রিডিং হিন্দি সিনেমা ইন বাংলাদেশ।

[এই লেখাটা লাল জীপের জায়েরী‘র জন্য লিখছিলাম; কমেন্টেও বেশকিছু কথা হইছিল সেইগুলিসহই রাখলাম।]

এইটা মোটামুটি বেশ চোখে পড়ার মতো ঘটনা যে, বাংলাদেশে সবচে বেশি কনজিউম হয় হিন্দি সিনেমা; কলকাতার বাংলা, বাংলাদেশি বাংলা, হলিউডি ইংলিশ এবং অনান্য ভাষার সিনেমা (মানে, আর্ট ফিল্ম   আর কি,  যেহেতু এক টিকেটে দুই-সিনেমার মতো হংকংয়ের সিনেমা ত আর দেখায় না এখন সিনেমাহলগুলা)- এইরকম ক্যাটাগরি করলে; কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমার কনজামশন নিয়া তেমন কোন রিডিং দেখি নাই।

আমার দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতা এইক্ষেত্রে প্রশংসাযোগ্য হইতে পারে। কিন্তু ধরেন, সিনেমা নিয়া নানান ধরণের লেখা, অনুবাদ তো দেখছি; সিনেমা থিওরী, ক্লাসিক্যাল মুভিস, গ্রেট ডিরেক্টরস, ইন্টারভিউ, হলিউডের সিনেমার  ইন্টারপ্রিটেশন, এমনকি স্ক্রিপ্ট-অনুবাদ। তার মানে, ক্যাটাগরি হিসাবে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা, বাংলাদেশে সিনেমার আলাপের ভিতর আসতে পারে না, এইটা আমার প্রথম অ্যাজাম্পশন।

কেন আসে না বা করা হয় না, সেইটা নিয়াও কিছু অনুমান করা সম্ভব। ১৯৮০র দশকে ভিসিপি যুগ থিকাই দেখছি, হিন্দিরে ইন্টেলেকচুয়ালি একটা ইনফিরিয়র ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে কনসিডার করা হয়। কারণ, আমাদের ইন্টেলেকচুয়াল বেইস হইতেছে লিখিত সাহিত্য; রবীন্দ্রনাথ বাংলায় লিইখা নোবেল পাইছেন (হোক না একশ বছর আগের কথা), আবার উর্দুতে যা-ও ধরেন, মান্টো, ফয়েজ, ইকবাল… উনারা আছেন; হিন্দি’র ত সেই বেইজ-ই নাই; খুবই ফাঁপা একটা ভাষা এবং এর সিনেমাও খালি অহেতুক নাচ-গান, সুড়সুড়ি এবং হলিউডের নকল!

Zindagi Na Milegi Dobaraযদিও রিসেন্টলি ভ্যারিয়েশন বাড়ছে, হিন্দি সিনেমার; যেমন ধরেন, আমির খানের তারে জামিন পে‘র কথা ইউনির্ভাসিটির টিচারও তার ক্লাশের স্টুডেন্টদের রিকমেন্ড করেন দেখার জন্য, গ্যাংগস অফ ওয়াসিপুর অস্কারে যায়; এই কারণে কাহিনি-সংক্ষেপ লেখা হয় বিনোদন পাতায় এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে (মাঝে-মধ্যে, সবসময় না; যদি ইন্টেলেক্ট কোন উপাদান খুঁইজা পাওয়া যায়); তারপরও মোটামুটি হিন্দি সিনেমার মূল ট্রাডিশন একটা নেগেটিভ ফেনোমেনা হিসাবেই পারসিভড হওয়ার ঘটনা, বাংলাদেশে। কিন্তু এইরকম বাজে পারসেপশনের পরেও, গড়ে এমন কোন মধ্যবিত্ত মধ্যবয়স্ক (গড় বয়স ৭০ ধরলে, ৩৫ বছরের) মানুষ (পুরুষ এবং মহিলা) বাংলাদেশে পাওয়া সম্ভব না, যিনি সিনেমা দেখেন এবং শ’খানেক হিন্দি সিনেমা দেখেন নাই। এইটা অনেকটা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ার মতো ঘটনা; এন্টারটেইনমেন্টের জন্য পড়া/দেখা, টাইম-পাস; কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল কোন ভ্যালু আসলে নাই!

