কবিতা লেখা, বই ছাপানো…

১.
ব্যাপারটা আসলে একটু ঝামেলারই; এই যে কবিতা লেখা, তারপর ফেইসবুকের ওয়ালে শেয়ার করা এবং শেষে নিজে নিজেই বই ছাপানোটা। এইটা মোটামুটি একটা প্রমাণ যে নোবডি বদারস। মানে, এইরকম কবিতা-লেখা জিনিসটা দেশ, মানুষ বা ভাষার কোন কাজে লাগে না। বা যেইভাবে কোন জিনিসরে কাজে লাগানো যায় সেই অ্যাক্টটার ভিতর এইটা আর নাই। এইরকম কাজকাম একটা সার্টেন এইজ পর্যন্ত মেবি অ্যালাউড; যে, ঠিকাছে কলেজ-ইউনির্ভাসিটতে পড়ে বা চাকরি-বাকরি করে না, দ্যান এইরকম করতেই পারে, সোশ্যালি অ্যাকসেপ্টেবল হইতে পারে ব্যাপারটা। বা ধরেন, অ্যান্টি-সোশ্যাল হইতে পারলেও কাজে দিতো; বালছাল কি জানি আন্দোলন ছিল না, লেফট-রাইট, ওইগুলাও হইলেও হয়। কিন্তু এইসব কোনকিছুই নাই এইখানে। এই বই ছাপানোটা একটা ফেইলিওরেরই ঘটনা।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ‘আমার কথা’ বইটা যখন পড়ছিলাম তখন মনে হইছিল, কতো সাধনা উনার; তারপরও বলতেছেন উনি কি কষ্ট নিয়া, পারি না! আমার এতো চেষ্টাও নাই, বরং অনেকবেশি ফ্লোটিং; কনটিনিউয়াসলি ট্রাই করতে থাকি। পারি না – এইটা মাইনা নিতে পারলেও শান্তি হইতো, কিন্তু আমি ট্রাই করতেই থাকি, আরো টেরিবেল ভাবে ফেইল করি। এইসব ফেইলিওরের তো পেইন আছে, আর মুশকিল হইলো এই পেইন অন্যদেরকেও নিতে হয়, যাঁদের সোশ্যালি মিশতে হয় আমার সাথে। কিন্তু উনারা এইটা ডির্জাভ করেন না। তখন খারাপ-ই লাগে… দ্যান আমি আবার আমার নিজের ট্র্যাকে চইলা আসি। একই জিনিস রিপিট করতে থাকি। কবিতা-ই লিখি। শেষমেশ, বেশ বাজে কাজই একটা।

কেউ কেউ মাইনা নিছেন এইটা, ইগনোর করতে পারেন। কারো মাইনা নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই।… Continue reading

গার্মেন্টসের গ্রাম

সাভারের ঘটনা ব্যক্তি-মানুষ হিসাবে ডিল করাটা খুবই অসহায় একটা বিষয়; এক একটা জীবন, এক একটা মৃত্যু কি রকম যে,  আমাদের সমস্ত চিন্তার বাইরে এই অস্তিত্বময়তা, এই নিয়া কোন কথা-বলা আসলেই যে সম্ভব না তা না, কিন্তু সেইটা জীবন এবং মৃত্যু নিয়া একটা আলাপ…[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তার বাইরে এই যে টিভিতে পত্রিকায় ফেসবুকে সারাক্ষণ একটা মাতম, দমবন্ধ করা অবস্থা; কি করবো আমরা? এই ধরণের একটা বিভীষিকা; যেইখানে পুরান-অবস্থা বাতিল হয়া যাইতেছে এবং সামনে নতুন বইলা নির্দিষ্ট কিছু নাই। এইরকম একটা অবস্থায় ‘ভবন’ বাদেও চিন্তার জায়গায় আরো কিছু প্রশ্নের ফাটল দেখা দিছে। খুব মাইনর যদিও, তারপরও বইলা রাখা যাইতে পারে।

প্রথমত, এই ঘটনার বিবেচনায় যে নৈতিক সাজেশনগুলা আসতেছে, সেই জায়গাটায়। এই সাজেশনগুলার প্যার্টানগুলা বিচ্ছিন্ন, মানে উনারা যে শলা-পরামর্শ কইরা এই একই ধরণের সাজেশনগুলা দিতেছেন, তা না; বরং বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে, বিভিন্ন লোকেশন থিকা অনেকে একটা জায়গাতেই আসতেছেন, সেইটা হইলো – ‘তোমরা গ্রাম থিকা আসছো, গ্রামে ফিরা যাও’; কয়েকটা উদাহারণ দেই।

Continue reading