দ্য মামি রিটার্নস‬

 

দ্য মামি রিটার্নস সিনেমায়, মমিগুলা যখন জাইগা ওঠে, তখন ওরা ত নিজেদেরকে জীবিতই ভাবে, তাই না? এইখানে, এইরকম জীবিত থাকার মানে হইলো, মরা-কবিতাগুলা বারবার লিইখা যাইতে পারার ঘটনা বা লিখতে পারার ঘটনাগুলারে মনে করতে পারা। এতো এতো দিন পার হৈয়া গেলো তারপরও এরা ফ্রেশ; দেখো, এমনকি ফরমালিনও দেয়া হয় নাই কোনো (এই ‘কোনো’ মিনিংলেস আবেগের এক্সপোজার, অক্সিলিয়ারি হইলেও, জরুরি); জৈবসারেই উৎপাদিত। যার ফলে, অর্গানিক ষ্টোরগুলাতেই পাওয়া যায়। বেচা কম, দাম বেশি। যদিও পাবলিক এখন এইসবের ভ্যালু টের পাওয়া শুরু করছে। এইসবকিছুর পরে হইলো. পুরষ্কার-টুরষ্কারের কথা; দুই-একটা যদি পাওয়াই যায়, ওইটা ত ফাও! এই ঈর্ষাতেও বন্দী করা গেলো নাহয় কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের!

 

জ্ঞান

 

‘জ্ঞান অতি উচ্চ, আদরের জিনিস, তাহার জন্য চীন পর্যন্ত যাইও।’ অবশ্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট এখন এতোটাই ইজি হইছে যে, কোন একটা কুয়া বানাইতে পারলেই নাকি হয়, ইভেন বাথরুমের বালতিতে একটুখানি জল রাইখা দিলেও, মুরাকামির গল্প থিকা ডাইরেক্ট আইসা হাজির হন, যিনি টোকিও শহররে বাঁচাইছিলেন। প্রাকটিক্যাল রুমে নিয়া আটকাইবার লাইগা লগে সেফটিপিন রাখতে পারলে আরো ভালো হয়!

 

জুলাই ২৭, ২০১৪। (২)

 

টেম্পোতে ওঠার আগে চাচাতো ভাইয়ের ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেছিল শে । ঘাড়ে পাউডার মাইখাও ঘামতেছিল । লুঙ্গি পইড়া চইলা আসাতে সেও যাই যাই করতেছিল । কলেজ কি আজকে এতো দেরি কইরা ছুটি দিলো? না, না আমি ত আরেকটা কাজে আসছিলাম! এইটুক কথার পরে মেয়েটা টেম্পুতে ওইঠা যায় । ওর হাসি হাসি মুখ শে আর লুকাইয়াই রাখতে পারে না । অতো হাসিস না লো ছেড়ি, পাশে বইসা থাকা পাশের বাড়ির খালা কয়, মুখ টিইপা হাসতে হাসতে ।

 

জুলাই ২৭, ২০১৪। (১)

 

বি. আর. টি. সি.’র এসি বাস আসতে দেরি হইতেছিল; বাদশা পরিবহনেই ওইঠা পড়লাম । মোবাইলে আপনা দিল তো আওয়ারা’র ফিমেইল ভারশনটা শুনতেছিলাম । দুইজনের সিটে তিনজন বসতে হইছে ; বইসা থাকা একজন মহিলা দাঁড়াইয়া থাকা একজন মহিলার সাথে গারমেন্টসে উনাদের সমস্যা নিয়া কথা বলতেছেন । টঙ্গি এলাকায় থাকেন দুইজন । একজনের জামাই আছে লগে, আরেকজন ফোনে জামাইরে কইলেন তোমার লাইগাই ত দেরি হইলো । উনি ছেলেরে নিয়া যাইতেছন, জামাই ঈদের পরে ছুটি নিবে এইকথাও কইলেন । ইফতারির আগেই আমরা ভৈরব পৌঁছাইয়া যাইতে পারবো মনেহয় ।

 

দুর্গতিনাশিনী

ফটো: আনিকা শাহ
———————–

ব্যাপারটা স্ট্রাইক করলো এটিএম-এ টাকা তুলতে গিয়া; টাকা থাকার কথা ছিল, টাকা ত নাই; কিন্তু আগে থিকা কোনো আওয়াজ দেয় নাই; মেশিন ত কয় আগে, যে ভাই আপনের ত টাকা নাই, বাটন টিপেন কেন খালি, চাইলে হিসাবের কাগজ নিয়া যান। অথচ সে কিছু না কইয়া কাগজ বাইর কইরা দিলো। কাগজ পইড়াও কিছু বোঝা যায় না; কোনো হিসাব নাই, খালি একটা লাইন, তাও মিনিংলেস, কোনো অর্থ নাই। গাণিতিক কিছু একটা লেখা, নাম্বার সাইন ইত্যাদি দিয়া। তখনই মনে হইলো, কোনো একটা গণ্ডগোল আছে এইখানে; খালি এইখানেই না অন্যান্য জায়গাগুলাতেও; যার ভিতর দিয়া এইটা ইনিশিয়েটেড হইছে। এইটাই শেষ না, মাত্র শুরু হইলো দিন। তখনো সকাল। দশটা বাজে নাই। অফিস-টাইম শুরু হয় নাই। ওহ্, অফিসে ত যাইতে হবে তাইলে।

ফেইসবুকে যেইরকম একটা ইস্যু শেষ না হইতেই আরেকটা ইস্যু চইলা আসে; ছবির হাট বন্ধের লাইগা স্ট্যাটাস দিতে না দিতেই স্পেনের পাঁচ গোল খাওয়া, তারপরে কালশীতে বিহারী পুড়াইয়া মারা, ওগো মোর জাতীয়তাবাদ, ওরা কি মানুষ না! শেষ না হইতেই মানুষ সরদার ফজলুল করিম মরলেন, যিনি নিটশে’রে সুপার-হিউম্যান ধারণার লাইগা হিটলারের বাপ ভাবছিলেন; সেইটা পার হইতে না হইতেই ইন্ডিয়ার সেকেন্ড ক্লাস টিমের সাথে বাংলাদেশ ওয়ানডে ম্যাচ হারলো, সন্ধ্যা ও বৃষ্টি একসাথে এবং পহেলা আষাঢ়ের প্যান প্যান; আর্জেন্টিনা’র খেলা… এইরকম দুর্গতিগুলা আসতেই থাকবো একটার পরে একটা। এইরকম মনে হইলো, ঘটনাটা। Continue reading