অথচ এই টাইম পাস এর ভিতর দিয়া যে ভ্যালুস সে সার্ভ করে; সেইটা পাবলিক অ্যাসথেটিকসরে গ্রসলি নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে, বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমারে ইগনোর করাটা কোন কাজের জিনিস বইলা মনে হয় না। কারণ এইটার একটা কনসিন্ডারেবল লেভেলে ইনফ্লুয়েন্স আছে আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং জীবন-যাপনে।

এইটা যে আছে সেইটা নিয়া কোন কথা বাড়াইয়া সম্ভবত কোন লাভ নাই। বরং কেন এবং কিভাবে আছে সেইটা নিয়া কথা বলা যাইতে পারে। অ্যার্পাট ফ্রম বড় পুঁজি এবং টেকনিক্যাল সুপিয়রিটি, হিন্দি সিনেমা ক্যান ক্রিয়েট লার্জার ইমেজ- এইটা একটা বড় দক্ষতা এবং এইটা মোটাদাগে তৈরি হয় রেদার দ্যান জীবন-ঘনিষ্ঠ হওয়ার চাইতে অবজেক্টিভ হিসাবে ইমেজের পারফেকশনের বাইছা নেয়াটার কারণে । সবক্ষেত্রে যে একজেক্টলি এইটাই ঘটে, তা না; কিন্তু এইভাবে ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে একটা প্রবণতা হিসাবে, যা হিন্দি সিনেমারে মোটাদাগে অডিয়েন্সের কাছাকাছি নিয়া আসে। কারণ দর্শক নিজ’রে ইমেজ হিসাবে দেখতে চায় না; ইমেজরে নিজ হিসাবে পারসিভ করতে চায় আর বেশিরভাগ জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমাই একটা স্পেস রাখে যেইখানে ব্যর্থ প্রেমিক হিসাবেও আপনি নিজেরে মহান ভাবতে পারেন, সেই কমল হাসানের ‘সাগর’  থিকা শুরু কইরা সঞ্জয় দত্তের ‘সাজন’ পর্যন্ত।

omshantiom_08_8x6হিন্দি সিনেমার ইমেজের সর্বগ্রাসীতা আপনি টের পাইতে পারেন, ‘ওম শান্তি ওম’  সিনেমাটা দেখলে, যেইটা ইটসেলফ হিন্দি সিনেমার একটা জিস্ট’রে রিপ্রেজেন্ট করতে চায় (এই সাজেশনটা টের পাইবেন সিনেমার শুরুতে হলের ভিতরে পর্দায় যে গানটা দেখায়, সেইখানে সিক্সটিইজের থিকা শুরু কইরা রিসেন্ট সময় পর্যন্ত নায়ক-নায়িকাদের কস্টিউম এবং ষ্টাইলরে নিয়া ফানের ভিতর দিয়া; যেহেতু সে ফান করার যোগ্যতা রাখে, সে এই অ্যাক্টের ভিতর দিয়া তারে ডিফাইন করার অথরিটিও হয়া উঠে)। যেমন ধরেন, সিনেমাটাতে শাহরুখ যে দীপিকা’র প্রেমে পড়ে, তা কিন্তু না; সে দীপিকা’র যে নায়িকা-রূপ তার পূজারী, সে তার সেই ইমেজের দর্শক, দিওয়ানা (অবশ্যই শাহরুখের প্রথমদিকের সিনেমা না, বিশেষণ অর্থে, তার ক্রিয়া)। একইভাবে সেকেন্ড হাফে দীপিকা কিন্তু শাহরুখের নায়ক-ইমেজের গ্রাহক, স্ক্রীনে তার হিরোটিক (এই অর্থে ফানি) কান্ড-কারখানা দেইখা চুম্মা খাইতে চায়। শেষ পর্যন্ত লাইফ (হিন্দি সিনেমা) এইটাই, সবকিছু সবশেষে ঠিকঠাক,  ফিল্ম-ফেয়ার অ্যাওর্য়াডে শাহরুখ খানের প্রেতাত্মা শাহরুখ খানরে দিয়া যা বলাইয়া নেয়। এই সিম্বলটাও কিন্তু খারাপ না, একটু ফার্সিক্যাল আর কি!

এমন না যে, শাহরুখ খান-ই বলেন খালি; আমির খান, সালমান খান’রা নাই। সালমান খানের ক্যামব্যাক’টা দেখেন –  পুরুষের ম্যাচো ভাবনারে দম তার মতো আর কে দিতে পারতেছে! নম্র, ভীতু, পুতুপুতু, নাভীর নিচে একটু মেদ জমা নায়িকারা ছাড়া কোথায় আর পুরুষ-প্রতিভা (অর্থাৎ ইট ক্যান বি ট্রান্সলেটেট অ্যাজ, আপনার নারী-ভক্ত ছাড়া  আপনে কিসের লেখক মিয়া!)? আর আমির খানের সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি স্কিম ছাড়া ইন্ডিয়ান কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে নিজেরে মোর হিউম্যান কইরা তু্লবে? এইসব নায়ক-ইমেজের কথা বাদ দেন। নায়িকাদের ফিজিক্যাল অ্যাপিরিয়ান্সের কথাও বাদ দেন; এক একটা ইন্ডিভিজ্যুয়াল মুভিরেই ধরেন, দেখবেন তারা কি রকমের পাওয়ারফুল ইমপ্যাক্ট তৈরি করতেছে বাংলাদেশে।

