গল্পের বই: ২০৪৬

“Everyone who goes to 2046 has the same intention, they want to recapture lost memories. Because in 2046 nothing ever changes. But, nobody knows if that is true or not because no-one has ever come back.”

  • 2046, Wonk kar wai.

—————————————-

১.
বেশিরভাগ গল্প ২০৪৬’র টাইমটারে প্রজেক্ট কইরা লেখা। দুয়েকটা গল্প বাদ দিয়া। তো, ২০৪৬-তে বাঁইচা থাকবো না আমরা, যাদের বয়স ৪০ ক্রস করছে; আর বাঁইচা থাকলেও ওইরকম বোধ-বুদ্ধি থাকার কথা না। বা এখনকার ২০৪৬’র যেই কল্পনা ওইটা ততদিনে আর ভ্যালিডও থাকার কথা না। মানে, ফিউচার বলতেছি না আমি কোন। নিয়ার ফিউচার নিয়া গল্পই লিখছি। আর সেইটা সবসময় অন্য একটা ঘটনাই। যখন ২০৪৬ অ্যাপিয়ার করবে, ২০৪৬-এর গল্প ইনভ্যালিড হইতে পারার কথা।

২.
একটা তো হইলো যে, এইভাবে টাইম’রে জানা যায় না। টাইম ব্যাপারটা এগজিস্ট করে মনেহয় এইরকম পিছলায়া যাওয়ার ভিতরেই। আমি ভাবতেছি আর আমার ভাবনাটা জেন্ডার বায়াসডই। এখন যেমন একটা ব্যাপার হইতেছে যে, ছলা-কলা (সিডাকশন) না জানলে ফিমেইল হওয়া যায় না বা দেখো, ছলা-কলা থাকার পরেও আমি ফিমেইল হইতে পারি! আছে কিনা জানি না, আমি ভাবতে পারি আর কি! মানে, এইটার থাকার দরকার নাই। প্রজেক্ট কইরা কইরাই তো রিয়ালিটি বানায়া ফেলতে পারি আমরা। তো, তখন হ্যাভিং ছলা-কলা বিকামস একটা ইন্ট্রিগ্রাল পার্ট অফ বিয়ং অ্যা ফিমেইল। এইরকম ছলা-কলা’র জায়গায় একটা বেদনা না থাকলে বেটা হওয়াটাও টাফ হওয়ার কথা এখন বা ইন ২০৪৬-এ এইটা আরো ভিজিবল হয়া উঠার কথা। বা না হইলো, আমি যেহেতু স্যাড হইতে চাই, স্যাডিস্ট হওয়াটা পসিবল না আর। ভাবলাম একটু এইরকম।

৩.
এলিট কমলকুমার কইছিলেন, ‘ঘটনা ইজ নট গল্প।’ উনার মাড়-ভাতে আঙুলও ডুবতো না। এই গল্পগুলির ঘটনাগুলি এতোটা যুইতের হইলো না – এই আক্ষেপ মনেহয় আমার থাইকাই যাবে।

—————————————–

১. জয়-বাংলা
২. দুইটা মিথ্যা গল্প
৩. আমি আর আমার ছোট বইন
৪. ২০৪৬
৫. স্বপ্নের গরুগুলি
৬. ডার্বিলানস
৭. আন-নোন
৮. মেমোরি
৯. বিবাহিত

—————————————-

Continue reading

‘ধান কাটা হয়ে গেলে পরে…’

ধান কাটা হয়ে গেছে কবে যেন — ক্ষেত মাঠে পড়ে আছে খড়
পাতা কুটো ভাঙা ডিম — সাপের খোলস নীড় শীত।
এই সব উৎরায়ে ওইখানে মাঠের ভিতর
ঘুমাতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ — কেমন নিবিড়।

ওইখানে একজন শুয়ে আছে — দিনরাত দেখা হত কত কত দিন
হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;
শান্তি তবু: গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং
আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।
 

