কবিতার বই: কালিকাপ্রসাদে গেলে আমি যা যা দেখতে পাবো (২০০৫)

আরেকটু হইলেই বিখ্যাত হইয়া যাইতে পারতো আমার প্রথম বইটা; ২০০৫ সালে যখন ছাপা হইছিল তখন প্রথম আলো’র সাহিত্য সাময়িকী তরুণদের ১০টা বই বাছাই করতো, ওইখানে নাম নাকি প্রায় চইলাই আসছিলো; বিচারকদের ৫জনের ৩জন নাকি পছন্দ করছিলেন আর ২জন পছন্দই করেন নাই, তো গোপন ভোটাভুটিতে হাইরা গিয়া আর বিখ্যাত হইতে পারে নাই। আমি পরে গোপনে এই খবর পাইছিলাম। এখন এইটারে গাঁজাখুরি গল্প কইলে আমার প্রমাণ করার কোন উপায় নাই। সো, এই ইনর্ফমেশনরে জাস্ট একটা সাত্বনার কথা হিসাবেই পড়তে পারেন।

তো, বিখ্যাত না হইলেও পুরান ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হইলে অরা আমারে এই বইটার কথা-ই জিগায়। মানে, ওইখানে মাইরা ফালাইয়া রাখছে আমারে; কেউ কেউ নিয়মিত বিরতিতে, দীর্ঘশ্বাস গোপন কইরা জিগানও যে, “বইটা কি আর পাওয়া যায় না, কোথাও?” Continue reading

কবিতার বই: অশ্বত্থ বটের কাছে এসে (২০১০)।

বইটা ছাপাইছিলাম ২০১০ এর বইমেলায়। সুমন ভাই (সুমন রহমান – কবি, কথাসাহিত্যিক ও জনসংস্কৃতির বিশ্লেষক) বাঙলায়ন-এর অস্ট্রিক আর্যুর সাথে যোগাযোগ করাইয়া দিছিলেন। বইয়ের কাভার করে দিছিলেন শিবু কুমার শীল। অস্ট্রিক আর্যু অল্প টাকা নিয়া বইটা ছাপাইয়া দিছিলেন।  বইমেলায় উনার স্টলেও রাখছিলেন। ছাপানোর পরে আমারে ৫০/৬০ কপি দিছিলেন। বেশ কিছু বইয়ের ছাপা ঠিকমতো হয় নাই, ডাবল শেড চইলা আসছিলো। যা-ই হোক, বন্ধু-বান্ধবদেরকে দেয়া গেছিল বইটা; বলা গেছিল, একটা কবিতার বই ছাপাইছি আমি।

বইয়ের ফ্ল্যাপে ফেসবুকের নোটে করা ফ্রেন্ডদের (সুমন রহমান, জিফরান খালেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, আবু আহসান মিশু, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, আমিনুল বারী শুভ্র, আবদুর রব, ভাস্কর আবেদীন) কমেন্ট ছাপাইয়া দিছিলাম। ফ্রেন্ড বইলাই হয়তো প্রেইজ করছিলেন উনারা। বা এমন তো হইতেই পারে, খালি ফ্রেন্ড বইলা না, এমনিতেও কবিতাগুলি আসলেই পছন্দ করছিলেন – এই বেনিফিট অফ ডাউটও তো থাকেই সবসময়। যেহেতু লিখছি, কেউ না কেউ পছন্দ তো করতেই পারেন।

কবিতাগুলি ২০০৬ থিকা ২০১০ এর মধ্যে লেখা। অনেকদিন না-লিখার পরে লিখতে শুরু করার সময়ের লেখা এইগুলি।

১৯৯৩ থিকা ১৯৯৯-এর শেষ বা ২০০০-এর শুরু পর্যন্ত প্রচুর লিখতাম আমি। তখন কাগজ কলমে লিখতাম। তারপরে ২০০৩-এ একটা কবিতা লিখি। তারপর মেইনলি ২০০৭-এ আবার লিখতে শুরু করি; কম্পিউটারে। তো, ২০১০-এ আইসা মনে হইলো কিছু কবিতা তো লেখা হইছে, একসাথে কইরা বই ছাপায়া ফেলি। বইয়ে ২৫টা কবিতা রাখা আছে।

এই বই আর কিনতে পাওয়া যায় না। আমার কাছেও একটাই কপি আছে। তো, গত ফেব্রুয়ারিতে বইটার ই-বুক আর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানো হইছিল। কেউ ইন্টারেস্টেড হইলে পড়তে পারেন।

ই-বুকের লিংক

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের লিংক

Continue reading

প্লে দ্য গেইম

কবিতা পড়াটা কখনোই জরুরি কিছু না। ইচ্ছা হইলে পড়লাম। ইচ্ছা হইলে পড়লাম না। কিন্তু অ্যাভেইলেবল তো থাকতে পারে বিভিন্ন ফর্মে। যেমন ধরেন মোবাইল ফোন; এইটা দিয়া আপনি কথা বলেন, টেক্সট করেন, একটু দামি হইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন, ছবি তুলেন, গান শুনেন, ফোন-টোন না আসলে এমনে এমনেও তাকায়া থাকতে পারেন। তো এইরকম মোমেন্টে, চাইলে কবিতাও পড়তে পারেন। আমার পাঁচটা কবিতার বই-ই অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরে রাখা গেছে। কাগজে ছাপানো বই ভালো জিনিস, কিন্তু মোবাইলে পড়ার ট্রাই তো করতেই পারেন, কোন না কোন অকোয়ার্ড মোমেন্টে। পুরান প্রেম আর কদ্দিন। মানে, পুরান প্রেমেরও নতুন নতুন সারফেইস তো দরকার! Continue reading