lagaan_ver5_xlgএক একটা ইন্ডভিজ্যুয়াল মুভিরেই পড়ার চেষ্টা করেন, দেখেন তারা কি নৈতিকতা এবং নন্দন সাজেস্ট করে আপনারে। সালমান খানের ‘গর্ব ‘ সিনেমাটা’র কথা আবছাভাবে মনে হইতেছে যেইখানে পুলিশ অফিসার সন্ত্রাসীদের (এই শব্দটা নিয়া ঝামেলা আছে, পরে ক্লিয়ার কইরা নিবো নে) মতো কইরা সন্ত্রাসীদের খুন করতে পারে কোন বিচার ছাড়া, কারণ এইসব আউট ল’রা যেহেতু আইন মানে না, তাদের জন্য আইন মানা’র কি দরকার? সাউন্ডস ফিমিলিয়ার উইথ আওয়ার র্যার স্ট্রাডেজি? আর এত এনকাউন্টার দেখানো হইতেছে যে, ইট শ্যুড নট বি অ্যা ম্যাটার অফ ডিসকাশন।

অথবা একটু ‘ভালো’ সিনেমারে নেন- ‘দিল চাহতা হ্যায়’ অথবা ‘জিন্দেগী না মিলেগি দুবারা’। বন্ধু দিবসের ভাবনা। লাইফ ইজ অ্যান ইন্ডিভিজ্যুয়াল ফেনোমেনা শেষ পর্যন্ত। নো আদার আনস্মার্ট পলিটিক্যাল ঝামেলা! অথবা পলিটিক্যাল মুভিগুলাতে আসেন- ‘নায়ক’, ‘রং দে বাসন্তী’ অথবা ‘লাগান’। অ্যার্পাট ফ্রম দ্য নেরেশান অফ নেশন, তারা ইন্টায়ারলি যা বলে সেইটার সামারী করলে দাঁড়ায় যে, রাষ্ট্রের একমাত্র কাজ হইলো, উন্নয়ন। ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানানো, যাতে বিদেশী বিনিয়োগ আসতে পারে স্মুথলি; বুড়া আমলাগুলা যাতে তাড়াতাড়ি চাকরি ছাড়ে অথবা ক্রিকেট- ইহাই ইন্ডিয়া, এইরকমের রাজনৈতিক ফেটিসিজম তৈরি করা।

মানে, এইরকম একটা একটা বাক্য দিয়া একটা একটা সিনেমারে ডিফাইন করার বাজে টেনডেন্সির কথা বলতে চাইতেছি না আমি। কিন্তু দ্য হ্যাভ লট মোর সাজেশনস যা আমরা আমাদের (অফকোর্স মধ্যবিত্ত এবং আল্টা পুওর বাদ দিয়া বাকিরা কমবেশি) ডেইলি লাইফে অ্যাবর্জভ কইরা যাইতেছি, আর বলতেছি, এইসব আমরা দেখি না; দেখলেও মাঝে-মধ্যে। কিন্তু কোন ইন্টার-অ্যাকশন দাঁড়া করাইতে চাই না, কারণ মার্ক্সসিস্ট থিওরি’র মধ্যে এইটার মোকাবিলা জরুরি না! এইগুলা কোন সিনেমা হইলো নাকি, এইগুলা কমন পাবলিকের জিনিস!

যা কিছু পাবলিক খায়, সেইটারে শুধুমাত্র পাবলিকের বাজে রুচি বইলা ইগনোর করলে, পাবলিকের রুচি’রে বা টেনডেন্সিরে কেমনে বুঝা সম্ভব? আর সেইটা বুঝতে না চাইলে, একলা ঘরের কোণে বইসা ভাবনা করা  ভালো কেন যে লোকে হিন্দি সিনেমা দেখে এবং এইটা নিয়া এখন আবার কথা-বার্তা বলার বাড়াবাড়িও করতে চায়, খামাখা!

