লাভ ইজ অ্যা ক্লাশ ওয়ারফেয়ার

 

মানে, ওয়েল-মেইড ফিল্ম’রেই কি আমরা ভালো-সিনেমা বলবো?

ম্যাচ পয়েন্ট হইলো খুব স্মুথ একটা সার্কেল তৈরি করছে; স্টোরি’টাও… কোন কনফিউশনই নাই; যে, প্রেমও শেষ পর্যন্ত একটা ক্লাসেরই ঘটনা আসলে। দেখেন, স্কারলেট জোহানসন যদি অ্যাকট্রেস হইতে পারতো, মে বি তারেও ডিজায়ার করা যাইতো; কিন্তু যে কিনা সেলস-গার্ল, তার প্রেমে কি আর পইড়া থাকা যায়; বা যায় হয়তো যদি আপনি এনাফ রিচ হইতে পারেন, বিমানের উঁচা থিকা দেখলে যেইখানে দুইতলা আর দশতলা বিল্ডিংয়ের তেমন কোন ডিফরেন্স নাই। আর আপনারে আসলে ডিসিশান নিতে হবে, প্রেমের; যে আপনি শুরু করবেন, না শেষ করবেন, নাকি থাকতেই থাকবেন, যদিও এইটা সম্ভব না আর… সময় তা বলে দিবে, বইলা আটকাইয়া থাকা যাবে না মনেহয়। সো, স্টোরি’তে বিলিভ করতে হবে। রিয়ালিটি হইলো, কোন এক ডিটেকটিভের মাঝরাতে দেখা আজাইরা কোন ড্রিম; ছোট্ট কোন ফ্যাক্টের ধাক্কায় ইরিভিলেন্ট হয়া উঠবে।

হেই ফ্লিং-লাভার, একস্ট্রা ম্যারিটাল কোন রিলেশনশীপে যাওয়ার আগে একটু তো ডরাইবেন!

লাভ, লাস্ট (Lust) আর লাইফ

অ্যাডাল্টারি করেন ভালো কথা; কিন্তু সোশ্যাল গেট-টুগেদার পার্টিতেই ক্যান চুমা খাওয়া লাগবো আপনারে; এইটা কিছুটা বুঝা যাইতে পারে ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা দেইখা। এমনিতে সিনেমা ছাড়া কোনকিছু রিয়েলি বুঝতে পারাটা আসলেও টাফ।

সিনেমার কাহিনি হইলো, ভিকি আর ক্রিস্টিনা গেছে বার্সিলোনাতে সামার কাটাইতে; তখন এক আর্টিস্ট (আন্তোনিও) আইসা কয় যে, সে দুইজনের সাথে শুইতে চায় (জেনুইন আর্টিস্ট’রা পারেন এইরকম, যেইটা ফিল করেন সেইটা সরাসরি কইতে পারেন; খালি পারেন-ই না, এই পারাটা হইলো আপনি যে একজন জেনুইন আর্টিস্ট সেইটার একটা ম্যানিফেস্টিশন)। ক্রিস্টিনা তো শুইনা খুশি হয়, কারণ শে অ্যাডভেঞ্জারাস; ভিকি খুবই খেপে, কারণ সে ট্রাডিশন্যাল। পরে ভিকি’রে আগে লাগায় আন্তোনিও, খুবই রোমান্টিক সেইটা; যখন দুইজনই দুইজনরে কানেক্ট করতে পারে, ফিল করতে পারে, একটা সন্ধ্যায় গিটার-বাজানো শুইনা ফিরার পথে। আর পরে আন্তোনিও ক্রিস্টিনা’র লগে কয়েকমাস লিভ টুগেদার করে; ভিকি তার বেকুব প্রেমিকরে বিয়া করে, কিন্তু আন্তোনিও’র সাথের ওয়ান-নাইট স্টে শে ভুলতে পারে না। এরমধ্যে আর্টিস্টের বউ মারিয়া ফিরা আসে; ওরা থ্রি-সাম করে, ক্রিস্টিনা আর মারিয়াও সেক্স করে একবার (আই থিঙ্ক দ্যাটস গ্রেট, কারণ এইটা এইরকম একটা লাভ যেইখানে প্যানিট্রেশনটা হইলো বাড়তি একটা জিনিস!)। তো, এইরকম প্যাচঁ-পুচ লাগানোটা উডি অ্যালানের বেসিক জিনিস। মানে লাভ জিনিসটা যে কমপ্লিকেটেড এইটা বোঝানোটা উনার মোটামুটি একটা দায়িত্ব। এতো সব ক্যারেক্টারের মধ্যে আসলে মারিয়াই (পেনেলুপা ক্রুজ) রিয়েল লাভার। কারণ শে ফিল করতে পারে যে লাভ ইজ এক্মেস (আমি excess অর্থেই লিখছি, access অর্থেও নেয়া যাইতে পারে) টু লাইফ। Continue reading