ট্রমা: ডেক্সটারের ঘটনা

Dexter-এ এইরকম একটা সিন আছে:

ফার্স্ট সিজনে ডেক্সটারের বইনের কাহিনি মিডিয়ায় চইলা আসার কারণে তারে মায়ামির পাবলিক চিইনা ফেলে; শে যে পুলিশ এর বাইরে তার সেলিব্রেটি আইডেন্টিটি হয়া উঠে আইস-ট্রাক কিলারের গার্লফ্রেন্ড। এইটা তার লাইগা বেশ ট্রমাটিক ঘটনা। যেই লোক এতোগুলি মানুষরে খুন করছে, তারে সাথে প্রেম করছে যেই মেয়ে শে তো একটা ঘটনাই।

একদিন রাতে শে যখন ডেক্সটারের (তার ভাইয়ের) গার্লফ্রেন্ডের লগে একটা পাবে যায়, তখন এক বেটা তারে সাইড থিকা দেইখা কয়, আরে তোমারে তো চিনা চিনা লাগতেছে… কই দেখছি তোমারে?… বইলা তার দিকে আগায়া আসে। শে তো তার চেহারা লুকাইতে চায়। তখন বেটাটা পিছন থিকা আইসা তার কাঁধে হাত দিয়া চেহারাটা দেখতে চায়। ওই মোমেন্টটাতেই শে স্ট্রাইক করে। ঘুইরা পাঞ্চ করে বেটাটার নাকে। সবাই অবাক হওয়ার আগেই শে চিল্লান দিয়া উঠে, ও আমারে জড়াইয়া ধরতে নিছিলো! ও আমারে জড়ায়া ধরতে নিছিলো! তখন সবাই অবাক হয়, চুপ কইরা থাকে; মেবি ভাবে, মেয়েটার কি কোন প্রব্লেম আছে? শেও যখন বুঝতে পারে যে ওই ট্রমাটা এখনো তার রইয়া গেছে, তখনই শে ভুল বা মিথ্যা ক্লেইমটা করে যে, লোকটা তারে বাজেভাবে জাড়ায়া ধরতে নিছিলো; এইভাবে হাইড করে নিজের ট্রমারে।

পাবলিকের মনে যেই ধারণাটা, ইমেজটা – সেইটা কন্সটেন্ট একটাকিছু, সেই কন্সটেন্ট ভাবনাটা তারেও দখল কইরা রাখে, পিপল বারবার তারে রিমাইন্ডার দিতে থাকে। [সেলিব্রেটি’র ঘটনাটা মনেহয় এইরকম অনেকটা।] নরমালি যেইটা হয়, মানুষ মেবি ঝুঁইকা পড়ে এই আইডিয়াটার দিকে; যে, কেউ আপনারে কইলো মোটা বা কেউ আপনারে কইলো শাদা, আপনি তখন ভাবতে পারেন তো এইরকম; যে, আপনি মোটা বা আপনি শাদা। মানে, সেইটা যে না, তা না! এর বাইরে আপনি তো খাটো বা লম্বা, আরো অনেককিছুই তো… তো, এইরকম একটা জিনিসের মধ্যে আটকাইয়া থাকাটা বেশ বাজে জিনিসই।

বাজে জিনিস মেবি ওইটাও যখন তারে অস্বীকার করা লাগে।  ঘটনাটা ঘটার সাথে সাথেই তারে ক্লেইমটা করতে পারতে হয়, যে আমি তো তা না; তখন অন্য একটা ফ্রন্টিয়ারে নিয়া যাইতে হয় ভাবনাটারে। তা নাইলে শে নিজেরে নিতেই পারবে না। শে নিজেও জানে যে, অন্য কেউ বিশ্বাস করবে না; এই কারণে তার আগে নিজেরে বিশ্বাস করা লাগে, যাতে অন্যরা কনফিউজড হইতে পারে। হয়ও তো মনেহয়, একটু।

মানে, ট্রমা বইলা যেই সাইকোলজিক্যাল ঘটনা, সেইটা তো আসলে একটা সোশ্যাল ফেনোমেনাই। একলা একলা কারো পক্ষে ট্রমাটাইজ হওয়াটা একটু টাফই হওয়ার কথা। 🙂

 

Leave a Reply