 

কমেন্টস:

রফিকুল আনোয়ার

ভাই, আপনার লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আপনার উপলব্ধির বিষয় বস্তু নিয়ে আমি একমত, তবে আপনি খুব উপর দিয়ে চলে যেতে চেয়েছেন। কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখাটি’র ধরণ একটু বর্তমান সময়ের হালকা নাটকের মতো হয়ে গেলো, যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা উপস্থাপনের পদ্ধতির কারণে মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। আপনার বিষয়বস্তুটি অনেক বেশি আলোচিত হবার সম্ভাবনা রাখে, আপনি আরেকটু মনোযোগ দিলে এটি একটি খুব প্রয়োজনীয় আর্টিকেল হতে পারে। আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচার করে।

ইমরুল হাসান

মনোযোগ দিয়া পড়ার জন্য ধন্যবাদ, রফিকুল আনোয়ার। লেখাটার উদ্দেশ্য বিষয়টারে হাইলাইট করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছি আমি, এইটা যে অনেকেই নিতে পারেন নাই এইটা পজিটিভ একটা ঘটনাই; কারণ আপনি যদি মনে কইরা থাকেন যে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, তাইলে ‘আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট’ আপনিও ‘বিচার’ করতে পারবেন; আপনি আপনার অ্যানালাইসিসটারে হাজির করতে চাইবেন যা এইখানে বলা হয় নাই; কথা-বার্তা শুরু হওয়া সম্ভব। যে কথা-বার্তা’র জায়গাটা এখন নাই এবং নাই কারণ ব্যাপারটারে আমরা অ-দরকারি ফিল করি বইলাই, যেমনটা এর পরের মন্তব্যেই পাওয়া গেলো।

সামির আশরাফ

আমার লেখার স্টাইলটা খুব বেশি ক্যাজুয়াল এবং আন-অর্গানাইজড- পড়ে শেষ করতে খুবই কষ্ট হল।
যা হোক মেইন কথায় আসি- আর টাইটেল হল ‘রিডিং হিন্দি সিনেমা ইন বাংলাদেশ’- এরপরে আরেক জায়গায় বলা হল- ‘এক একটা ইন্ডিভিজ্যুয়াল মুভিরেই ধরেন, দেখবেন তারা কি রকমের পাওয়ারফুল ইমপ্যাক্ট তৈরি করতেছে বাংলাদেশে।’ কিন্তু
আসলে কি ইম্প্যাক্ট ক্রিয়েট হয়েছে; বা আদৌ হয়েছে কিনা তা কিছুই বুঝা গেলোনা।

এক জায়গায় মনে হল যে আপনি ইন্ডিকেট করছেন যে বাংলাদেশে যেসব এনকাউন্টার/ক্রস ফায়ার/এক্সট্রা-জুডিশিয়াল কিলিং হয়- সেগুলো সালমান খানের ‘গার্ভ’ মুভি দ্বারা অনুপ্রাণিত। একটু হাস্যকর হয়ে গেলো না কথাটা?

“মানে, এইরকম একটা একটা বাক্য দিয়া একটা একটা সিনেমারে ডিফাইন করার বাজে টেনডেন্সির কথা বলতে চাইতেছি না আমি।”- অথচ আপনি তাই করেছেন। এবং খুবই হাল্কা ভাবে করেছেন। সবগুলো পয়েন্টে যাবোনা- আমির খান প্রসংগে আসি। আমির খানের সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি রিলেটেড কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন- আপনি কি জানেন ‘সত্যমে জয়তে’র কারণে ভারতীয় পার্লামেন্টে কয়টা আইন পাস/সংশোধিত হয়েছে? সারা ভারত জুড়ে কত awareness create হয়েছে- তা কি আপনি জানেন? আমির খান নম্রোদা বাচাও আন্দোলনর সময়ে তা সমর্থন করায় গুজরাটে তাঁর ‘ফানা’ ছবির ব্যবসা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘সত্যমে’র শুটিঙ্গের জন্য উনি ১৫০ কোটি রুপির এনডর্সমেন্ট ডিল বাতিল করে দেন। এই ফ্যাক্ট গুলো কি আপনি জানতেন?

ব্যক্তিগতভাবে আমি আমির খানের ফ্যান বলে আমির রিলেটেড কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করলাম। আমি শিওর শাহরুখ বা অন্যান্য অভিনেতাদের ফ্যান রাও উনার অন্যান্য পয়েন্টের দুর্বলতা তুলে ধরতে পারবেন- কারন আপনার লজিক এবং আর্গুমেন্টে অনেক ফল্টস আছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে একটা আর্টিকেল লেখার আগে মিনিমাম রিসার্চ/পড়াশুনাটাও করবেন না- এইটা মানতে পারলাম না।

