স্কুল-ফ্রেন্ড

আমার দোস্ত মরতে গিয়া
মরার মতো বইসা আছে
অফিসের ডেস্কের সামনে

সে ত আছিলো ক্লাশে,
ভাবছিলাম বাসায় গেছে
এখন দেখি একটা অফিসে Continue reading

আমি ও শি

 

কত যে কথা শি, বলতেছো তুমি। আর তোমার চোখে কী যে হাসি! বাসর রাতের পরের দিন সকালবেলা ওইঠা দেখি বিশটা মিসকল। চিন্তা করো কেমন লাগে! তখনই আবারো হুদা ভাইয়ের ফোন, সকাল আটটায়। সাহিল ত পাশে মরা’র মতো ঘুমাইতেছে। ফোনটা ধরেই বললাম, কেন ফোন দিছেন? উনি বলে, ওই ফাইলটা ত আজকে সকালেই মিটিংয়ের আগে দরকার! চিন্তা করো, গতকালকে আমার বাসর রাত গেছে আর সকালবেলা ফাইলের খোঁজ দেয়া লাগে। অফিস জিনিসটা এতো বাজে! সবগুলা পুরুষ খালি জামাইয়ের পোস্ট চায়। আমি কি দ্রৌপদী নাকি? বইলা শি ঠোঁট টিইপা আবার হাসে। Continue reading

ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ

সকালবেলা একটা কলা আর বনরুটি কিইনা হাঁটতে হাঁটতে অফিসে যাইতেছেন একজন নারী; কাঁধে ব্যাগ, কিছুটা সংকোচ আছে যদিও। এই শহর – অপরিচিতের ভীড়, সেই সংকোচরে আর বাড়তে দেয় না। কলাটা ছিলাইতেছেন তিনি আর বনরুটির সাদা ক্রীম বাইর হয়া আছে একটু। এই দৃশ্যরে ইগনোর কইরা তিনি যেন হাঁইটা যাইতে পারেন এই শহরে, আরো অনেকদিন, অস্বস্তি ছাড়াই। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় ব্রেকফাস্ট করা যায়, রাস্তায় ইফতারি করার মতো, রিকশায় যাইতে যাইতে সিংগারা দিয়া লাঞ্চ করার মতো। দুপুরে কোথাও বইসা খাওয়ার মতো সময়ের বিলাস ত অসম্ভব! এতো যে দৌড়, কই যাইতে চাই আমি? [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

দ্রুত হাঁইটা আইসা ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াইছেন আরেকজন নারী, সুন্দর তিনি; ঘামতেছে তার কপাল, হাত দিয়া সরাইতেছেন চুল। মোটর সাইকেলের পিছনে জামাইয়ের বা ভাইয়ের কোমর ধইরা বসছেন যিনি, হাই তুলতেছেন, একটু। মনে করাইলেন, এখন সকাল হয়।

Continue reading