পানি আর জল

যেই লোকটা গাঞ্জার পুটলা’টা দিলো, চাপদাড়ি ছিলো তার
ডিলিংসটা এতো তাড়াতাড়ি শেষ হইলো যে
তার চোখ-মুখে কেমন একটা অবিশ্বাস চইলা আসছিলো
এই এতো দূর আসলো সে
আর এক মিনিটও লাগলো না পুরা ব্যাপারটা শেষ হইতে…

আল্লা ছাড়া পাপ-পূণ্য থাকার সেক্যুলার ভাবনাটা মনেহয় সে মানতেই পারতেছিলো না

মানা আর না-মানা’য়
কি যায় আসে!

রাস্তায় রিকশা, বাস, টেম্পু, কার চলতেছিলো তো…

সো রাস্তা পার হইলাম আমরা

সোজা গিয়া একটু
প্রথমে বামে, তারপর ডাইনে
তারপর বামে, তারপর ডাইনে
একটু দূরে গিয়া আবার বামে
তারপর ডাইনে গেলাম না আর
রিকশায়…

একটা পাতলা শিকের গেইট
পার হওয়ার পরে গ্যারেজ
তারপর কলাপসিবল গেইটের তালা খুললো
তারপর সিঁড়ি
তারপর দরজা…

একটা ঘর

আলো তো ছিলো

বাথরুমের ট্যাপ থিকা পানি পড়তেছিল
(শে হয়তো লিখতো, জল…
আরেকটা ভার্সন লেখা হইতে তো পারেই…)

চুপ থাকলে আওয়াজটা আরো স্পষ্ট শোনা যাইতো

আজাইরা কথাগুলিরও কোন দরকার আছে বোধহয়

মানে, কথা ছাড়া ব্যাপারটা কেমনে শেষ হয়…
মানে, একটা শেষ, অ্যাজিউম কইরা কথা বলা যাইতেছিল
কতো কতো ব্যাখা’রা বইসা ছিল অন্ধকারেও

বিলাইয়ের মতো খামচি দিতে চাইতেছিলো
বাঘের মতো গর্‌গর্‌
থাইমা থাইমা আসতেছিলো

‘ইউ ক্যান্ট গেট মি, ইভেন ইফ ইউ ট্রাই…’

আমি কি ট্রাই করতে চাইতেছিলাম আসলে?

আমার চোখগুলি মিশে যাইতেছিলো ধূলায়

কি কি দেখতে পারি আমি
শেষবারের মতোন…

খুঁজতেছিলাম

দেখি, এক জোড়া চোখ তাকায়া আছে

থুতনিটা উঁচা কইরা দেখতেছে

আমার না-দেখার ভিতর কতকিছুই তো আছে

আমার আত্মা তাঁর চোখের সামনে মেইলা ধরতে চাই আমি

দেখে শে, কয়, ‘এইটা তো নাই!’

‘এইটা এইরকম।’

আমি তারপরও গাই-গুই করতে চাই

থম মাইরা বইসা থাকতে চাই
মইরা যাওয়া একটা গাছের গুঁড়ির মতোন

সময় দৌড়াইতে থাকে

হঠাৎ ইঁদুরের মতোন
গাছগাছালির ফাঁকে কই যে যায়

যাইতেই থাকে…

একটা ঘুমের ভিতর একটা স্বপ্নের মতোন

হারাইয়া ফেইলা আমি খুঁজতে থাকি

কই যে গেলো শে, কই যে…

রাস্তার প্যাঁক-কাদাগুলিও কয়,
“এই দুনিয়ায় আল্লার বান্দা সবাই
আমরা তাঁর বাচ্চা, জন্মের আগে থিকাই”

কেউ কানতেছে মনেহয়, বলতেছে
‘আর আমারে মারিস নে মা!’

ননীর শরীর নিয়া আমি কই যে যাই!

একটা ধারণার ভিতরে আরো ছোট্ট কোন ধারণার মতোন
বন্দী হইয়া থাকবো তো আমি

নিজের কাছেই…

 

Leave a Reply