এল. কোহেনের একটা গান নিয়া…

কোহেন যখন বলতেছেন, ‘মাই উইমেন’ তখন একজন সার্টেন উইমেন তো আছেন বা ছিলেন উনার পজেশনে। এই ধারণাটা তো আছেই যে, আমার বউ, আমার জামাই, আমার বয়ফ্রেন্ড, আমার গার্লফ্রেন্ড – এই দখল বা পজেশন গাড়ি-বাড়ি’র চাইতে কম কিছু না। আপনার লাইফে ম্যাটেরিয়াল পজেশন অনেককিছু আছে, কিন্তু রিলেশনশিপের পজেশনও থাকা দরকার, নেসেসারিই আসলে। ইন ফ্যাক্ট কোন দখলদারি ছাড়া তো রিলেশনের ধারণাটা এগজিস্টই করতে পারা’র কথা না। এইসবকিছু’রে এইভাবে ভাবাটা হয়তো একটু খারাপ লাগতে পারে যেমন ভাবি আমার রোবট, আমার মেশিন, আমার মোবাইল… কিন্তু ক্লোজই আসলে ব্যাপারটা, এতো ডিসট্যান্স কিছু না মে বি। মানে, এইরকম ভাবা’র ব্যাপার তো আছেই।

ঘটনা সেইটা না। ঘটনা হইতেছে সেই এই ওনারশিপ’টা কেমনে কাজ করে। সেক্স অবভিয়াসলি একটা মেজর ব্যাপার। গানের ঘটনা মনেহয় এইরকম যে, কোহেনের বউয়ের লগে তার ফ্রেন্ড ক্যাজুয়াল সেক্স করছে, কিছুদিন থাকছিলো এক লগে, এখন কোহানের লগে থাকতেছে, পরে এখন কোহেন ব্যাপারটা নিয়া ভাবার ট্রাই করতেছে। কোহেনের লিরিকসে এই ব্যাপারটা আছে যে, তাঁর ফ্রেন্ড তার বউ’রে নিছে বা তার বউ যে গেছে সেইটারে ফ্রেন্ড না করে নাই, একসেপ্ট করছে। এইটা যতোটা মাইল্ড হওয়া পসিবল, ততটা মাইল্ডভাবে বলার ট্রাই করছেন কোহেন। দোষ দেয়ার ব্যাপারটা কম উনার, ফ্রেন্ড বা বউ – কারো উপ্রেই; একটা দুঃখ আছে খালি।

আমার সন্দেহ, এইটা প্রেমের দুঃখ না খালি, উনারশিপটা যে নাই, সেই না থাকারও কষ্ট।

একটা কষ্ট তো জেন-এরও আছিলো। কোহেন ভাবছে সেইটা পারমানেন্ট জিনিস, উইমেনলি একটা ব্যাপার। এইটাও এক ধরণের মালিকানার জিনিস বইলা ফিল করছে বইলা মে বি। কিন্তু ওই লোকের সাথে রিলেশনের ভিতর দিয়া শে কোনভাবে সেইটারে ইরেজ করে দিতে পারছে। কেমনে করছে – সেইটার ব্যাখ্যা তো নাই এমনিতেও, ব্যাখ্যা জিনিসটা তো বাজেই, একরকম; তারপরও… মে বি জেন পলিগ্যামিক হওয়ার ভিতর দিয়া এমন একটা জায়গারে আইডেন্টিফাই করতে পারছে যেইখানে মালিকানা’র ব্যাপারটা ব্লার হইতে পারে।

রেভিউলেশনারি রোড সিনেমায় একটা সিন ছিল কেট উইনস্লেট যখন বুঝতে পারে যে তার হাজব্যান্ড চিট করতেছে তখন শে তার নেইবারের লগে সেক্স করে; যেন প্রতিশোধ নিলো একটা। সেক্স করা যে মালিকানার একটা ঘটনা, সেইটা থিকা শে নিজেরে বাইর করতে চায় মনেহয় নিজেরে। পারে না। কিন্তু এই গানটাতে জেন-এর প্রতিশোধের কোন ব্যাপার নাই, জাস্ট আরেকটা রিলেশনই, কিছুদিনের। শে অনারও করে ব্যাপারটারে। কিন্তু এইরকম থাকতে যে পারা যায়, খালি এইটুকই না; শে যে ছিল, এইটা মে বি তারে রিলাক্স করে কোনভাবে। Continue reading