আরো অনেক (প্রায় সব) জায়গায় আমার অব্জেকশন ছিল- সেগুলোর কথা আর বলবনা। তবে এটা একটা ভালো টপিক ছিল এবং সদিচ্ছা থাকলে এই সাব্জেক্টের উপরে অনেক ভালো একটা লেখা দেয়া যেত।

আপনার শুধু একটা আর্গুমেন্ট ভালো লেগেছে যেখানে আপনি হুমায়ুন আহমেদের লেখার সাথে হিন্দি সিনেমার তুলনা করেছেন। হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশে চলার মূল কারণ হল- এটা সহজপাচ্য এবং হিন্দি ভাষা আমাদের ভাষার কাছাকাছি হওয়া। এছাড়া হিন্দি সিনেমার টেকনিক্যাল এডভ্যান্টেজ/ লোকেশন/ নাচ-গান- এগুলো তো আছেই। আমরা জাস্ট প্লেইন কনসুমার হিসেবে প্রডাক্ট থেকে ইউটিলিটি নিচ্ছি- নাথিং এলস। এর বাইরে রোম্যান্টিক মুভি দেখে ছেলে পেলে হয়ত একটু রোম্যান্স করা শিখে- এই আর কি। এছাড়া অন্য কোনো মেজর ইম্প্যাক্ট আমার চোখে পড়েনাই- আপনার চোখে পড়লে জানাবেন। 🙂

ইমরুল হাসান

থ্যাংকস, সামির আশরাফ ‘কষ্ট’ করার জন্য এবং ‘মেইন’ জায়গাটা নিয়া কথা বলার জন্য। আপনি লেখাটার একদম বেসিক জায়গাটা নিয়াই বলছেন। আমিও তা-ই করি – ‘আমরা জাস্ট প্লেইন কনজু(জুতার চাইতে চিড়িয়াখানাই পছন্দ আমার)মার’ না এবং ‘প্রডাক্ট থেকে ইউটিলিটি’ নেয়ার মাধ্যমেই আমাদের এথিকস এবং এসথেটিকস’রে ডিফাইন করতে থাকি – এইটাই আমার লেখার মূল প্রস্তাব। কেমনে করি? সেইটা নিয়া ব্রাউজ করে গেছি, ডিটেইলে যাওয়ার ‘সদিচ্ছা’ পুরাটাই আছে, তবে তাড়াহুড়া কম। আগে এই জায়গাটাই স্পষ্ট করি, তারপর সামনে যাওয়া যাবে।

এখন বাকি ২/১টা ব্যাপার নিয়া বলি; হাসি-ঠাট্টা একটু করছি আমি, সেইটা ‘মিথ্যা’ না; কিন্তু আপনারে হাসাইতে যে পারি নাই, সেইটা বুঝতে পারছি। ‘গর্ব’ থিকা ‘র্যাব’ শিখছে – এইটা আমার প্রস্তাব না; সিনেমার ইমেজের যে ইনফ্লুয়েন্স সেইটা ‘মিথ্যা’ না – এইটা বলতে চাওয়া; যেমন, ‘৮০ এ ‘আশিকি’ সিনেমার পরে সেলুনে ‘রাহুল কাট’ এর ধুম পড়ছিলো; কেয়ামত সে কেয়ামত তক এর পরে ‘পলাইয়া বিয়া’ করার; কিন্তু এমন না যে এর আগে ও পরে কেউ ব্যাকব্রাশ করতো না এবং পালাইতো না, কিন্তু ইট হ্যাজ গট দ্য এনক্যারেজমেন্ট। আর এইটা যদি অস্বীকার করেন, তাইলে আসলে বলার কিছু নাই।

ব্যক্তি আমির খান এবং তাঁর অ্যাক্টিভিটি নিয়াও আমার কোন অবজারভেশন নাই, বরং তার সিনেমা কি কি ধরণের নৈতিকতার সাজেশন দেয়, সেইটারে ইন্ডিকেট করার চেষ্টা আছে। রং দে বাসন্তী’র জাতীয়তাবাদ – রাষ্ট্রীয় ‘উন্নয়ন’ এর যে ধারণারে সাজেস্ট করে সেইটা ‘আমরা’ বাংলাদেশে নিতে পারছি এবং এইরকম আরো কিছু। তবে স্পেসিফিক আলোচনা তখনই সম্ভব যখন ইস্যুটারে আপনি স্বীকার করবেন। আপনি যে অ-স্বীকার কইরাও স্পেসিফিক হওয়াটা দরকারি মনে করছেন, এইজন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

arpondev

ইমরুল ভাই, আমার মনে হয় আপনি যদি এই লেখার ২য় কিস্তি লেখেন তাহলে পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার হয়…

