টিয়ার্স ইন হ্যাভেন

আমার একটা মুশকিল আছে, খালি ‘কারণ’ বলতে ইচ্ছা করে। গতকালকে হাসনাত শোয়েব একটা স্ট্যাটাসে জিগাইলেন ইমাজিন নাকি টিয়ার্স ইন হ্যাভেন? ভোট না ঠিক, প্রেফারেন্সই জানতে চাইছেন হয়তো, আমি টিয়ার্স ইন হ্যাভেন লিখছি কমেন্টে, অনেকেরই কমেন্ট টিয়ার্স ইন হ্যাভেন। তখন বা তার আগেও মনে হইতেছিলো, কেন টিয়ার্স ইন হ্যাভেন।

ইমাজিন আমার পছন্দ না, এর সেকুল্যার, এনলাইটমেন্টের ড্রিমের কারণে, এইটা নিয়া লিখছিও আমি। কিন্তু টিয়ার্স ইন হ্যাভেনের সাথে যদি কম্পেয়ার করেন, একটা হইতেছে, পলিটিক্যাল আর আরেকটা পারসোনাল ফিলিংসের ঘটনা (গ্রসলিই বলতেছি)। তার মানে এইটা না যে, পারসোনাল জিনিসগুলি বেটার আর্ট হইতে পারে বা এইরকমকিছু; বরং এই যে পারসোনাল – এইটা অনেকবেশি ইন্ডিভিজ্যুয়াল, পিপল যেইটারে কানেক্ট করতে পারে; ইমাজিনে যেইরকম কমন একটা জায়গা, যেইখানে ইন্ডিভিজ্যুয়াল’রে কানেক্ট করতে কয়। একটা পেইন অলরেডি আছে, আর একটা ড্রিম সাবস্ক্রাইব করতে বলে। একটা ‘অন্যায়’ ইমিডিয়েটলি ফিল করা যায়, যেইখানে ‘ন্যায়’ জিনিসটা চেইঞ্জ হইতে পারে। এইরকম।

দুইটাই ফিউচার নিয়া বলা, কিন্তু ইমাজিন’টা উইথইন টাইম, আর টিয়ার্স’টা হইতেছে টাইমের পরে গিয়া বলা। Continue reading

এল. কোহেনের একটা গান নিয়া…

কোহেন যখন বলতেছেন, ‘মাই উইমেন’ তখন একজন সার্টেন উইমেন তো আছেন বা ছিলেন উনার পজেশনে। এই ধারণাটা তো আছেই যে, আমার বউ, আমার জামাই, আমার বয়ফ্রেন্ড, আমার গার্লফ্রেন্ড – এই দখল বা পজেশন গাড়ি-বাড়ি’র চাইতে কম কিছু না। আপনার লাইফে ম্যাটেরিয়াল পজেশন অনেককিছু আছে, কিন্তু রিলেশনশিপের পজেশনও থাকা দরকার, নেসেসারিই আসলে। ইন ফ্যাক্ট কোন দখলদারি ছাড়া তো রিলেশনের ধারণাটা এগজিস্টই করতে পারা’র কথা না। এইসবকিছু’রে এইভাবে ভাবাটা হয়তো একটু খারাপ লাগতে পারে যেমন ভাবি আমার রোবট, আমার মেশিন, আমার মোবাইল… কিন্তু ক্লোজই আসলে ব্যাপারটা, এতো ডিসট্যান্স কিছু না মে বি। মানে, এইরকম ভাবা’র ব্যাপার তো আছেই।