রাঙামাটি: ইবুক এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

দুই হাজার ছয় সালে লিখছিলাম এই কবিতাগুলি। খুব প্ল্যান কইরা যে লেখা হইছিল তা না; বরং লিখতে লিখতেই মনে হইছিল একসাথে রাখলে তো একটা কাহিনি তৈরি হইতে পারে! লিখার পরে পইড়াই ছিলো অনেকদিন। তারপরে দুই হাজার নয় সালে বিডিনিউজটুয়েন্টিফোরডটকম এর আর্টস পেইজের এডিটর ব্রাত্য রাইসু ওইখানে আপলোড করছিলেন কবিতাগুলি। দুই হাজার বারো’তে শফিক শাহিনের দুয়েন্দে পাবলিকেশনস থিকা কফি-টেবিল-বুক হিসাবে ছাপানো হইছিল শ’খানেক কপি এবং দুই হাজার তেরো সালে বাকী বিল্লাহ্’র হেল্প নিয়া কাঠপেন্সিল প্রকাশনী থিকাও ছাপানো হইছিল কয়েক’শ কপি। দুইটা বইয়ের কোনটাই এখন বইয়ের দোকানে পাওয়া যায় না।

কিন্তু তাই বইলা বই ছাপানোটারে আজাইরা কাজ বইলা মনে করি না আমি। এখনো ছাপানো বই পড়তেই বেটার ফিল করি। তার বাইরেও, যেইসব উপায়ে বই পড়া যায়, সেইসব জায়গাতেও বইটা অ্যাভেইলেবল রাখতে পারলে ভালো, এইরকম একটা চিন্তা থিকাই ইবুক এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করা। টেকনিক্যালি এই কাজটারে পসিবল করছেন রক মনু। বুক ডিজাইন এবং অ্যাপ উনি বানাইয়া দিছেন। এই বইটার জন্য একটা গদ্য লিখে দিছিলেন মানস চৌধুরী, দুই হাজার এগারো  সালে। এই সুযোগে, পাবলিকলি কৃতজ্ঞতা জানাই উনারে। আসলেই যে ঘুরতে গেছিলাম রাঙামাটি’তে, সেইটার প্রমাণ হিসাবে কয়েকটা ফ্যামিলি ফটোও রাখা হইছে, টেক্সটের সাথে।

বইটা নিয়া তেমন কিছু বলার নাই। এতদিন পরেও যে নিজের লেখা বইলা একসেপ্ট করা যাইতেছে, এইটাই তো অনেক!

ইহা, এপ্রিল ২০১৫

ইনস্টল করেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

ক্লিক টু ইনস্টল

ক্লিক টু ইনস্টল

অথবা

অনলাইনে পড়তে পারেন::

উপরের উইন্ডোতে ফুলস্ক্রিন অপশন না পাইলে এই লাইনে ক্লিক করেন

অথবা

ডাউনলোড পিডিএফ ফাইল:: রাঙামাটি

‘বসন্ত: ১৪১৯’ – কবিতার বইয়ের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

বসন্ত ১৪১৯

বসন্ত ১৪১৯

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না থাকলেও পড়তে পারবেন আপনার পিসি, ল্যাপটপ, নোটবুক অথবা ট্যাবলেটে। মানে, মোবাইল অ্যাপ এবং ইবুক ভার্সন তৈরি করা হইছে এই কবিতার বইটার। প্রেসে ছাপানোর ইচ্ছাও আছে। ২০০ কপি ছাপাবো; যারা দুপুরবেলায় বিছানায় উপুড় হয়া শুইয়া বুকের কাছে কোলবালিশ নিয়া কবিতা পড়তে পছন্দ করেন, তাদের জন্য। তবে কাঠের চেয়ারে বা পার্কের বেঞ্চিতে বইসা পড়া যাবে এবং আরো অনান্যভাবে।

অন্ধদের জন্য শ্রুতিবই এবং বধিরদের জন্য ইশারা-বই করার কথা ভাবি নাই অবশ্য। উনারা আমারে মাফ করবেন। (অ্যাপল ষ্টোরে দেয়ার কথাও ভাবছিলাম, ওইখানে কবিতা পড়ার লোক মনে হয় কম, তবে ওইটাও করা যাইতে পারে।) [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে কবিতার বই প্রকাশ করার ঘটনা বাংলাদেশে সম্ভবত এই প্রথম। আশা করি অনেকেই এই জিনিস ফলো করবেন অথবা যারা করবেন বইলা ভাবছিলেন আমার এই চেষ্টার পরে উনাদের চিন্তা বাদ দিবেন না।

পড়তেই হইবো, এইরকম কোন আবশ্যিক শর্ত কবিতার কখনোই আছিলো না। এখনো নাই। লিখছিলাম যখন, তখন কি আর করা; থাকলো এখন, সময় পাইলে পড়তে পারেন!

শেয়ার কইরেন আপনার বন্ধুদের লগে। বিশেষ কইরা যাঁরা ইংরেজি একুশ শতকে বাংলা-কবিতা লিখতে পারার বিপ্লবী সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন।

বইয়ের নাম: বসন্ত ১৪১৯; বিষয়: কবিতা। কবিতার সংখ্যা: ১৮।

গুগোল প্লে স্টোরে ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ:বসন্ত ১৪১৯

অনলাইনে পড়েন বসন্ত ১৪১৯

অনলাইনে পড়েন বসন্ত ১৪১৯

অনলাইনে ইবুক পড়তে উপরের ছবি বা এইখানে ক্লিক করেন: বসন্ত ১৪১৯

পিডিএফ ডাউনলোড: বসন্ত ১৪১৯