ইলিয়াস কমল

সিনেমা কখনো সমাজ পরিবর্তন করে না এই কথা সত্যজিত আরো বহু আগেই বলছে। বলছিলো কোন প্রেক্ষাপটে সেইটা মনে করলে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়, সত্যজিতের ছবি ‘হিরক রাজার দেশে’ বাংলাদেশে অপেন প্রদর্শণী নিষিদ্ধ করছিলো এরশাদ সরকার। ঐ ছবির স্লোগান দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান তখন মিছিলের স্লোগান ছিলো। এই কথা শুনে তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক এই অবস্থা থেকে তিনি ছবি বানান নাই। তিনি একটা লোকজ গল্পের ফ্যান্টাসির ছবিই বানাইছিলেন। সেই ক্ষেত্রে ‘টাইম পাস এর ভিতর দিয়া যে ভ্যালুস সে সার্ভ করে; সেইটা পাবলিক অ্যাসথেটিকসরে গ্রসলি নিয়ন্ত্রণ করে’ বাক্যটা বলতে চায় ছবিতে মানবিকতা দেইখ্যা আমরা মানবিক হইয়া যাইতেছি। আসলে কিন্তু তা হয় না। তাইলে চে’ গ্যুয়েভারার দুই পর্বের ছবি বাংলায় দেখলে তো আমরা বিপ্লবী হইবার লাইগ্যা ঝাপাইয়া পড়তাম! তাই এই আলোচনা ধোপে টিকে না। তবে আমার মূল বক্তব্য যা, তা হইলো এইযে হিন্দী ছবি আমাদের ঘরে ঘরে বিনোদনের খোরাক যোগায় তা কেনো? কারণ, এই ছবি আমাগো ‘ভাষার কাছাকাছি হইলেও আমগো ছবি না’। কারণ, আমরা বিদেশী পণ্য বিনা কারনেই ভালা পাই একটু বেশী। তবে হিন্দী ছবির বাজার হিসেবে আমার বাজার যে খুব আকর্ষণিয় হবে এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আর এই কারণে এই সময়ে আইসা বাংলাদেশের সিনেমা হলে হিন্দী ছবি চালানোর ঘোর বিরোধীতা করি আমি। আমি মনে করি, আমাদের ‘তথাকথিত’ পরিকালক ও এফডিসি কেন্দ্রিক কলাকুশলীদের ঐ ছবির সাথে পাল্লা দেবার ক্ষমতা নাই। আর তার জন্য নতুন যে জেনারেশন সিনেমায় আসতেছে তারা মোটামোটি প্রস্তুত হৈয়াই আসতেছে। এই জেনারেশনটা সিনেমায় এস্টাব্লিশ হইলে সিনেমা বদলাইবো। আর তখন আমাদের সিনেমা আর তাদের সিনেমার মধ্যে দূরত্ব কইম্যা আসবো। আর তখন যদি এইসব লুলা-লাফাঙ্গা মার্কা নায়কোচিত সিনেমাও আসে প্রতিযোগীতাটা জম্পেস হইবো। তার আগে হিন্দী সিনেমার লগে আমার দেশের কি সম্পর্ক আছে না নাই, তা নিয়া চিন্তা করাটা আমি সমর্থন করি না। তবে সমর্থন করবো, যদি সেইটা কনটেম্পরারী ওয়ার্ল্ড সিনেমার মতো কইরা চিন্তা করা হয়।

Shahan

“রবীন্দ্রনাথ বাংলায় লিইখা নোবেল পাইছেন (হোক না একশ বছর আগের কথা), আবার উর্দুতে যা-ও ধরেন, মান্টো, ফয়েজ, ইকবাল… উনারা আছেন; হিন্দি’র ত সেই বেইজ-ই নাই” : হিন্দি লেখক হিসেবে মুন্সী প্রেমচাদের কথা উল্লেখ করতে পারতেন যদিও এটা মূল বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়

সামির আশরাফ

কোনো রকম গ্র্যামার-পাংচুয়েশন ইত্যাদি কোনো কিছুই ব্যবহার না করে, ইনফরম্যাল পরিবেশে আমরা নরম্যালি যেরকম ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলি- তার চেয়েও ক্যাজুয়াল ভাষায় আপনি লেখাটা লিখেছেন। এজন্যই ‘কষ্ট’ হয়েছিল। সাধারণত যখন কেউ কোনো লেখা জনসমক্ষে পাব্লিশ করে তখন সে চায় যেন তার লেখাটা অডিয়েন্স বুঝতে পারে। তবে আপনি যদি কোনো Crystal Maze বানানোর চেষ্টা করে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনি ১০০ ভাগ সফল। 🙂

