ফিরে এসো

 

কি যে ