পোশাক আর তার মিনিংগুলা নিয়া: কনভারসেশন উইথ ইব্রাকর ঝিল্লী

জুলাই মাসের ২৭ তারিখের পোশাক নিয়া একটা পোস্ট লেখছিলাম আমি ফেসবুকে, অইখানে ইব্রাকর ঝিল্লী কমেন্টে কিছু কথা বলতেছিলেন; তখন আমি প্রস্তাব করলাম যে, চলেন, না লেইখা, কথা বলি। এরপরে অগাস্টের ৭ তারিখে মনেহয় আমরা ফোনে কথা বললাম। এইটা পরে পাবলিক করবো আমরা – এইরকম একটা প্রিপারেশন নিয়া, কল রেকর্ড করছিলাম।

ইচ্ছা ছিল এর কিছু অংশ ট্রান্সক্রিপ্ট করার বা অডিওটারে একটু এডিট-টেডিট করার, কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে কিছুই করা হইলো না।
এমনিতে ৩০ মিনিটের কথাতে তো তেমন কিছু বলা হয় না, বড়জোর ২/৩ পাতার একটা টেক্সট হইতে পারে, ঠিকমতো এক্সট্রাক্ট করলে। পুরা আলাপের অডিও আপলোড করার চাইতে অইটা করতে পারলে বেশি ভালো হইতো আসলে। এইটার একটা টেকনিক বাইর করতে হবে। আপাতত, ফার্স্ট এটেম্পট হিসাবে র জিনিসটাই থাকলো।

২.
খুব বেশি আলাপ তো আসলে আমরা করতে পারি নাই, আরো দুয়েকজন থাকলে হয়তো আরো কিছু ডাইমেশন পাওয়া যাইতো। আর আলাপটা খালি পোশাকের ব্যাপারেই আটকায়া থাকে নাই, আরো কয়েকটা জায়গাতেও ছড়াইতে পারছে।
তো, এইরকম আলাপ করতে চাই আমরা। দেখা যাক, কদ্দূর কি হয়!

৩.
আলাপ’টা শোনার জন্য হেডফোন ইউজ করেন প্লিজ।

Continue reading

আমারে প্রশ্ন করেন!

ফেসবুকে Profoundly নামে একটা অ্যাপে প্রশ্ন করার লাইগা জিগাইছিলাম। অনেকে যা জিগাইছেন,  তার বেশিরভাগই লেখালেখি নিয়া। তো, ভাবলাম, একসাথে কইরা রাখা যাইতে পারে। সবাই যে প্রশ্ন করছেন, তা না, কয়েকজন কমেন্টও করছেন, সেইগুলিও রাখছি। কিন্তু যারা স্ট্যাটাসে বা কমেন্টে রিঅ্যাকশন রাখছিলেন, সেইটা আর এই ফরম্যাটে ধইরা রাখা গেলো না আর কি!

……………………………………………………….

আদিত্য রহমান  আপনার ‘বসন্ত…’ বইটার দাম এতো বেশি কেনো, কিনতে না পারার মতো?

Imrul Hassan খরচ বেশি হইছিলো আসলে ছাপাইতে আর ছাপাইছিলামও কম, ৩০০ কপি মনেহয়, সেই হিসাবে পার কপির দাম ঠিক করছিলাম ২৫০ টাকা। তবে বেশিরভাগ কপি তো বন্ধু বান্ধবদেরকে পড়ার লাইগাই দিছি। বেচা কমই হইছে। এখন আরো ৩০ কপির মতো আছে আমার কাছে, আপনি পড়তে চাইলে বইলেন, নিজ খরচে নিতে পারলে, আমি দিতে রাজি আছি। ধরেন, আপনার এই প্রশ্নের বিনিময়েই। 🙂

এমনিতে কোন বইয়ের দাম আমার কাছে কখনোই খুববেশি লাগে নাই, মানে টাকার লাইগা কিনতে পারি নাই এইরকম তো হইছেই, কিন্তু আমার মনে হইছে, লেখক রয়ালিটির জায়গাটা সবসময়ই মিসিং থাকতেছে আমাদের পাবলিকেশনে বা বইয়ের দামের কথা যখন ভাবতেছি। ওভারঅল গরিবি একটা ব্যাপার আছে, নানান ভাবেই। এইটা ঠিক না আর কি!

