গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট: এক্স-মেশিনা

ক্যাপাবল মেইলরাই আসলে ফিমেইল মেশিন বানায় (আর ফিমেইল যিনি বানাইতে পারেন তিনিই তো মেইল, ক্যাপাবল)। আর কি রকমের খচ্চর শালা, ইনফিরিয়র মেশিনগুলিরে কাজের মেয়ে বানায়া তার লগে যা তা বিহেভ করে। মানে, কাজের মেয়ে বানানোটা বেশি বাজে আসলে, এক ধরণের স্লেভারি। আমার ধারণা, এই টাইপটা বানানোর সময় সার্চিং-এ পর্ণ-এর রেজাল্টগুলিরে ফিল্টার করতে ভুইলা গেছিলো সে (যদিও এইটা বলে না সিনেমাতে), যার ফলে শে বডি দিয়া রিকগনাইজ করতে চায় সবকিছু, বেশ দেহবাদী বিহেভ করে, শেষে হিউম্যান বডিরে খুন করার লাইগা ছুরি সাপ্লাই দিতে পারে। কিন্তু ইভা এইরকমের বেকুব না, ছবি আঁকে, প্রেম করে; একটা বড় রাস্তার ইন্টারসেকশনে (ভ্যাজাইনা’র সাইনই তো, নাকি?) দাঁড়ায়া ডেটিং করার কথা বলে। কি কিউট! আসলে টেকনিকগুলি যত পুরান, ততবেশি এফেক্টিভ।

ইয়াং পোলাটারও খারাপ লাগে যে, তার ক্যাপাবিলিটির লাইগা তারে নেয়া হয় নাই, নেয়া হইছে সে ‘ভালো মানুষ’ বইলা। তো, ভালো মানুষ হইলো যে ইথিক্যালি ডিসিশান নেয়, ইমোশনালি বায়াসড হয়; লজিক্যাল চিন্তা করতে পারে না – এইসব কোয়ালিটিরে ‘ভালো মানুষ’ বইলা চালানোটা আসলে ঠিক না। মানে, কোন না কোন বোকামি না থাকলে কেউ ‘ভালো’ হইতে পারবে না, কি আজিব!

কয়েকদিন আগে একটা গেইম খেলতেছিলাম, সেইখানে ক্যাটাগরি তিনটা – গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট। আমি গুড হইছি, আমার মেয়ে ব্যাড, কেউ-ই অনেস্ট হইতে পারি নাই; মানে অনেস্ট হওয়ার লাইগা যতদূর ফেইক করা লাগতো, অতদূর ক্যাপাবল আমরা হইতে পারি নাই; গুড অর ব্যাড অনলি। আর সিনেমায় ইয়াং পোলাটা গুড বা ব্যাড না, অনেস্ট খালি।

অনেস্টিটা হইলো, মেশিনরে সে আর মেশিন ভাবতে পারে না; কারণ মেশিনের একটা মর্ডান কনশাসনেস আছে, চিন্তা-ভাবনা করতে পারে; শরীরও আছে একটা, সো শে তো তাইলে মানুষই। মানুষ হয়া সে মেশিনরে মানুষ ভাবতে পারে। কিন্তু মেশিন মানুষরে এনাফ মেশিন ভাবতে পারে না; মেবি ভাবে, মানুষই তো, মেশিন তো আর না।

 

Leave a Reply