 /ধান কাটা হয়ে গেছে, জীবনানন্দ দাশ

 ————————————————————-

 ———————————————————
লেখার টাইম: ডিসেম্বর, ২০১৪ – ডিসেম্বর, ২০১৫।
 ———————————————————-

 

 ধান কাটা হয়ে গেলে পরে…’

অর্গি ইজ মিস্টিরিয়াস
ধানের খেতের পাশে, ধান কাটা হয়ে গেলে পরে

পাশে রাখা আঁটিগুলা একটা আরেকটার গায়ের উপ্রে
আগে, পিছে, উপ্রে আর নিচে,
পইড়া আছে

কোন বডি ফিলিংস নাই আর
অর্গান খুলে রাইখা নেতাইয়া শুইয়া আছে

ধান-কাটা হয়া গেছে বইলা?
ধানের খেতের পাশে; সন্ধ্যাবেলায়, হেমন্তে…

 

একটা বিড়াল

একটা বিড়াল আসছে আমার কাছে
আমার বুকে শুয়ে শুয়ে
আকাশের দিকে তাকায়া আছে…

একটা বিড়াল তার বাঘ হওয়ার প্রতিভা নিয়া
আমার বুকের ‘পরে শুইয়া আছে।

 

স্বপ্ন-মধুর-মোহে

আমি তোমার কাছে রাখলাম অবিশ্বাস। তুমি বললা, স্বপ্নগুলা আমি লিইখাই ফেলি তাইলে। আমি দেখছিলাম বিল্ডিংটা ধসে গেছে; লিফটের ভিতরে আটকাইয়া না থাকতে পাইরা আমি চইলা আসছি খোলা মাঠে; শুয়া আছি, রিফিউজি ক্যাম্পে, নীল কম্বলের নিচে। আশেপাশে অনেক মানুষ; ঘুরাফিরা করে, চানাচুর খায়, বেচে; উদ্ধারকাজ দেখে। তোমারে পাই না তখোন তোমার স্বপ্নে আর। ঘাসে ঘাসে কুয়াশার ফুস্কুরি।

Continue reading

ইবুক: পুরির গল্প

২০১৬-তে এই গল্পের বইটা ছাপানো হইছিল। ছাপা বইয়ে ১২টা গল্প আছে। এই ই-বুকে আরো দুইটা গল্প (দুর্গতিনাশিনী আর আমার ফ্রেন্ডের বউ) অ্যাড করা হইছে।

অনলাইনে পড়তে পারেন বা পিডিএফ-এ ডাউনলোড কইরাও পড়া যাইতে পারে।

purir-golpo

পুরির গল্প, ফ্লিপিং ইবুক পড়তে ছবিতে ক্লিক করতে হবে।

 

ক্লিক: ডাউনলোড পিডিএফ

কবিতার বই: কালিকাপ্রসাদে গেলে আমি যা যা দেখতে পাবো (২০০৫)

আরেকটু হইলেই বিখ্যাত হইয়া যাইতে পারতো আমার প্রথম বইটা; ২০০৫ সালে যখন ছাপা হইছিল তখন প্রথম আলো’র সাহিত্য সাময়িকী তরুণদের ১০টা বই বাছাই করতো, ওইখানে নাম নাকি প্রায় চইলাই আসছিলো; বিচারকদের ৫জনের ৩জন নাকি পছন্দ করছিলেন আর ২জন পছন্দই করেন নাই, তো গোপন ভোটাভুটিতে হাইরা গিয়া আর বিখ্যাত হইতে পারে নাই। আমি পরে গোপনে এই খবর পাইছিলাম। এখন এইটারে গাঁজাখুরি গল্প কইলে আমার প্রমাণ করার কোন উপায় নাই। সো, এই ইনর্ফমেশনরে জাস্ট একটা সাত্বনার কথা হিসাবেই পড়তে পারেন।

