Image

টমাস ট্রান্সটোমারের নোবেল বিজয়

১.

লিখতে আর ইচ্ছা করে না।

লিখতে গেলে খালি নানান কথা মনে হয়। অব্যক্ততার ভিতর দিন যে পার হয়, সেইরকম না। মনে হয়, পুনরাবৃত্তি কত আর! ১৫/১৬ বছর আগে পড়া জর্জ সেফেরিসের কবিতার অনুবাদ মনে হয়, ‘একই কথা তুমি বারবার আমাকে বলবে, বন্ধু/কিন্তু একজন শরণার্থী’র ভাবনা, একজন পণ্যে-পরিণত-হওয়া লোকের ভাবনা বদলাবার চেষ্টা করো/পারবে না’; ঐ ১জন ১জন লোক নিয়াও আমার কোন সমস্যা নাই। সমস্যা নিজেরে নিয়াই। একই কথা বারবার কেন আমি বলবো?

কিন্তু ঘুইরা-ফিরা ওই দুই একটা কথাই। ‘কবি যদি হন এমন একজন ব্যক্তি, যার বলবার মতো অনেক কথা আছে, তাহলে আমি কখনোই কবি নই’; এইভাবে কবিতারে যে নানান কাজে রান্নায় হলুদের মতোন ব্যবহার করা যায়, এইটাই মনে হয় কবিতার সবচে’ বড় শক্তি। আবার সবচে’ বড় দুর্বলতাও! [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

২.

বিষয়টা কবি ও কবিতা নিয়াই; কবি টমাস ট্রান্সটোমারের নোবেল বিজয়।

সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার ত প্রতি বছরই দেয়া হয়। প্রতিবারই মনে হয়, কে নোবেল পাইলেন, তার চাইতে জরুরি কেন পাইলেন? – এই জিজ্ঞাসাটা। সাহিত্যের নোবেল পুরষ্কার যে পলিটিক্যাল সিগনিফিকেন্সটারে তুইলা ধরে, সেইটারে বুঝতে পারাটা দরকারি মনেহয়। কারণ এই নোবেল পুরস্কার কিছু প্রতিধ্বনি তৈরি করে, প্রতিকল্প বানায়, জোড়া দেয়ার এবং প্রতিফলনের চেষ্টাতেও নামে। এইগুলা খারাপ কিছু না, ভালোই। ভালো কারণ, সাহিত্য যে অনেকরকমের, সেই প্রক্রিয়াটারে সে জারি রাখে। কিন্তু এর ভিতর দিয়াই একটা ধারা’রে সে সিগনিফিকেন্ট কইরা তোলে। এইবার যেমন, টমাস ট্রান্সটোমার।

উনার সিগনিফিকেন্স যেইটা দেখি, সেইটা হইলো, অ-রাজনৈতিকতা। এইটা খুবই অস্বস্তিকর যখন একটা লেখারে বা একজন লেখকরে শুধুমাত্র তার ‘রাজনৈতিকতা’ দিয়া বিচার করা  হয়। এইটা একবারেই সম্ভব না। কিন্তু এইটাই করা হয়, বেশিরভাগ সময়। এর বিপরীতে সাহিত্যরে বিনোদন সামগ্রী বানানোর একটা চেষ্টা ত আছে। (ওইদিকে না গিয়াও বলা যায়) কবিতা হইতেছে এই ধারায় চূড়ান্ত মাধ্যম। মানে, সাহিত্যের অস্পষ্টতারে কবিতার ফর্মের ভিতর দিয়া জাস্টিফাই করাটা সবচে’ বেশি সম্ভব।

Continue reading