আপনি টাইটেল দিলেন ‘রিডিং হিন্দি সিনেমা ইন বাংলাদেশ’; আর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হল ‘রাহুল কাটের একসময়কার জনপ্রিয়তা’। শুধুমাত্র কি একটা চুলের কাটের কথা বলার জনেই কি আপনার এতো বড় রচনা? তাহলে ‘বাংলাদেশে রাহুল কাটের ভুত ও ভবিষ্যৎ’- এরকম টাইটেল দিলেই পারতেন। আর হিন্দি সিনেমা দেখে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ভাবালু হয়ে যায়। কিন্তু শুধুমাত্র ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তাক’ দেখার কারণেই তারা প্রেম করে ঘর ছেড়ে পালায়- এ কথা আমি মানতে নারাজ।

আপনি আপনার লেখার কোনো জায়গায়ই বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমার প্রভাবের বিষয়টা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন্ নি; কেবল কিছু eye-catching words & terms use করে নিজেকে জাহির করতে চেয়েছেন বলে মনে হল। আমি এই ইস্যুটা স্বীকার করি বা না করি সেটা একটা ভিন্ন ইস্যু; কিন্তু অন্তঃত আপনার লেখায় এমন কোনো demonstration আমি দেখতে পাইনি। এটা একটা ইন্টারেস্টিং টপিক; এবং এই বিষয়ে আসলেই অনেক রিসার্চ হতে পারে। তাই এই লেখাটা থেকে আরো অর্থপূর্ন কিছু আশা করেছিলাম।

যেহেতু ওয়েবে লেখাটা দিয়েছেন তাই ভাবলাম আপনার নিশ্চয়ই কোনো বক্তব্য আছে। সেই বক্তব্য উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েই আমার এই কমেন্ট/ রিপ্লাই গুলো দেয়া। তবে আপনি যদি নিতান্তই time pass এর জন্য লিখে থাকেন তবে অন্য কথা 🙂

আরেকটা কথা। আপনি খুবই স্বল্প-পরিসরে বলিঊডের সবগুলো দিক তুলে ধরার attempt নিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে বেশ কিছু জায়গায় আপনার স্টেটমেন্ট গুলো অভার-সিমপ্লিফায়েড হয়ে গিয়েছে। একেকটা সেন্টেন্সে আপনি একেকটা টপিক কাভার করেছেন; যেগুলো নিয়ে individually একেকটা আর্টিকেল লেখা যায়। এমনটা না করলেই মনে হয় ভাল। আপনার ভালো লাগুক আর নাই লাগুক- বলিউডের একটা ১০০ বছরের ঐতিহ্য আছে। সেটাকে এভাবে সামারাইজ করতে গেলে পুরো বক্তব্যটাই বিভ্রান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। অনুরোধ থাকল future article গুলোয় কোনো specific genre বা ঘরানার উপর focus করার। ধন্যবাদ। 🙂

ইমরুল

শাহান, মুন্সি প্রেমচাঁদের নাম বাদ গেছে, এইটা বলা যাইতো; যেহেতু মান্টো’র নাম আছে। তারপরও, উনাদের ‘প্রতিষ্ঠা’ আমাদের পারসেপশনে বেশ কম-ই, রবীন্দ্রনাথের নোবেলের তুলনায়। এইটা মার্জিনাল একটা জিনিস হইলেও গুরুত্বপূর্ণ যে কিভাবে ‘ইন্টেলেকচুয়াল সুপিয়রিটি’র ধারণাটা সমাজে এস্টাবলিশ হইতেছে। ব্যাপারটা এই রকম না যে, কারো ইন্টেলেক্ট আছে বা নাই; কিন্তু ধরেন, মান্টো বা প্রেমচাঁদ যদি নোবেল প্রাইজ পাইতেন, আমরা কি উনাদের সাহিত্যরে একইভাবে দেখতে পারতাম? মানে, এইটা নিয়া আরো কথা-বার্তা সম্ভব এবং জরুরিও।

ইলিয়াস কমল বক্তব্য শুরু করছেন এই বইলা যে, ‘সিনেমা কখনো সমাজ পরিবর্তন করে না এই কথা সত্যজিত আরো বহু আগেই বলছে।’ এখন আমার বক্তব্যও এইটা না যে, হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশের সমাজরে চেইঞ্জ কইরা দিতেছে এবং এই বিষয় নিয়া কথা-বার্তা বলা শুরু না করলে তা আরো বেশি কইরা সেইটা হইতে থাকবো। একইরকম ভাবে, সমাজে সিনেমার কোন ইমপ্যাক্টই নাই, এইটা বলাটাও সত্যজিৎ’রে ‘ভেড়া’ বানানো ছাড়া আর কিছুই না।

