, না, না একেক জায়গায় একেকভাবে কথা বলি। 🙂 আব্বা-আম্মা’র লগে তো এলাকার টোনে কথা কই। আর অফিসে, কাজকামে সোসাইটি’তে যাদের সাথে চলি তারা সবাই যেমনে চলে, চলা’র ট্রাই করি। খামাখা ‘বিপ্লব’ করার ভেজাল করতে চাই না আর কি! 🙂 কিন্তু কেউ করলে সেইটা বাজে – এইটাও আমার পজিশন না। মানে, ডেইলি লাইফে ঝামেলা এড়ায়া চলতে চাই।

আর এমনিতে, ভাষারে প্রমিত/অপ্রমিত এইরকম ক্যাটাগরিতে দেখি না আমি, বলছিও মনেহয় কয়েকবার; যে, একটা ‘প্রমিত’র এগেনেস্টে একটা ‘অপ্রমিত’ ভাষা বা অনেকগুলি আঞ্চলিক ভাষা আছে – ব্যাপারটা এইরকম না। মানে, ‘প্রমিত’ কোন সেন্টারের জায়গা না। একটা ‘কমন’ ভাষারে আটকানো হইতেছে বরং ‘প্রমিত’ বা ‘বিশুদ্ধ’র দোহাই দিয়া। এখন আমরা অনেকে যখন কমন একটা প্লেইসে কথা কইতেছি তখন দেখবেন এই ‘প্রমিত’ ব্যাপারটা আর সাসটেইন করতে পারতেছে না। এইরকম আর কি! 🙂

বায়েজিদ বোস্তামী Hujaifa Mahmud রাইসুরে কথা কইতে শুনি এই জিনিস আমারও মাথায় আসছিলো। আবার ‘হয়েছে’ কইতে গেলে দম ফুরায় যাওয়া আমারেও ‘ক্যালকাশান’ তথা ‘কোলকাতাই’ অ্যাকসেন্টে কথা কওয়ার অপবাদ শোনা লাগছে। হেহেহে। Imrul Hassan-এর বক্তব্যে সহমত। মুখের ভাষারে ফ্লেক্সিবল রাখাই ঠিক কাম। ‘প্ল্যাটফর্ম ল্যাঙ্গুয়েজ’ কই আমি এই ‘কমন প্লেইস’ এ কথা কওয়ারে। লেখার বেলায় অবশ্য ব্যাপারটার একটা সিগনেচার সুলভ ফিক্সড থাকাথাকি আছে। মোর অর লেস।

Hujaifa Mahmud Imrul ভাই,আপনার এই ফেইসবুক পোস্ট আর যাবতীয় প্রশ্নোত্তর মিলে কিন্তু একটা গণ ইন্টারভিউ হয়ে গেলো।এটারে আলাদা করে আপনি আবার পোস্ট দিতে পারেন।ভালো কাজ হইছে এইটা😍

Abdullah Al Harun নিজের সাথে কথা বলার সময় কিংবা ফিসফাস, তখনো কি আপনার চিরাচরিত ভাষাই( লেখা, ফেসবুক পোস্ট) ইউজ করেন?

Imrul Hassan একদম হুবুহু তো একইরকম হয় না, ফর্মের কারণেই; বলতে গেলে যেইরকম, দেখবেন সেই জিনিসটাই লেখার সময় একইরকম থাকতে পারে না। বা অডিয়েন্সের উপ্রেও ডিপেন্ড করে, চেইঞ্জ হয় কিছুটা, বলার বা লেখার ধরণ। কিন্তু আমার লেখার আর চিন্তা করার যেই ভাষা, সেইখানে ডিফরেন্সটা কম। আমি কনশাসলি ট্রাইও করি ডিফরেন্সটা কম রাখার।

নেহাল মুহাম্মাদ মানুষের কী দেখেন ? মানে, কারুর সাথে দেখা হইল, আপনি কী কী নোটিশ করেন ?

Imrul Hassan চেহারা-ই তো দেখি; চোখ আর ঠোঁটে নজর বেশি যায় মনেহয়। কথা-বলা খেয়াল করি। এইরকম।

নেহাল মুহাম্মাদ কেন , কিছু কী জাজ করেন?