ঘটনা সেইটা না। ঘটনা হইতেছে সেই এই ওনারশিপ’টা কেমনে কাজ করে। সেক্স অবভিয়াসলি একটা মেজর ব্যাপার। গানের ঘটনা মনেহয় এইরকম যে, কোহেনের বউয়ের লগে তার ফ্রেন্ড ক্যাজুয়াল সেক্স করছে, কিছুদিন থাকছিলো এক লগে, এখন কোহানের লগে থাকতেছে, পরে এখন কোহেন ব্যাপারটা নিয়া ভাবার ট্রাই করতেছে। কোহেনের লিরিকসে এই ব্যাপারটা আছে যে, তাঁর ফ্রেন্ড তার বউ’রে নিছে বা তার বউ যে গেছে সেইটারে ফ্রেন্ড না করে নাই, একসেপ্ট করছে। এইটা যতোটা মাইল্ড হওয়া পসিবল, ততটা মাইল্ডভাবে বলার ট্রাই করছেন কোহেন। দোষ দেয়ার ব্যাপারটা কম উনার, ফ্রেন্ড বা বউ – কারো উপ্রেই; একটা দুঃখ আছে খালি।

আমার সন্দেহ, এইটা প্রেমের দুঃখ না খালি, উনারশিপটা যে নাই, সেই না থাকারও কষ্ট।

একটা কষ্ট তো জেন-এরও আছিলো। কোহেন ভাবছে সেইটা পারমানেন্ট জিনিস, উইমেনলি একটা ব্যাপার। এইটাও এক ধরণের মালিকানার জিনিস বইলা ফিল করছে বইলা মে বি। কিন্তু ওই লোকের সাথে রিলেশনের ভিতর দিয়া শে কোনভাবে সেইটারে ইরেজ করে দিতে পারছে। কেমনে করছে – সেইটার ব্যাখ্যা তো নাই এমনিতেও, ব্যাখ্যা জিনিসটা তো বাজেই, একরকম; তারপরও… মে বি জেন পলিগ্যামিক হওয়ার ভিতর দিয়া এমন একটা জায়গারে আইডেন্টিফাই করতে পারছে যেইখানে মালিকানা’র ব্যাপারটা ব্লার হইতে পারে।

রেভিউলেশনারি রোড সিনেমায় একটা সিন ছিল কেট উইনস্লেট যখন বুঝতে পারে যে তার হাজব্যান্ড চিট করতেছে তখন শে তার নেইবারের লগে সেক্স করে; যেন প্রতিশোধ নিলো একটা। সেক্স করা যে মালিকানার একটা ঘটনা, সেইটা থিকা শে নিজেরে বাইর করতে চায় মনেহয় নিজেরে। পারে না। কিন্তু এই গানটাতে জেন-এর প্রতিশোধের কোন ব্যাপার নাই, জাস্ট আরেকটা রিলেশনই, কিছুদিনের। শে অনারও করে ব্যাপারটারে। কিন্তু এইরকম থাকতে যে পারা যায়, খালি এইটুকই না; শে যে ছিল, এইটা মে বি তারে রিলাক্স করে কোনভাবে। Continue reading

কাভার সং

হাসান-এর গানের কয়েকটা কাভার শুনলাম, পরে পুরানটা শুইনা মনে হইলো, উনারটাই বেটার।

হাসান-এর তো ইজ্জত কম-ই, বাংলা-গানে (জেমস, মাইলস, এবি’র তুলনায়ও)। আমার ধারণা, কপি করার কারণেই। উনাদের প্রথম গানের ক্যাসেটের নাম-ই তো ছিল, কপিয়ার। কপি করা, নকল করা – এইগুলা ঠিক ক্রিয়েটিভ কোন কাজ না। কিন্তু উনি যখন গান গাওয়া শুরু করলেন সেই টাইমে আমরা যারা কোচিং সেন্টারে ইংরেজি শিখতাম, ওরাও ইংরেজি গান পুরাটা বুঝতে পারতাম না। এই কারণেও হাসানের গান শুইনা ভাল্লাগতে পারে। অবশ্য যে কোন চেইঞ্জেই কোন না কোন ক্রিয়েশন তো হয়। একজনের কথা আরেকজন কইলেও, কারণ আমাদের খেয়াল তো থাকে মিনিংয়ের দিকে, যার ফলে আরেকজন বলা মানে কনটেক্সট’টা একটু হইলেও চেইঞ্জ হওয়া, মিনিংটা না পাল্টাইলেও, একটু পিছলাইয়া যাওয়া…।  লিখিত-সাহিত্যে এইজন্য অনুবাদ বাজে কোন জিনিস না। একজন রাইটার তো আছেনই, তারে মাইনা নিয়াই আরেকজন লিখতে পারেন সেইটা। গানের ক্ষেত্রে এইটা শুরু হইতে বা মাইনা নিতে টাইম লাগছে, কনটেম্পরারি এরিনায়। ‘ফোক’ বইলা যেই জেনর’টা আইডেন্টিফাইড সেইখানে সবসময়ই এইটা চলছে বা ব্যাপারটা ডেভলাপ-ই হইছে এইভাবে। ওনারশিপের ঝামেলাটা মে বি রিলেটিভলি কম।

