হুমায়ূন আহমেদের হিরো’রা

হুমায়ূন আহমেদের হিরোদের খেয়াল করছেন? হিমু, মিসির আলী, শুভ্র… – এরা কেউ বিয়া করে না, (দুই-চাইরজন ভক্ত-টাইপ প্রেমিকা থাকলেও) প্রেমও অইরকম করতে চায় না, (এটলিস্ট ভিজিবল) সেক্সুয়াল ড্রাইভ নাই, ভালো ভালো জিনিস চিন্তা করে, ভালো ভালো কাজ করতে চায়; রবীন্দ্রনাথের নায়িকাদের মতোই কিন্তু অনেকটা! এক কথায় বলা যায়, ইনোসেন্ট অরা।

এইরকম হিরো হওয়াটা খারাপ হইছে, বা হওয়া যাবে না – এইটা আমার পয়েন্ট না, বরং উনার হিরো’রা যে এতোটা ‘বেটা’ না, ‘ম্যানলি’ (মানে, দাড়ি-টাড়িও কমই রাখে মনেহয় 😛 ) না, এই জিনিসটা ফিমেইল রিডারদের কাছে উনার পপুলার হওয়ার একটা কারণও হইতে পারে। (যে, পুরুষ মানেই বাঘ-সিংহ মার্কা পশু না, উদাসও কিছুটা।)

মানে, রবীন্দ্রনাথের ফিমেইল-কারেক্টারগুলার একটা মাস্ট লক্ষণ যেমন ‘মেয়েলি’ হইতে হবে*; আর এইটা যেইভাবে উনারে প্যার্টিয়াকির ‘মহান পুরুষ’ বানাইতে পারছে, হুমায়ূন আহমেদে আইসা এই জেন্ডার-রোল’টা রির্ভাস হয় নাই, বরং এই জিনিসটা একভাবে ‘কোর’ হিসাবেই থাকছে, যার ফলে উনিও ‘রোমান্টিক পুরুষ’ হইতে পারছেন, একটু ‘কম-পুরুষ’ হওয়ার ভিতর দিয়া।

এইটা কইরা (উনার হিরোদেরকে কিছুটা বেকুব বানায়া) পুরুষদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ রাইটার হিসাবে ‘বেইট্টা’ হয়া যান নাই, বা সমাজে একজন নারী’র ‘নারী’ হয়া থাকাটা যেইরকম টাফ অইরকম টাফ কইরাও তোলেন নাই; এইরকম ‘মোলায়েম’ হিসাবে দেখানোর ভিতর দিয়া কিছুটা ‘মানবিক’ কইরা তোলারই একটা কাজ করতে পারছেন মনেহয়, যেইটা ‘যে কোন মূল্যে পুরুষ থাকার’-ই একটা ঘটনা। মানে, জেন্ডার-রোলে স্ট্রিক্ট করাটা। (নারী ব্যাপারটাতেও এইটা পাইবেন, বেটাগিরি করতে পারাটা যেন ‘নারী’ হইতে পারা থিকা বাইর হইতে পারা! 🙁 কি স্যাড!) Continue reading

কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমদ ও আল মাহমুদ

একটা তিতা কথা কই। আল মাহমুদরে কোনদিন কাজী নজরুল ইসলামের নাম মুখে নিতে দেখছেন? (কাজী নজরুল ইসলামরে নিয়া উনি সুন্দর একটা কবিতা লেখছেন, বিদ্রোহী কবিতার প্রশংসাও করছেন, কিন্তু বাংলা কবিতার ইতিহাসে কাজী নজরুল ইসলামরে ইম্পর্টেন্ট ভাবতে পারেন নাই। যেইখানে) ফররুখ আহমেদ’রে আল মাহমুদ উনার আগের কবি হিসাবে মনে রাখছেন, ফররুখের সিলাসিলারে একভাবে কন্টিনিউ করছেন বইলাও মনে করছেন।… ফররুখ আহমেদও কোনদিন কাজী নজরুল ইসলামের নাম নেন নাই। উনি ছিলেন ইকবালের ভক্ত। (একজনের ভক্ত হইলে আরেকজনের দুশমন হইতে হবে – এই জিনিস সাহিত্যে যেমন দরকার নাই, লাইফেও দরকার পড়ে না। অইটা ভক্তেরই সমস্যা সবসময়।) কিন্তু ফররুখ আহমেদ কাজী নজরুল ইসলাম’রে কবি হিসাবে ইম্পর্টেন্ট মনে করেন নাই।…(সেইটা আরেক আলাপ।)