তো, বিখ্যাত না হইলেও পুরান ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হইলে অরা আমারে এই বইটার কথা-ই জিগায়। মানে, ওইখানে মাইরা ফালাইয়া রাখছে আমারে; কেউ কেউ নিয়মিত বিরতিতে, দীর্ঘশ্বাস গোপন কইরা জিগানও যে, “বইটা কি আর পাওয়া যায় না, কোথাও?” Continue reading

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: স্বপ্নের ভিতর (কবিতার বই)।

কবিতা নিয়া কিছু ধারণা আমার আছে; যেমন, কারো কবিতা সোসাইটিতে একসেপ্টেড হইবো কি হইবো না এইটা ঠিক হইতে মোটামুটি পঞ্চাশ বছরের মতো লাগে, কবিতাটা লিখার পরে। অনেক সময় একশ-দেড়শ বছরও লাগে, পাঁচশ বছরও লাগতে পারে। ইট ডিপেন্ডস। অনেকে অবশ্য পড়ার পরেই বুইঝা ফেলতে পারেন, সেইসব আপনিদের কথা আলাদা। অনেকে তো আমার নাম শুইনাই (বা শুনেন নাই বইলাও হয়তো) বইলা দিতে পারেন, এর কিছু হয় না। তো, পঞ্চাশ বছর ওয়েট করারও তেমন কিছু নাই। একটা অ্যাভারেজ টাইমলাইনের কথা ভাবলাম আর কি। অনেককিছু স্পষ্ট হইতে তো টাইম লাগে, অনেককিছু বাতিল হইতেও। তারপরও অনেকসময় যেইটা থাইকা যায়, সেইটা কবিতা না সবসময়। থাকতে থাকার মতো অনেককিছুই আছে দুনিয়ায়, সেইসবকিছু কবিতা কিনা এখনো শিওর না। তারপরও বাঁইচা থাকলে মরার লাইগা পঞ্চাশ বছর ওয়েট তো করাই যায়।

এই কবিতার বইয়ের কবিতাগুলির পাঁচ/ছয় বছর হইছে। আমার সবচে বেশি মার্কেট পাওয়া বই; মানে, আমার পরিচিত অনেকেই এই বইটার কথা বলছিলেন, সেই কথা-বার্তা থিকা ধারণা করলাম। বইটার অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন বানানো হইছিল গত ফেব্রুয়ারিতে, সেইটা দেখলাম একশবারের বেশি ইন্সটল করা হইছে; একশ কপি বই যে সেল হয় নাই এইটা আমি মোটামুটি শিওর। তো, অ্যাপ তো খারাপ না। সেলিব্রেট করলাম ব্যাপারটা এই পোস্ট দিয়া। স্যাম্পল হিসাবে কবিতাও রাখলাম লগে, কয়েকটা।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের লিংক: http://bit.ly/1Ra9Nzi

 

—————————————

 

স্বপ্নের ভিতর

অনেকদিন পর স্বপ্নে তোমারে দেখলাম। স্বপ্নে তুমি আরো সহজ আরো সাধারণ। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা কথা-বার্তা বলতেছি আর তখনো আলাদা থাকি আমরা। তুমি আসছো আমাদের বাড়ি। স্বপ্নের ভিতর তোমার নাকে নাই কোন নাকফুল।

কী করবো এই নিয়া চিন্তিত তুমি আমি ক্রমাগত অপশন বলছি তুমি পলিটিকস এর কথা ভাবতে পারো কিংবা গ্রামে নারী-শিক্ষা প্রসারে প্রতিটা ইউনিয়নে একটা গার্লস-স্কুল করার সামাজিক আন্দোলন করো। কতকিছু করার মতো আছে আর তুমি ভাবতেছ শুধু। অথচ আমি বুঝি নাই এইটাই ত ভালো! কী কী করা যায় এই বিষয়ে যদি সারাদিন ধইরা কথা বলতে পারতাম আমরা!

বাস্তবে যখন তোমারে দেখছিলাম তখন তুমি স্বপ্নের ভিতর কোঁকড়ানো। স্বপ্নে তুমি যে কোন একটা বাস্তবতার মতো।

Continue reading