জুলাই ০৭, ২০১৬।

লোকেশন বেশিরভাগ সময়ই একটা ফ্যাক্টর। ঢাকায় থাকলে টিভি-নিউজ দেখাই হয় না। বাড়িতে ইফতারের পরে কিছুক্ষণ টিভি দেখাটাই একটা কাজ। ঢাকায় থাকলে দেশি বিদেশি নিউজপোর্টালের খবর বা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের কমেন্টারিগুলি নিয়া ভাবতাম; বা যদি নিউইয়র্কে থাকতাম তাইলে পার্টিতে শোনা লোকের কথারে হয়তো বেশি পাত্তা দিতাম।

তো, কয়েকদিন আগে টিভি’তে দেখলাম, পুলিশদের একটা মিটিংয়ে পুলিশদের লিডার’রা বলতেছিলেন যে, সোশ্যাল-মিডিয়া’য় যারা টেররিস্ট/জঙ্গী নিয়া কথা-বার্তা বলেন, উনারাই ওদেরকে এনকারেজ করতেছেন; উনাদেরকে এখন থিকা কড়া নজরদারিতে রাখা হবে, শাস্তি দেয়া হবে, এটসেটরা। একটু ডরাইলামই। কারণ মাস অডিয়েন্সের ভিতর থিকা পটেনশিয়াল ক্রিমিনালরে আলাদা করতে না পারাটারে উনারা উনাদের ‘না-পারা’ বইলা ভাবেনই নাই! উনারা ভাবতেছেন পাবলিকের ডিজ-অবিডিয়েন্স বইলা! এইভাবে উনারা নিজেরাই যে ক্রাইম করতেছেন – এইরকম ভুল উনারা কখনো ভাবতে পারবেন বইলাও মনেহয় না। Continue reading

দুইটা মিথ্যা গল্প

দুইটা মিথ্যা গল্প শুনছিলাম কয়েকমাস আগে। সাহস থাকলে থ্রিলার লেখা যাইতো। বলা যায় না, লিখতেও পারি, পরে আবার। এখন স্টোরি লাইনটা বইলা রাখা আর কি।

প্রথম গল্পটা সাতক্ষরীরার; নতুন এসপি আসছেন, আসার সময় তিন ট্রাক গুলি নিয়া আসছেন শহরে। তো, মার্ডার তো বহুতই করা লাগতেছে। তবে মানবিক কারণে অনেক সময় মার্ডার না কইরা ঠ্যাং-এও গুলি করতেছেন কিছু। এইরকম কেউ একজন এমপি’র আত্মীয়, এমপি’র কাছে গিয়া কমপ্লেইন করলো, কইলো, একটু দেখেন! খামাখাই ঠ্যাং-এ গুলি করলো… এমপি’র তো একটু হইলেও প্রেস্টিজ আছে, এসপি’র অফিসে গিয়া জনতার পক্ষ নিয়া তারে জিজ্ঞাসা করলেন। এসপি তারে পাত্তা দিলেন না, নানান বাজে কথা কইলেন; কইলেন যে, দেখেন, জনতা তো আপনারে পাস করায় নাই, আমরা (পুলিশরা) পাস করাইছি, সো আমাদের কথা শুনেন। এমপি সাহেব এসপি’র কথা শুনলেন না; তিনি তবু জনতার কথা শোনার ট্রাই করলেন। এসপি সাহেব তখন আর না পাইরা প্রাইম মিনিস্টারেরই কল করলেন উনার মোবাইল দিয়া; কইলেন যে, কি এমপি বানাইছেন আপা, আমারে তো ‘কাজ’ করতে দেয় না! আপনি আমারে ট্রান্সফার দেন, এইভাবে ‘কাজ’ আমি করতে পারবো না… প্রাইম মিনিস্টারের তো মন এমনিতেই নরোম, এই কথা শুইনা উনার প্রায় কান্দা চইলা আসলো, পরে এসপিরে কইলেন এমপি’র কাছে মোবাইলটা দিতে, তারে কইলেন, উনার এমপি-গিরি ঢাকায় আইসা দেখাইতে। এমপি খুবই লজ্জা পাইলেন এই কথায়, নিজের ভুলও বুঝতে পারলেন। এসপি সাহেবও পরে উনারে সাত্বনা দিলেন যে, তিন ট্রাক গুলি শেষ হইয়া গেলে উনি এমপি’র সাথে বইসাই কাজ করবেন। Continue reading