Imrul Hassan মানুষের এগজিসটেন্সটারে জাজ করা’টা তো মুশকিলেরই। কে কি ভাবে, কেমনে ভাবে – এইগুলি বুৃঝতে চাই মেবি।

Shamsham Tajil কেমন আছেন?
Imrul Hassan কঠিন প্রশ্ন। এমনিতে মোটামুটি ‘ভালো-থাকা’র ট্রাই করি। নিজেরে নিয়া একটু কম-ই ভাবি, আরেকটু কম ভাবতে পারলে ভালো হইতো মেবি।

K M A Rakib আপনার ভাল্লাগছে এমন তিনটা গল্পের বইয়ের নাম বলতে হইলে কোন তিনটা বলবেন? একই প্রশ্ন তিনটা ফিলসফি বইয়ের ক্ষেত্রে করলে কোন তিনটা নাম বলবেন?

Imrul Hassan লিস্ট তো চেইঞ্জ হয়। এখন এইরকম মনে হইতেছে –

গল্পের বই (উপন্যাস না)

জেমস জয়েসের ডাবলিনার্স, পিটার বিকসেলের গল্প, ভৈকম মুহাম্মদ বশীরের শ্রেষ্ঠ গল্প।

ফিলোসফি’র বই খুববেশি পড়ি নাই; মানে, পুরা বই খুব কমই পড়ছি। ওইখান থিকা রেনে দেকার্তের পদ্ধতি বিষয়ে আলোচনা, নিটশের থাস স্পোক জরাথ্রুস্ত আর এসেনশিয়াল ওয়ার্কস অফ ফুকো’র তিনটা পার্টের (সব লেখা পড়ি নাই এইটার) কথা বলা যায়।

মেহেরাব ইফতি উপন্যাস হইলে রুলফো আসবে তো নাকি? 🙄

Imrul Hassan এখন একটু পিছনের দিকে চইলা গেছেন, কিন্তু টপ টেনে উনি এখনো আছেন। 🙂

Masumul Hoque মনেমনে যে সব কথা বা শব্দগুচ্ছ বাজে, তার কতটাইবা ঠিকঠাক লিখতে পারে কেউ, অবশ্য কিছু মানুষতো অবশ্যই আছে এমন, যারা চোখবুঁজে মাথা দিয়ে দেখাটাই প্র্যাক্টিস করে আসছে, ইমরুল ভাই’র মতো এমন ঠিকঠাক মানুষ অন্তত: আমার দেখা এ শহরে খুব হাতেগোনা।
লাভিং হোয়াট ইউ আর ডিয়ার Imrul Hassan

Milu Hasan আপনি কি আখিরাতে বিশ্বাস করেন? ধর্মরে কিভাবে দেখেন।
প্রিয় পাঁচটি উপন্যাস,ফিল্ম?
প্রিয় পাঁচটি বাংলা উপন্যাস?
কার লগে দেখা দেখা করার ইচ্ছা অাপনার ছিল /আছে?

Imrul Hassan আমি এমনিতে বিশ্বাসী টাইপের লোক, লাইফ আফটার ডেথ-এ আমার বিশ্বাস আছে; তবে এতো স্পেসিফিক্যালি ভাবি নাই।

এখনকার সময়ে ‘ধর্ম’ জিনিসটারে সেক্যুলার দুনিয়াতে গ্রসলি যেইভাবে দেখা হয়, সেইটা খুবই ট্রমাটাইজড একটা ঘটনা। তো, এই জায়গা থিকা ধার্মিক হওয়া বা ধর্ম-বিরোধী হওয়া দুইটাই ঝামেলার। মানে, এইরকম হওয়া যায় না আর কি!