আরো অনেকরে পাইবেন, যারা কাজী নজরুল ইসলামের নাম নেন নাই। আবুল মনসুর আহমেদের বইয়ের ভালো রিভিউ করছিলেন নজরুল, কিন্তু মনসুর আহমেদের “আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর” পড়লে খেয়ালও করতে পারবেন না যদিও আবুল মনসুর আহমেদ কলকাতায় একই পত্রিকা অফিসে কাজী নজরুল ইসলামের আন্ডারে কাজ করছেন।…

তো, এইটা কি খালি “মনে নাই”? বা “এড়ায়া যাওয়ার” ঘটনা?

আল মাহমুদ নিজেও কইছিলেন, “বাংলাদেশে কবিতার ইতিহাস হলো ষড়যন্ত্র, হিংস্রতা ও প্রতিভাকে অস্বীকারের ইতিহাস।” (কমেন্টে লিংক দিতেছি, পুরা আলাপটার।) আমি আরেকটু অন্যরকমভাবে বলতে চাই, “বাংলাদেশে কবিতার ইতিহাস হইতেছে নিজেরে আপার-ক্লাস দাবি করার, বেটাগিরির আর নিরবতার ইতিহাস।”

ফররুখ আহমেদ বিনা চিকিৎসায় মারা গেছিলেন, উনি টাকা-পয়সাঅলা লোক কখনোই ছিলেন না, কিন্তু নিজেরে কখনোই “আতরাফদের” কাতারে নামান নাই। আল মাহমুদও ‘শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের’ কাছে এনাফ সম্মান পান নাই – এই আক্ষেপ নিয়াই মরছেন। এই অবস্থা উনারা ডিজার্ভ করেন না।

কিন্তু আমি যেইটার কথা বলতে চাইতেছি, সেইটা সোশ্যাল এচিভমেন্টের কোন ঘটনা না, বরং কবিতায় কোন বিশ্বাসের জায়গাটারে উনারা আপহোল্ড করছেন, সেইটার ঘটনা। ফররুখ আহমেদের “ইসলাম” যেইরকম একটা “আশরাফী” ঘটনা, আল মাহমুদের “গ্রাম-বাংলা”ও একটা “কলোনিয়াল কলকাতার”-ই এক্সটেনশন। এই জায়গাগুলারে “কাব্যিক জিনিস” বইলা এড়ায়া গেলে খালি কালচারাল না, পলিটিক্যাল ভুলও করবো আমরা। Continue reading

ক্যান ইসলামিস্ট থিংক?

২০০৯ সালে তালাল আসাদ, সাবা মাহমুদ আর জুডিথ বাটলারের বাহাস নিয়া একটা বই পাবলিশড হইছিল – “ইজ ক্রিটিক সেক্যুলার?” নামে, যেইটা একাডেমিক এরিনার বাইরেও কিছুটা পাবলিক ইন্টারেস্টের বিষয় হয়া উঠছিল। (বাংলাদেশে দুয়েকজন এইটা নিয়া টুকটাক কথা বলছেনও মনেহয়।) অইটা শুরু হইছিল তালাল আসাদের একটা সেমিনার পেপার “ফ্রি স্পিচ, ব্লাসফেমি অ্যান্ড সেক্যুলার ক্রিটিসিজম” থিকা।