আবার উনার বক্তব্য এই বইলা শেষ করছেন যে, ‘ তার আগে হিন্দী সিনেমার লগে আমার দেশের কি সম্পর্ক আছে না নাই, তা নিয়া চিন্তা করাটা আমি সমর্থন করি না।’ এখন আগে বা পরে, আমি বা ইলিয়াস কমল চিন্তা করলে বা না করলেও ‘বাংলার মানুষ’ হিন্দি সিনেমা কনজিউম করতেছে এবং পরিস্থিতির বড় কোন পরিবর্তন না হইলে, করতেই থাকার কথা। আমার উদ্দেশ্য সেই কনজামশনের জায়গাটারে হাইলাইট করা, শৈল্পিক গুরুত্ব/অ-গুরুত্ব পুরাটাই ভিন্ন একটা ব্যাপার। এইটুকু জায়গা যেইখানে স্পষ্ট করা যায় নাই, সেইখানে আলাপ আরো বাড়ানোর কী দরকার!

আর সামির আশরাফের ব্যক্তি-আক্রমণের উত্তর করার কিছু নাই।

অর্পণ, এই কারণেই, বিষয়টা নিয়া দ্বিতীয় কিস্তি লেখা, এই প্রতিক্রিয়াগুলার কোন ‘সমাধান’ দিতে পারবে না । কারণ সমস্যাটা ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ এর, ‘মত-ভিন্নতার’ই শুধু না। বরং যাঁরা মনে করেন, এইটা লিইখা আমি খুব বাজে করছি, তাঁদেরকে স্পেস দেয়া দরকার এই লেখাটারে ‘বাজে’ এবং ‘অ-পাঠ্য’ প্রমাণ করার। আমার লেখা আমি ত লিখতেই থাকবো। এইক্ষেত্র হিন্দি সিনেমা কিভাবে ‘দেশপ্রেম’ প্রমোট করতেছে, সেইটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতে পারে; যা দিয়া আমরা হিন্দি-সিনেমা আগ্রাসনের বিরোধিতা কইরা যাইতেছি!

হিন্দি-সিনেমা নিয়া কথা-বলা এখনো ইন্টেলেকচুয়াল এরিনায় ট্যাবু একটা ব্যাপার – এই ধারণা যেহেতু ছিলই, এই কারণে ভাবছিলাম যে, এই লেখা হয়তো আপনাদের রেপুটেশনরে বিপদে ফেলে দিবে; দেয়ার সময়ও দ্বিধা আছিলো; এইটা বইলা নিলে হয়তো ভালো হইতো। যা-ই হোক, সরি ফর দ্যাট!

newto mondal

কোনো বিষয়কে সুপিরিওর বা ইনফিরিওর করে না দেখে আলাদা বা বিচিত্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে নিরপেক্ষতার মাত্রা বেশি পাওয়া যেতে পারে । আবেগকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হিন্দি পরিচালকদের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে ।বাঙ্গালিকে আবেগি জাতি বলেই জানি আর বয়সন্ধিক্ষনে আবেগের যে চর্চা শুরু হয় হিন্দি সিনেমা তা টেনে বেড়ায়, এই যুক্তি মানলে বিষয়টি এক যুক্তিতেই পরিস্কার হতে পারে। টানা তিন ঘণ্টা দর্শক কে রাখতে চাইলে পরিচালককে একটু ছলনার আশ্রয় নিতে হতেও পারে, তবে যৌনতার সুড়সুড়ি অনেক সময় কাতুকুতুতে পৌছায়। শিল্প শিল্পিকে ডাকে আর ব্যবসা সবাইকে। যিনি টাকা ঢালেন তিনি ব্যবসায়ী; কাজেই পরিচালকের শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা ।যা হোক, ‘ভারতের আরোপিত অতি-জাতীয়তাবাদ তাদের চলচ্চিত্রকে প্রভাবিত করছে’ বিষয়টি নিয়ে ভাবলে হয়তো নতুন কিছু পাওয়া যাবে।

ইমরুল হাসান

কিন্তু আমার ধারণা (যেইটা এই লেখার ভিতরেও একভাবে এমবেডেড আছে যে), ‘ভারতের আরোপিত অতি-জাতীয়তাবাদ তাদের চলচ্চিত্রকে প্রভাবিত করছে’ না, বরং হিন্দি সিনেমাই ‘ভারতীয় আরোপিত অতি-জাতীয়তাবাদ’ তৈরি করতেছে। এইভাবে দেখতে পারলেই বিষয়টার রিলিভেন্সগুলি আরো স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব।

 

Leave a Reply