দ্য হাম্মা সং

গার্ডিয়ানে-ই মনেহয় দেরিদা মরা’র পরে উনার একটা ইন্টারভিউ শেষ ইন্টারভিউ বইলা ছাপা হইছিল। ওইখানে ইন্টারভিউয়ার শেষে কনক্লোশ দিছিলেন এইভাবে, দেরিদা এখন সারাদিন বাসাতেই থাকেন আর টেলিভিশন দেখেন আর যা দেখেন তার ডিকনস্ট্রাকশন করতে থাকেন। ইন্টারভিউয়ারের এই বলাটাতে আম্রিকান টাইপ বেয়াদবি না থাকলেও বৃটিশ টাইপ তাচ্ছিল্য তো ছিলোই। মানে, কেউ টিভি দেইখা সারাক্ষণ ডিকনস্ট্রাকশন করতেছে, এইটা বেশ ফানিই মনে হইছিলো বলার টোনটাতে। অ্যানলাইসিস করতে পারা’র, ব্যাখ্যা করতে পারা’র, বিচার করতে পারা’র যে আনন্দ, সেইটা তো অন্য কোনকিছুতে নাই। ব্যাপারটা এইরকম একস্ট্রিম যে, একটা ডিজিজও হইতে পারে। মানে, এই অ্যানালাইসিস/ডিকনস্ট্রাকশন/জাজমেন্ট হইতেছে কি হইতেছে না সেইটা না, না কইরা যে থাকা যাইতেছে না, সেইটা টু সাম এক্সটেন্ড একটা সমস্যা হইতে পারে মনেহয়।

এই জিনিসটা মনে হইতেছে দ্য হাম্মা সং’টা দেখার পরে। গানটা তো এমনিতে ভাল্লাগছে, কিন্তু তারপরও এনালাইসিস যে করা লাগতেছে সেইটা এই রোগে’র কারণেই মনেহয়।  তামিল ও কাদহাল কানমানি  সিনেমার রি-মেইক হিন্দি ওকে জানু’র গান এইটা। এখনো রিলিজ হয় নাই সিনেমাটা, জানুয়ারি, ২০১৭-তে হবে। ২১ বছর আগে ১৯৯৫-এ বোম্বে সিনেমাতেই যখন গানটা বাজছিল তখন থিকাই আমার ফেভারিট। এ.আর.রহমান ‘রোজা’ দিয়া শুরু করছেন খালি, তখনই তারে জিনিয়াস ভাবতে আমার কোন সমস্যা হয় নাই। যদিও ইউনির্ভাসিটিতে ছাত্র ইউনিয়ন কইরা হিন্দি গান গাওয়াটা কবিরা গুনাহ’র মতো ব্যাপার ছিল, কিন্তু আমি গাইতে পারতাম; জিনিয়াস তো জিনিয়াসই, হিন্দি সিনেমার গানের সুরকার হইলেও। এইরকম নন-পলিটিক্যাল বা অ্যান্টি-বাংলাভাষা’র পজিশন নিতে পারছিলাম। 🙂  রোজা’র যেই মিউজিক সেইটা আরো এনহেন্স হইছিলো বোম্বে’তে। আমার কাছে এইটার প্যারামিটার ছিল: ‘রুকমিনি’ ভার্সেস ‘হাম্মা হাম্মা’।

 

Continue reading

‘আফরিন, আফরিন…’

Slavoj Zizek-এর একটা জোকস আছে Joseph Stalin’রে নিয়া, Underground (1995 film) সিনেমাটাতেও এইরকম একটা সিন আছে। যে, বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে অডিয়েন্স যখন হাততালি দিতে থাকে, তখন স্ট্যালিন বা ওই সময়ের কমিউনিস্ট নেতারা নিজেও হাততালি দিতে থাকেন; যে, উনিও তখন পাবলিকের হইয়া সেইটারে রিকগনাইজ করতেছেন, হাততালি দিয়া হাততালিটারে নিতেছেন।