তালাল আসাদ বলতেছিলেন, ক্রিটিক করা জিনিস’টা ইউরোপিয়ান ট্রাডিশনে একটা সেক্যুলার ব্যাপার হয়া আছে। কিন্তু যে কোন সমাজেই এই ক্রিটিক করা জিনিস একটা কন্ডিশনাল ঘটনা, খালি “মুসলিম সমাজের” সমস্যা না। উনার একটা আর্গুমেন্ট হইলো, সেক্যুলার ভোকাবুলারি আর ইসলামি ভোকাবুলারি এক জিনিস না; কালচারাল অরিয়েন্টেশনের কারণেই ব্যাপারগুলা আলাদা। তালাল আসাদের কথা হইতেছে, দুইটা দুইরকম; ইসলাম ধর্মেও ক্রিটিক করার স্পেইস আছে, যতক্ষণ না এইটা পাবলিক লাইফরে এফেক্ট না করতেছে; একইভাবে ক্রিটিকেও ব্লাসফেমির জায়গা ছিল, এখনো কিছু জায়গা আছে, যেইটা পাবলিকলি বলতে বা করতে পারেন না আপনি; সেই জায়গাগুলা বরং অথরিটির অপারেট করার জায়গা। (মানে, এইরকম কিছুর কথা আমার মনে আছে।)

ইসলামিস্ট-ফেমিনিস্ট (?) সাবা মাহমুদ এর সাথে আরো কিছু পারসপেক্টিভ অ্যাড কইরা বলতেছিলেন যে, ইসলাম’রে লিনিয়ার কইরা দেখলে হবে না; বরং এই যে “সেক্যুলার হইতে হবে” – এইটা মুসলিম সমাজে আরেকটা প্রব্লেম হিসাবেই কাজ করে, লিবারেটিং কোন টুল না। মানে, আলাপের বেইজ তো ছিল ড্যানিশ পত্রিকার কার্টুন’টা যেইখানে নবী মুহাম্মদ (দঃ)’রে একটা ইমেজে রিডিউস করার ঘটনা ঘটছিল।

তো, উনাদের কথার রেসপন্সে জুডিথ বাটলার পজিটিভলিই তালাল আসাদ আর সাবা মাহমুদের আলাপে এনগেইজ হইতে চাইছেন। উনার কথা হইতেছে, ‘ক্রিটিক’ জিনিসটা নিয়া অবশ্যই ক্রিটিক্যাল হওয়ার দরকার আছে, কিন্তু তালাল আসাদ যেমনে চাইতেছেন, সেইটাই রাস্তাটা কিনা? কালচারাল ডিফরেন্সের জায়গাটা তো এন্ডলেস, কে কারে, কট্টুক বুঝবে? আর বুঝলেই কি ‘ক্রিটিক’ করার ডিফরেন্সগুলা বাতিল হয়া যাবে? তা তো না। উনি বলতেছিলেন যে, ইউরোপিয়ান লিবার্টির ধারণাগুলারেই আমাদের আগায়া নিয়া যাইতে হবে। রাষ্ট্রের হাতে বা কোন অথরিটি’র হাতে আমরা আমাদের ফ্রিডমরে বন্ধক রাখতে পারি না। এইরকম।…

তালাল আসাদ এবং সাবা মাহমুদ জুডিথ বাটলারের কথার উপরে আলাদা আলাদা রি-জয়েন্ডার দিছিলেন। Continue reading

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আর সুফিয়া কামাল

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আর সুফিয়া কামাল – এই দুইজনরে বাংলাদেশে ফেমিনিজমের আইকন হিসাবে আমি নিতে চাই, একটা আলাপে।* উনারা দুইজনই কিছু জিনিস এচিভ করছিলেন, কিন্তু যেইভাবে করছিলেন, সেইটারে কোশ্চেনেবল ভাবা হয় এখনো।