যে কোন লিস্ট-ই তো চেইঞ্জবল। তারপরও বলা তো যায়-ই 🙂

উপন্যাস (আমি ক্ল্যাসিকপন্থী 🙂 )
ওয়ার অ্যান্ড পিস – তলস্তয়।
আন্না কারেনিনা – তলস্তয়।
ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট – দস্তয়েভস্কি।
গ্রেট এক্সপেক্টশন – ডিকেন্স।
দ্য সেন্স অফ এন্ডিং – জুলিয়ান বার্নস।

ফিল্ম (চুজ করা মুশকিল)
বিফোর ট্রিলজি (বিফোর সানরাইজ, সানসেট, মিডনাইট)।
কিলবিল (১, ২)।
শশাঙ্ক রিডাম্পশন।
২০৪৬।
দ্য লবস্টার।

বাংলা উপন্যাস (খুবই ভারনারেবল, এই জায়গায় 🙁 )

আরণ্যক – বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায়।
চাঁদের অমাবস্যা – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। (এখন পড়লে হয়তো ভাল্লাগবে কিনা জানি না, বহুবছর আগে পড়ার সময় ভাল্লাগছিলো।)
আবহমানকাল – অসীম রায় (এইটাও শিওর না।)
চিলেকোঠার সেপাই – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
নিষাদ – হুমায়ূন আহমেদ।

আমারে বাংলা উপন্যাস বরং রিকেমন্ড করতে পারেন, কোনটা পড়া যাইতে পারে।

তেমন কারো কথা এখন ভাবতে পারতেছি না আসলে।

K M A Rakib অনেক প্রশ্নের উত্তর দিছেন,( যা কম্পাইল করলে সুন্দর একটা জিনিস হবে মনেহয়। ) উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত কিনা বুঝতেছি না, তাও সুযোগ যেহেতু মিলছে আরও কয়েকটা প্রশ্ন করিঃ

কোন প্রশ্নটা শুনলে অস্বস্তি বোধ করেন?

বাংলা্দেশের (৭১ পরবর্তী) গল্পে আপনার পছন্দের গল্পকার কারা?

শেষ এবং আমার আগ্রহের প্রশ্নঃ

তিনজন লেখক যাদের ‘প্রোজ/গদ্য’ খুব ভালো লাগে, বাংলা বা ইংরেজিতে লেখা লেখকদের মধ্যে.. কোন ৩ জনের নাম বলবেন.?

Imrul Hassan পারসোনাল বিষয়-টিষয় নিয়া প্রশ্ন শুনলে অস্বস্তি লাগে।

বেশ মুশকিল, মাহমুদুল হক আর শাহেদ আলী’র কথা মনে হইতেছে এখন। আরেকটু ভাবলে আরো কয়েকজনের নাম হয়তো বলা যাবে।

খুব কম লেখকের গদ্যের কথা বলা যাবে আসলে, শ্রীনীরদচন্দ্রের স্টাইলটা ভাল্লাগছিলো, ফুকো’র ইংরেজি অনুবাদ পইড়া মনে হইছিলো বলা’র ধরণটাও ইম্পর্টেন্ট জিনিস। ব্রাত্য রাইসু, সুমন রহমান আর রক মনু’র গদ্য আমার পছন্দের।


ইমরান আহমেদ ডিউক
 সাহিত্য করতে আইসা আপনার অস্বস্তির জায়গা কোনখানে? আপনার কি স্বস্তির জায়গা তৈরী হইছে?হইলে কোথায়?

Imrul Hassan ইমরান আহমেদ ডিউক, সোশ্যাল জায়গাটাতে অস্বস্তি ছিলো, এখনো কম-বেশি আছে, তবে অনেকটা ইউজড টু এখন। সোশ্যাল জায়গাটা বলতে সামাজিক যেই যোগাযোগ সেইখানে কেউ যখন আমারে কবি/রাইটার হিসাবে ট্রিট করতে যায়, সেইটা বেশ অকওয়ার্ড হয়; খুববেশি ‘পাত্তা’ দিয়া ফেলে যে, লেখক/কবি মানে ‘একটা কিছু’; আবার হাসি-ঠাট্টা’র জিনিস মনে করে :); মানে, একজন ‘কবি’ একজন ‘সামাজিক মানুষ’ – এইটা বেশ কঠিন একটা জায়গা মনেহয়, আর্টিকুলেট করতে পারা’টা।

স্বস্তি’র কোন স্ট্যাবল জায়গা আসলে নাই। যখন খুব লো টাইম থাকে তখন মাঝে মাঝে নিজেরে বুঝাইতে চাই যে, কিছু হোক বা না হোক, এটলিস্ট আমি তো ট্রাই করছি বা করতেছি। 🙁 এইটুকই আর কি!


Leave a Reply