ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ!

 

আপনার বউ আপনারে ভালোবাসে, এতোটাই যে আপনি অ্যাডাল্টারি কইরা ধরা খাওয়ার পরেও যদি প্রুভ করতে পারেন, একটা মোমেন্টেও (তবে অবশ্যই সেইটা পাবলিকলি হইতে হবে, টিভি-রিয়ালিটি শো’তে হইলে আরো ভালো) যে, আপনি তার লাইগা ফিল করেন; তাইলে শে আপনার লাইগা খুনও করতে পারে! তখন আপনার হয়তো একটু ডর লাগতে পারে, কিন্তু দ্যাটস লাইফ। ভুল যখন করছেন, ভয় তো একটু থাকতেই পারে লাইফে, তাই না?

বেন অ্যাফ্লেকের আগের মুভি আরাগো’টা আছিলো ইরান নিয়া আম্রিকার টেনশনটা; যে, ইউর কান্ট্রি নিডস ইউ! হলিউড’রে দরকার তখন আম্রিকার! এই বছরের মুভি গন গার্ল’টারে বলা যায়, ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ! আরাগো-তে ফেইক জিনিস কইরা, মিথ্যা কথা বইলা মানুষ’রে (যে মানুষ হইলো সত্য) বাঁচাইতে হয়। গন গার্ল-এ সত্য গোপন কইরাই মানুষ’রে (যারে আপনি ভালোবাসেন, শে-ই হইলো মানুষ আসলে) বাঁইচা থাকতে হয়। এর লাইগা যারে আপনি ভালোবাসেন না, তারে মাইরা ফেলাটা জায়েজ আছে। যেই মানুষের মনে ভালোবাসা নাই, মানে যারে আপনি ভালোবাসেন না, সে আবার মানুষ কেমনে হয়! কুত্তা-বিলাইও মানুষ হইতে পারে, আপনি ভালোবাসাতে পারলে! ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের ওরাও এইটাই দেখে।

হলিউড-এর হিউমার’টাও দেখতে পারেন এইখানে, আর্ট লইয়া। বউ-টা যখন ডিসাইড করে যে, পুরান বয়ফ্রেন্ড’রে খুন করবে তখোন শে বলে, আরে কেউ কি আর তোমার মতো এইটিন সেঞ্চুরির আর্ট নিয়া কথা বলতে পারে! আমার জামাই ত খালি টিভি’র রানিং কমেন্ট্রি দেয়। পরে শে তার আর্ট-লাভার প্রেমিকের গলা ছুরি দিয়া কাটে চুদাচুদির সময়। পরে অবশ্য জামাইটা সন্দেহ করতে পারে শে যে প্রেগনেন্ট এইটা তার আর্ট-ওলা প্রেমিকের কাজ। এই সন্দেহটাই আর্ট আসলে।

এখন সত্য আপনি অনুমান করতে পারেন, জানেন; কিন্তু প্রুফ করতে পারবেন না। আমাদের সোশ্যাল লাইফ হইলো একটা প্যারানইয়া। টু বিকাম অ্যা প্যারানইয়া ইজ দ্য সলিউশন অফ আওয়ার সোশ্যাল ইস্যুস… সোশ্যালটা আসলে কোন সমস্যা না! আমরা যে আমরা’রে গোপন করতে পারি, এইটাই হইলো মিনিং অফ দ্য সোশ্যাল।

হলিউড মনেহয় জিজেক-এর সাজেশনটারে প্রাকটিক্যালিই নিয়া নিছে; যে, যখন আপনি ইন্টারেস্টিং হইতে পারেন, আপনি হ্যাপি কেন হইবেন!

 

Leave a Reply