রোকেয়া’র এচিভমেন্ট হইতেছে “নারী-শিক্ষা” ব্যাপারটারে সমাজে উনি ‘কমন’ ও ‘নরমাল’ কইরা তুলতে পারছিলেন। সুফিয়া কামালের এচিভমেন্ট হইতেছে ১৯৬১ সালে পাকিস্তানে “মুসলিম পারিবারিক আইন” এর পক্ষে খুবই ফার্ম একটা পজিশন নিছিলেন। এর বাইরেও উনাদের এচিভমেন্ট আছে, কিন্তু এই দুইটা জিনিসই খুব সিগনিফিকেন্ট। রোকেয়া খালি মেয়েদের পড়াশোনাই চালু করেন নাই, উনার এই ইনিশিয়েটিভের ফলে পাবলিক স্পেইসে মেয়েদের চলাফেরা, কাজ-কাম করাও নরমাল হয়া উঠতে পারছে। এখন জিনিসগুলা নরমাল হইয়া যাওয়ার পরে হয়তো এতোটা চোখে পড়ে না আর।** সুফিয়া কামালও যখন মুসলিম পারিবারিক আইনের পক্ষ নিছিলেন, মেয়েরাও যে লিগ্যালি সম্পত্তির মালিক হইতে পারে, এই জায়গাটারে “অ্যাবনরমাল” হওয়ার জায়গা থিকা কিছুটা সরাইতে পারছিলেন। যে, “বউ” খালি “জামাই”র সম্পত্তি না, “জামাই”-ও “বউ” পজিশনটার কাছে কিছুটা হইলেও বান্ধা। আর এইভাবে মহিলাদের সম্পত্তির মালিকানার ব্যাপারটা লিগ্যালি মাইনা নেয়ার ঘটনা’টা ঘটছিল।

কিন্তু রোকেয়া’র “নারী-শিক্ষার” মেইন পেট্রোনাইজার ছিলেন দখলদার ইংরেজরা, উপনিবেশিক শক্তি! কলকাতায় যখন “স্বদেশী আন্দোলন” চলে, তখন রোকেয়া ছিলেন ইংরেজদের “কোলাবরেটর”! 🙂 অই সময়ে উনারে গালি-গালাজই শুনতে হইতো, আর এখনো এই ‘দোষ’ উনার থাকারই কথা। কিন্তু উনি পলিটিক্যাল কোশ্চেনের বাইরেও সোশ্যাল ইস্যু হিসাবে “নারী-শিক্ষা” ব্যাপারটারে এস্টাবলিশ করতে পারছিলেন, যার ফলে ‘হিন্দু-স্বদেশী’রা নারী-শিক্ষা বিষয়টারে আমলে নিয়া মেয়েদের স্কুল শুরু করে, আর তখন মুসলমান মেয়েদের জন্য ব্যাপারটা আর ট্যাবু হিসাবে থাকতে পারে নাই।… (ফ্যাক্টস কিছু দিতে পারলে ভালো হইতো।)

আমি বলতে চাইতেছি, পলিটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা’র বাইরে উনি সোশ্যাল কজ’র জায়গাটারে এস্টাবলিশ করতে পারছিলেন, যার ফলে “কলোনিয়াল” এবং “ন্যাশনালিস্ট” দুই গ্রুপই এর পক্ষে থাকার ট্রাই করছিল। সমাজে এর বিরোধিতা’টা “নিয়ম” হিসাবে আর থাকে নাই। (এইখানে কলোনিয়াল শিক্ষা বা নারী-অধিকার… এইগুলা অন্য একটা আলাপ।)

হাউএভার, সুফিয়া কামালের ঘটনা’টা একটু অন্যরকমই ছিল। আইয়ুব খান বিপদে পড়ছিল যখন পাকিস্তানের অনেক ইসলামি বুজুর্গ’রা ফাতেমা জিন্নাহ’র পক্ষে রায় দিছিলেন যে, নারী হইলেও উনারে নেতা মানা ঠিকাছে। তখন উনি মৌলানা-মৌলভীদের “টাইট” দেয়ার জন্য, নারীদের “পক্ষে” নেয়ার জন্য এই মুসলিম পারিবারিক আইন পাশ করাইছিলেন। (মানে, এইরকমের একটা নেরিটিভ আছে, যেইটা নিয়া আরো শিওর হওয়ার দরকার আসলে।) তখন এর এগেনেস্টে অনেক আলাপ উঠলে ঢাকা থিকা সুফিয়া কামাল এর প্রটেস্ট করছিলেন। যার ফলে আইন’টা বাতিল হইতে পারে নাই। পরে যারা ক্ষমতায় আসছেন, উনারা টের পাইছেন যে, এই আইন বাতিল করলে পাবলিকের, স্পেশালি মেয়েদর সার্পোট বা ভোট পাওয়া যাবে না। এখন তো অই আইন আপডেট হওয়ারই দরকার কিছু।… কিন্তু ঘটনা যেইটা হইলো, আইনে আছে বইলাই কিছু সমাজে মেয়েদের বাপের সম্পত্তি পাওয়ার জিনিসটা চালু হইতে পারে নাই পুরাপুরি, এখনো। জামাই আরেকটা বিয়া করলে, বিপদে পড়লে মামলা করা যায় – এইটুকই।… Continue reading

