পেগি

ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন আম্রিকা’তে একটা ছোট ফিমেইল কারেক্টার আছে, পেগি নামে। পেগির সাথে কিশোর ডেভিড অ্যারিনসনের (নুডুলস নামটাই বেশি সুন্দর আসলে) ফার্স্ট এনকাউন্টার হয় টয়লেটে, পেগিরে আসতে দেইখা সে টয়লেটের ছিটকানি খুইলা রাখে। সে প্রেমে পড়ে ডোর্বা’র, কিন্তু সেক্স করতে চায় পেগি’র লগে। কারণ শে সেক্স বেচে, অনেকবেশি রিচেবল এবং রিয়েলও মে বি। পেগি এমনিতে ব্যবসায়ীই, কিন্তু তাঁর পুঁজি কম, শরীরটা খালি। কিন্তু পেগির ব্যবসাটারে মূলধন কইরা ম্যাক্স-নডুলুসরা আরো বড় ব্যবসা করে।
পেগির সাথে পুলিশ অফিসারটা সেক্স করার সময় ওরা ছবি তুইলা পুলিশরে কব্জা কইরা ওদের গ্যাং’টা দাঁড়া করাইতে পারে। পরে পেগিও থাকে ওদের সাথে। শে গ্যাং’টার মেম্বার না, কিন্তু গ্যাং’টার সাথে কানেক্টেড, ওদের সব পার্টিতে শে থাকে, আড্ডা দেয়, লাগলে সার্ভিসও দেয়, এইরকম।

সার্জিও লিয়ন এমনিতেও ফিমেইল কারেক্টারগুলি নিয়া খুবএকটা সুবিধা করতে পারতেন না মনেহয়। একটা পোলা-টাইপ সেক্সুয়াল নৈতিকতা উনার আছিলো। যেমন, ক্যারল যখন ম্যাক্সরে চুজ করে তখন নুডুলসরেও বলে জয়েন করার লাইগা, কিন্তু সে সইরা যায়, কয় যে, এইটা ওর টাইপ না। এইখানে সে আসলে মাইন্ডই করে; যদিও একবার সে তারে রেইপ করছিল। মেবি সে ভাবে, ওই একবার রেইপ কইরা দখলী মালিকানা পাইছে সে শরীরটার। কিন্তু ক্যারল তার দিক থিকা সবচে ভালো অপশনটারেই চুজ করে, কারণ ম্যাক্স কথা বলে পয়লা, এইটা একটা ইন্ডিকেশন যে সে হইতেছে লিডার। এই সিনটাতে পেগি আছে।
পরে ডোর্বা’র সাথে প্রেম করতে গিয়া নুডুলস যখন সেক্স করতে পারে না, তারে রেইপ করে। ডোর্বা’র ডিজায়ারটারে সে মাইনা নিতে পারে না। শে তো অ্যাকট্রেস হইতে চায়, আর নুডুলস তার সাথে প্রেমই করতে চায় খালি। না পাইরা রিভেঞ্জ নেয়ার ট্রাই করে এবং চূড়ান্তভাবে ফেইলিওর হয়।
মোরালিটির দিক থিকা ফিমেইল কারেক্টারগুলি বেশ ঢিলা। ওরা সেক্সুয়ালিটি নিয়া প্লে করতে রাজি, নেগোশিয়েটও; এইটা তাদের ওয়ে অফ লাইফ। কিন্তু যেই ফিমেইল কারেক্টার সেক্সুয়ালি যতবেশি লিবারাল, তার পরিণতি তত বেশি খারাপ, সিনেমায়। পেগি যে এই সার্ভিস দিয়াও পার্ট অফ গ্যাং না সেইটার একটা কারণ হইতে পারে বেশ্যা হওয়ার বাইরেও তাঁর সেক্সুয়াল লির্বাটি; যে শে আসলে ওইটুকই, মানে তার শরীর বেচার আইডেন্টিটি নিয়াই শে হ্যাপি, এর বেশি কিছু হইতে পারে না। এই না-পারা নিয়া তার ঠোঁট ভ্যাংচানি আছে, কিন্তু এই ফাঁপা ডিজায়ারটার মধ্যেই সে আটকা। একটা সময় পরে শে পুরা আউট অফ সিন, অ-দরকারি, কারণ টাকা হইলে তার সার্ভিসের আর দরকারই নাই। ক্যারল’রে পাওয়া যায় ওল্ড হোমে আর ডোর্বা সাকসেসফুল অ্যাকট্রেস হইলেও একটা ফেইক লাইফ নিয়া তারে বাঁইচা থাকতে হয়।
ব্যাপারটা ঠিক এইরকম না যে ওরা খালি সেক্সুয়াল অবজেক্ট, বরং ওরা যে এইটা ফিল করতে পারে এবং সেইভাবে অ্যাক্ট করতে পারে, ঘটনা এই জায়গাটাতে; সেক্সুয়ালিটি (খালি সেক্স না) বেইচাই তাঁদেরকে চলতে হয়। প্রজেকশনটা এইরকম। ইভেন ডোর্বা, যে এইটা মনে করতে চায় না, ওই জায়গাটাতেই আটকাইয়া থাকে; শেষমেশ একটা রিভেঞ্জ ইলিমেন্টই শে, বিটুইন ম্যাক্স এবং নুডুলস। আমার মনেহয় না সার্জিও লিওন জিনিসটারে ভুলভাবে পোর্টেট করছেন বা এইরকমকিছু। উনি যা করছেন, জিনিসটারে আরো বেশি ভিজিবল কইরা তুলছেন। দ্যাটস হাও, হোয়াট হি ইজ।

Leave a Reply