Coke Studio’র এই গানটাতেও এইরকম একটা ঘটনা আছে। [ Momina Mustehsan চোখের পলক ফেলার ঘটনা তো আছেই, Sudip Bosu Roy  ] মিউজিকের ফিউশন তো করেই কোক স্টুডিও, একটা গানের লিরিকসের সাথে আরেকটা গানের লিরিকসও জোড়া দেয়, কিন্তু এইরকম নতুন লিরিকস ইনসার্ট করার ব্যাপারটা খেয়াল করি নাই আগে। গানটা তো এইরকম যে, আফরিন কতো সুন্দর! আর নতুন লিরিকসে আফরিনও কয়, আরে, তোমার নজর আমারে টাচ করছে বইলাই তো আমি সুন্দর হইছি! [কথা মিথ্যা না, দেখার কেউ না থাকলে আমরা কি সুন্দর হইতে পারতাম!] তখন সবাই আফরিন-এর নামটা জপতে থাকে। এই সেলিব্রেশনটা তো ভালো, কমপ্লিট করে গেইসটারে, রিকগনাইজ করে। যদি ভাবি যে সুন্দর, সেইটা সুন্দর একটা ব্যাপার, বা সুন্দরের ভাবনাটাই আসলে আসল। Continue reading

কাভার সং

হাসান-এর গানের কয়েকটা কাভার শুনলাম, পরে পুরানটা শুইনা মনে হইলো, উনারটাই বেটার।

হাসান-এর তো ইজ্জত কম-ই, বাংলা-গানে (জেমস, মাইলস, এবি’র তুলনায়ও)। আমার ধারণা, কপি করার কারণেই। উনাদের প্রথম গানের ক্যাসেটের নাম-ই তো ছিল, কপিয়ার। কপি করা, নকল করা – এইগুলা ঠিক ক্রিয়েটিভ কোন কাজ না। কিন্তু উনি যখন গান গাওয়া শুরু করলেন সেই টাইমে আমরা যারা কোচিং সেন্টারে ইংরেজি শিখতাম, ওরাও ইংরেজি গান পুরাটা বুঝতে পারতাম না। এই কারণেও হাসানের গান শুইনা ভাল্লাগতে পারে। অবশ্য যে কোন চেইঞ্জেই কোন না কোন ক্রিয়েশন তো হয়। একজনের কথা আরেকজন কইলেও, কারণ আমাদের খেয়াল তো থাকে মিনিংয়ের দিকে, যার ফলে আরেকজন বলা মানে কনটেক্সট’টা একটু হইলেও চেইঞ্জ হওয়া, মিনিংটা না পাল্টাইলেও, একটু পিছলাইয়া যাওয়া…।  লিখিত-সাহিত্যে এইজন্য অনুবাদ বাজে কোন জিনিস না। একজন রাইটার তো আছেনই, তারে মাইনা নিয়াই আরেকজন লিখতে পারেন সেইটা। গানের ক্ষেত্রে এইটা শুরু হইতে বা মাইনা নিতে টাইম লাগছে, কনটেম্পরারি এরিনায়। ‘ফোক’ বইলা যেই জেনর’টা আইডেন্টিফাইড সেইখানে সবসময়ই এইটা চলছে বা ব্যাপারটা ডেভলাপ-ই হইছে এইভাবে। ওনারশিপের ঝামেলাটা মে বি রিলেটিভলি কম।

Continue reading

মদনমোহনের গানে

পাস আয়িয়ে কি হাম নেহি
আয়েঙ্গে বারবার
বাহে গালে মে ডাল কে
হাম রোলে জারজার

আঁখো সে ফির ইয়ে পিয়ার কি
বারসাত হো না হো…

সায়েদ ফির সে জনম মে
মোলাকাত হো না হো…

 

আসো গ্রুপ বাইন্ধা কান্দি আমরা। একজনের কান্দা তো সবারই কান্দা। সবাই আমরা আল্লারই বান্দা। যেই সময় আসছে দুনিয়ায়, সেই সময় তো পারমানেন্ট না; এই টাইম চইলা যাবে, আরেক টাইম আসবে; আমরা তাই এই টাইমটারে পুরান বানায়া কানতেছি, এই নতুন সময়ে। একলা একলাই কান্দি আসলে। যদিও অন্যান্যরা আছে, সবারই আছে নিজ নিজ কান্দা। আমার কান্দা ভাই তুমি তাই কাইন্দা দিও না। পারবা না তো। যার যার লাইফ তার তার। Continue reading