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদের কবিতা আমি ফেসবুকেই পড়ছি। আমার ফেসবুক-ফ্রেন্ডদের অনেকেই উনার কবিতা শেয়ার দেন, তখন পড়া হইছে। উনার সাথে আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ডশীপ নাই, ছিল মনেহয় কোনসময়, বা এখনো থাকলেও উনার পোস্ট আমার নিউজফিডে আসে না। উনার কবিতা তো আছেই, কবিতার বাইরে এই আলাপগুলাও আছে উনারে নিয়া যে, উনি জনপ্রিয় কবি। মানে, একজন কবি দুই-তিন হাজার লাইক পান ফেসবুকে, এইটা তো বড় ব্যাপারই।

তো, উনি জনপ্রিয় বইলাই ‘খারাপ কবি’ – তা তো না; কিন্তু এর একটা প্রেশার উনি নেন মনেহয়। একজন পারফর্মারের জন্য এই এটেনশনটা খালি দরকারই না, বরং জরুরি একটা জিনিস, তার কাজের রিকগনিশন এইটা; কিন্তু একজন কবি’র জন্য ঘটনা’টা একইরকম না।

একজন কবি’র ইচ্ছার মধ্যে এইটা তো থাকেই যে, তার কবিতা সবাই পছন্দ না করলেও, উনি যাদের জন্য লেখেন বা যাদেরকে লাইক করেন, ইম্পর্টেন্ট মনে করেন, তারা উনার কবিতা লাইক করবে; কিন্তু এই এক্সপেক্টশনটার ভিতর কনজিউমড হয়া যাওয়াটা ঠিক না।… তো, ইমতিয়াজ মাহমুদের কবিতা নিয়া ঢাকার ‘সিরিয়াস কবি-সাহিত্যিক-সম্পাদক’রা’ এতোটা ‘উচ্ছ্বসিত’ না, আর এইখানে ‘জেলাসি’র কিছু কন্ট্রিবিউশন তো থাকারই কথা। কারণ উনার কবিতা ‘খারাপ’- এই কথাও কেউ বলেন না; বলেন, পপুলার! 🙂

এইরকম ‘ভালো’ কবি’র বাইরে ‘পপুলার কবি’ও বাংলা-সাহিত্যে আছেন বা ছিলেন; নাম হিসাবে, হেলাল হাফিজ, মহাদেব সাহা’র নাম মনে হইলো; মানে, উনারা যতোটা না ‘ভালো’ কবি, তার চাইতে ‘পপুলার কবি’ (ইভেন পপুলার না হইতে পারলেও)। তো, ইমতিয়াজ মাহমুদ এইরকম ‘পপুলার কবি’ হইতে চান – এইরকম আমার মনেহয় নাই, কিন্তু উনি এই রেইসটার মধ্যে ঢুকে গেছেন বা আছেন… (এইটা খারাপ বা ভালো, সেইটা পরের কথা)

বাংলা-কবিতায় উনার সিগনিফিকেন্স আমার কাছে মনে হইছে যে, উনি কয়টা ফর্ম বা প্যাটার্নরে ‘কবিতা’ হিসাবে এস্টাবলিশ করাইতে পারতেছেন। এইরকম না যে, এই ফর্মগুলা উনিই শুরু করছেন, বরং অই ফর্মগুলাতে ভালো পারফর্ম করতে পারছেন।
Continue reading