Continue reading

মদনমোহনের গানে

পাস আয়িয়ে কি হাম নেহি
আয়েঙ্গে বারবার
বাহে গালে মে ডাল কে
হাম রোলে জারজার

আঁখো সে ফির ইয়ে পিয়ার কি
বারসাত হো না হো…

সায়েদ ফির সে জনম মে
মোলাকাত হো না হো…

 

আসো গ্রুপ বাইন্ধা কান্দি আমরা। একজনের কান্দা তো সবারই কান্দা। সবাই আমরা আল্লারই বান্দা। যেই সময় আসছে দুনিয়ায়, সেই সময় তো পারমানেন্ট না; এই টাইম চইলা যাবে, আরেক টাইম আসবে; আমরা তাই এই টাইমটারে পুরান বানায়া কানতেছি, এই নতুন সময়ে। একলা একলাই কান্দি আসলে। যদিও অন্যান্যরা আছে, সবারই আছে নিজ নিজ কান্দা। আমার কান্দা ভাই তুমি তাই কাইন্দা দিও না। পারবা না তো। যার যার লাইফ তার তার। Continue reading

তাহার মতো, তাহাদেরই মতো…

একজনের ভালোবাসার মতো আরেকজনরে ভালোবাসা হয় না আসলে। প্রেম-ভালোবাসা একটা ইন্ডিভিজ্যুয়ালিস্টিক ঘটনা। ইন্ডিভিজ্যুয়াল ওয়ে অফ কানেকটিং দ্য আদার। এখন এই দেখাটাও ভালোবাসার ঘটনাটা থিকা আলাদা বা দেখতে পারা যায় বইলা ভালোবাসার কথাটা ভাবা যায়। অলি কথা বলে না আর বকুলও হাসে না কিন্তু কাছাকাছি দেইখা ভাবা যায় এই যে ঘুরাফিরা কথা-ই তো সেইটা আর বকুল যে শরীর কাঁপাইলো বাতাসে, বা ধরেন কথা বলতে বলতেই কেউ হাইসা দিলো স্কাইপে; ভালোবাসাই তো, তাই না? এইকথা শুইনা তুমি আর হাসবেন না, নাইলে কেন এই গান। বা যেইটা পসিবল শুনলেনই না হয়তো।

কিন্তু ভালোবাসলে ভুল করতে পারতে হয় আসলে। ফাগুন একটা আনন্দের ঘটনা; বাতাস যে উড়ায় ধূলা; সেই ধূলার আনন্দ হইলো যে কেউ দেখতে পাইতেছে তারে; ভাবতেছে এইটাই ভালোবাসা। মানে, ভালোবাসা এক্সিবিশনিস্ট একটা ব্যাপারই। কেউ না কেউ যদি না দেখে তাইলে এগজিস্ট করে না, ঘটনার বাইরে থিকা কেউ দেখতেছে বইলাই এইটা ঘটনা। ভালোবাসা, বকুলফুল, দ্য আল্টিমেট ইভেন্ট, তুমি আসতে পারো তো! Continue reading