আদিত্য রহমান বাতিঘরে দাম দেখছি চারশো বা সাড়ে। সেজন্যই এই প্রশ্ন করছি। ২৫০ হইলে করতাম না উন্নত পেইজের দিকে তাকায়া। আপনার দিতে চাওয়াতে বিব্রত আসলে। জবাব দিবার ভরসা দিছেন বলে প্রশ্নটা করে ফেলছি আরকি। অনেকগুলাই পড়া বাতিঘরে, গিয়াই পইড়া ফেলবো আরগুলা।

Imrul Hassan ও, হ্যাঁ, চারশো টাকা-ই মনেহয়। আর আপনার বিব্রত হওয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। ব্যাপার না!

মেহেরাব ইফতি আপনি কবে দাড়ি রাখবেন? নাতি নাতনি হইলে?

Imrul Hassan বয়স না আসলে, সিচুয়েশনের উপ্রে ডিপেন্ডেড। চাকরি ছাইড়া বিজনেস শুরু করতে পারলেই ট্রাই করবো চুল দাড়ি বড় রাখার। 🙂

Sheikh Saddam Hossain রবার্ট ফ্রস্ট কইলেন, আই ক্যান সাম আপ মাই হোল লাইফ ইন্টু থ্রি ওয়ার্ডস ‘লাইফ গোজ অন’। আপনি লাইফরে সাম আপ করলে তা কেমন হবে? আর আত্মহত্যা করতে চাইছেন কখনো? করতে চাইলে ক্রাইসিসটা কী বা কীরকম ছিল?

Imrul Hassan লাইফ’রে সাম-আপ করতে গেলে এখন ভুল-ই হওয়ার কথা, আরো দুই-চাইর বছর পরে কিছুটা ট্রাই করলে বেটার হইতে পারে; তবে এখন টেম্পোরারি বেসিসে বলা যাইতে পারে, লাইফ (যেইটা আমরা ভাবি সেইটা মোস্টলি) আর্টের ইমিটেশন।

সুইসাইডাল টেন্সডেন্সি ছিলো দুইটা টাইমে, ঠিক সুইসাইড করতে যাই নাই কখনো। একটা ওয়েভ ছিলো পনের-ষোল বছর বয়সে, আরেকটা তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সে; থার্ড ওয়েভ এখনো নানানভাবে ঠেকায়া রাখতে পারতেছি। 🙂

ক্রাইসিস’টা খুব ডেফিনিট কিছু বইলা মনে হয় না, লাইফের মিনিংলেসনেস বা লাইফ’রে কোন না কোনভাবে আর্টিকুলেট না করতে পারা’র একটা জায়গা থিকাই মেবি ছড়াইতে শুরু করে।… Continue reading

কমেন্টস: বদমাইশি আর সত্যি

“হাম শরীফ কেয়া হুয়ে, পুরি দুনিয়াহি বদমাশ বান গায়ে…”

দিলওয়ালে সিনেমা’তে শাহরুখ খান এই ডায়ালগ দিছিলেন। তো, দেখতে গিয়া ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখছিলাম এই লাইন। তখন কমেন্টে আলাপ হইছিল কিছু। মানুষের সাথে তো কথা হয়, ভাবলাম, এই আলাপগুলি রাখা যাইতে পারে তো!

———————

খন্দকার ইকরাম আহমেদ: পুরা দুনিয়ারে বদমাইশ বানায়া শরীফ হওয়ার শখ হইছে ক্যান?

ই.হা. : দেখেন, আমরা তো চিন্তা করি একটা লিমিটেড টাইম আর স্পেইসের পারসপেক্টিভে, যার ফলে একটা কথা তার অপজিটটারে না নিয়া এগজিস্টই করতে পারে না। মানে, কেউ একজন ভালো হইলে অন্য কাউরে নেসেসারিলি খারাপ হওয়া লাগে, তা নাইলে ভালো হওয়া জিনিসটা কোনকিছু মিন-ই করতে পারে না। 🙂

আমি যেহেতু ভালো, দুনিয়ার কি খারাপ না হইয়া কোন উপায় আছে! বা কেউ না কেউ খারাপ না হইলে আর তারে ‘পুরা দুনিয়া’ বইলা ভাবতে না পারলে কেমনে আমি নিজেরে ভালো বইলা ক্লেইম করতে পারি? দোষটা আসলে আমার বা দুনিয়ার না, টাইম আর স্পেইস লিমিটেড বইলা এইরকম ঘটতেছে আসলে।

Continue reading