কবিতা: জুলাই, ২০১৯

রেইনবো

ভণিতার লগে পথ হাঁটলাম,
বললাম, “বৃষ্টির পরে রাস্তায় হাঁটতে আরাম…”

ভণিতা হাসলো তখন,
অল্প একটু রইদের মতোন

যেন কোন অরিজিনালিটিরই আর কোন দরকার নাই
আমরা বুঝলাম,

একটু কথা বলার পরে আমরা ভাবলাম
অনেক অনেক নিরবতাই তো ভালো,
একটা সকালবেলার


মরা কুয়ার কাছে

একটা জিনিস মনে না রাখার লাইগা
অনেককিছু ভুইলা থাকতে চাইতেছি আমরা

মরা কুয়ার কাছে গিয়া বইলা আসতেছি,
“ভুইলা যাইও না!”


আমাদের আকাশের মেঘ

আমি তোমারে দেখবো না,
তোমার পাশে বইসা দেখবো, আকাশে মেঘ

কালো একটা স্লেটে শাদা চক দিয়া কিছু একটা লেখার পরে
মুইছা দিলে যেইরকম ঝাপসা, গ্রে একটা কালার
হয়া থাকে; আমরাও এইকরম
কথা কইতে থাকবো, আর
আমার পাশে বইসা তুমি দেখবা, আকাশে মেঘ…

তুমি আমারে দেখবা না, বলবা “মেঘ
একদম তোমার মতোন, এতো মিথ্যা কথা
কয়!”

আমার ঘরে

যেন আমার ঘরে কেউ নাই
আমার ঘরে তিনজনা চোর
চুরি করতে আসছে

একজনে সোনা-দানা খুঁজে
একজনে বস্তায় ভরে
আর একজনে দরজা পাহারা দেয়

তিনজনা চোর চইলা গেলে
আমার ঘরে থাকবো না আর কেউ
অরা আসছে চুরি করতে, তারপরে চইলা যাবে

ইনসিকিওরিটি

আমি বলতেছি, আমার দুনিয়া, তোমার কাছে।
তুমি বলতেছো, তোমার দুনিয়া, আমার কাছে।

আমরা দেখতে চাইতেছি আমাদেরকে; দেখো
এইভাবে এইভাবে আমি দেখতেছি

একটা বারান্দা, মরা অপরাজিতার ডাল বাইয়া
উঠে যাইতেছে করলার পাতা…
আর তারপরে গভীর গর্ত একটা, আমাদের
না-দেখার

ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স

একটা ঝাপসা আলোর নিচে
তোমার দিকে তাকায়া আছি, দেখতেছি
তুমি দেখতেছো আমারে

একটা বৃষ্টির ফোঁটার মতো আমি 
তোমার চোখের ভিতর,
সরে যাওয়ার আগে
কাঁপতেছি

তির তির একটা অন্ধকারের ভিতর
তির তির আরেকটা অন্ধকারের মতোন

বৃষ্টির কবিতা

“আমাদের ভূতগুলা তো কোনদিন আমাদেরকে ছাইড়া যাবে না!”

আমি কইলাম, আর তুমি
শুনলাও না; আমাদের ভূতগুলা
নিয়া যাইতেছে তোমারে, 
কোনোদিন
আর ফিরায়ে দিবে না!

আমি দেখলাম, অন্ধকারে একটা হাতি
তার শূঁড় দিয়া পানি ফেলতেছে,
তুমি বললা, বৃষ্টি নামতেছে, আবারো…

দুপুরবেলা

দুপুরের অলিতে-গলিতে কতো যে বাতাস
কতো যে রইদ আর কতো যে ছায়া

একলা একটা ঘরের ভিতর একলা একটা জানালা
শুয়ে শুয়ে আমরা দেখতেছি…

দুপুরের অলিতে-গলিতে কতো যে বাতাস
কতো যে রইদ আর কতো যে ছায়া

একটা বাতাসের মতোন

আমি শুনতেছি তোমার কথা,
যেইভাবে একটা বাতাস
অনেক শাদা মেঘ উড়ায়া নিয়া আইসা
বসে একটা ছাদের কোণায়,
যেন আর কোথাও যাইবো না সে

আমি শুনতেছি তোমার কথা,
এইরকম একটা বাতাসের মতোন

সন্ধ্যায়…

দৃশ্যগুলা মুছে যাবে;

মনে হবে, কেউ ছিল
নাই আর।

অন্ধ হয়া যাওয়ার পরে

অন্ধ হয়া যাওয়ার পরে আমি কানবো,
আমি বলবো, কেমনে যে আমি দেখতাম!
কেমনে যে আমি দেখতে পাইতাম,
এই রঙের দুনিয়া!

আমি বলবো এখন, কিন্তু
দেখবো না আর,
অন্ধ হয়া যাওয়ার পরে আমি ভাববো
দেখার দুনিয়া’টা ছিল, কেমন জানি
সোজা ও সরল…

 

Leave a Reply