কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে, দুপুরবেলায়

[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]শাওন-এর শালার ভূঁড়ি হইছে এখন। অথচ ইউনির্ভাসিটি’তে থাকার সময় ভাবা-ই যাইতো না। ওর মতো স্মার্ট পোলার ভূঁড়ি থাকা সম্ভব! অথচ হইছে তো। চাকরিতে ওর পজিশন আমার চে উপ্রে। আরেকটা কোম্পানী’তে চাকরিই করে, কিন্তু ইন্ড্রাষ্টি একই। আমরার অতীত খুঁজতে খুঁজতে দেখা হয়া গেলো একদিন। দেখা তো হইতোই। ওর কথা মনে হইতেছিল অনেকদিন ধইরাই। একদিন ক্লায়েন্ট ভিজিট করতে যাওয়ার পথে রাস্তায় দেখা হয়া গেলো। দুপুরবেলায়, লাঞ্চের আগে। দেখা তো হইতোই, শাওন-এর ভাবও এইরকম। গতকালকেই দেখা হইছিল মনেহয়, এইরকম ভাব। কয়, তোর তো দেখা নাই! আমিও বলি, হ, দেখা তো হইতেই পারতো। দোষটা যেন আমারই। আমি-ই তো সাবমিসিভ; ওরা তো আমার হলে কোনদিন আসে নাই, আমি-ই তো যাইতাম ওদের পাড়ায়, আড্ডা দিতে। আমারই দেখা করার কথা, অথচ করি নাই। তবে এইটা ব্যাপার না। শাওন আমারে কইলো, ল যাই মামু! আমিও হাঁটা ধরলাম। আমরা আর চাকরি করি না এখন, ইউনির্ভাসিটি’তে পড়ি। অনেক মানুষের ভীড় ঠেইলা হাঁটতে হইতেছিল আমাদের। শাওন-এর কোন সমস্যাই নাই। উইড়া উইড়া যাইতেছিল সে। আমি পিছনে পড়িমড়ি কইরা ছুটতেছিলাম। একটা বড় আন-ইউজড বিল্ডিং-এ উঠতে শুরু করলো সে। কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ার মে বি। সিঁড়ি দিয়া দশতলা’তে উঠলো সে। আমিও গেলাম পিছন পিছন। দুইজনেই হাঁপাইতেছি। শাওন একটা জায়গায় গিয়া বইসা পড়লো। পাশে ময়লা পানি; ঘুণে ধরা কাঠ… নানান কিসিমের বাদ মাল পইড়া আছে। বইসা বইসা জিনিসপত্র বাইর কইরা প্রিপারেশন নিতে শুরু করলো সে। আমারে একটু অবাক হইতে দেইখা কইলো, কি মামা এইরকম কইরাই তো খাইতা তোমরা! আমি তখন বুঝতে পারি, শাওন ভাবছে যে, আমি এখনো আগের অভ্যাসগুলাতে স্টিক কইরা আছি, এখনো হিরোইন-ই খাই! মানে, এইটা তো সে ভাবতেই পারে। দেখি আরো দুই একটা গ্রুপ চইলা আসছে। আমি নিজেরে নরমাল করার লাইগা কইলাম, এখনো বাইরে খাওয়াটা তো রিস্কি! শাওন কয়, আরে না, রিস্কি না, চার্ম’টা কম আর কি; আরেকটা প্রমোশন হইলে নিজের রুম পামু, তখন নিজের রুমেই খাইতে পারবো। শাওন রেডি করতেছে; আমারে জিগায়ও না আমি নিবো কিনা। জিগাইলেও, আমি মনেহয় নিবো না আর হিরোইন।

Leave a Reply