রিয়েল-ফেইক

ফেইক করতে পারাটাই আসল।

এইটা মনে হইতেছিল গতকালকে, মনুর সাথে কথা বলার সময়; আজকে সকালে ওয়াসিউল ভাইয়ের কথা শুইনাও মনে হইলো। কনটেক্সট দুইটা ডিফরেন্ট।

পলিটিক্যাল সিচুয়েশন নিয়া মনু যখন বলতেছিলেন, তখন আমি বলতেছিলাম গণজাগরণ মঞ্চ এখন কিভাবে খালি গর্ভমেন্টের না বরং ‘প্রতিবাদী জনতা’র পারপাস সার্ভ করে। ফেইসবুকের মতোই অনেকটা। আপনারে একটা রিলিফ দেয় যে, প্রতিবাদ তো করছি আমি! একটা বাজে টাইমে বাঁইচা আছেন আপনি, গর্ভমেন্ট অনেক অন্যায় করতেছে দেখতেছেন, ‘মানুষ’ হিসাবে আপনার তো এইটার একটা প্রতিবাদ করা দরকার; গর্ভমেন্টও চায় এই ‘প্রতিবাদ’টা আপনি করেন, তাইলে আপনার মেজাজ-মর্জি একটু ভালো থাকবো, ‘বিপ্লবী’ হিসাবে আপনার রোলটা প্লে করতে পারলেন আর গর্ভমেন্টও এইটুক মাইনা নিয়া  ‘উন্নয়নের কাজে’ মনযোগ দিতে পারবেন; তো, জয়েন গণজাগরণ মঞ্চ বা এইরকমকিছু। যা কিছু করার অপশন আপনার ছিল, সেইটা তো করতেই পারলেন এবং সেইফও থাকতে পারলেন আপনার এক্টিভিজম আর ইন্টেলেকচুয়ালিটি নিয়া। এফেক্টিভ হওয়াটা ইর্ম্পটেন্ট না, ইর্ম্পটেন্ট হইলো নিজের ইমোশনরে চ্যানেল আউট করতে পারাটা। নিজের কাছে ফেইক করতে পারাটা হইতেছে আসল; তখন ফেইকটা রিয়েল হইতে পারে, পারফেক্টলি। আওয়ামী লীগ গর্ভমেন্ট যে মিলিটারির গর্ভমেন্ট (ইভেন ব্যবসায়ীদের গর্ভমেন্টও না, পাবলিক তো দূর কি বাত) এইটা দেখবেন বিএনপিও বলতে পারে না। পলিটিক্যাল পার্টি হিসাবে এই ফেইকটা উনাদেরকেও করতে পারতে হয়। Continue reading

এইটা এমনিতেই ঘটে – জেমস টেইট।

আমি সেন্ট সিসিলিয়া’র রেক্টরের বাইরে একটা সিগ্রেট খাইতেছিলাম যখন একটা ছাগল আমার পাশে চইলা আসলো। ছাগলটা মোটামুটি কালো আর সাদা, কিছুটা লালচে বাদামী আছে এইখানে ওইখানে। যখন আমি হাঁটতে শুরু করছিলাম, এইটা ফলো করতেছিলো। আমি খুব মজা পাইতেছিলাম আর খুশি হইতেছিলাম, কিন্তু ভাবতেছিলাম এইরকম একটা জিনিস নিয়া আইন কি বলে। কুত্তাদের শিকল পরানো নিয়া একটা আইন আছে, কিন্তু ছাগলদের বিষয়ে কি রকম? লোকজন আমার দিকে তাকায়া হাসতেছিলো আর ছাগলটার তারিফ করতেছিলো। “এইটা আমার ছাগল না,” আমি ব্যাখ্যা করতেছিলাম। “এইটা এই শহরের ছাগল। আমার পালা আসছে বইলা আমি জাস্ট এইটার দেখাশোনা করতেছি।” “আমি জানতাম না যে আমাদের একটা ছাগল আছে,” ওদের মধ্যে একজন বলতেছিলো। “আমি অবাক হইতেছি আমার পালা কখোন আসবো।” “তাড়াতাড়িই,” আমি বলছিলাম। “ধৈর্য্য ধরেন, আপনার টাইম আসতেছে।” Continue reading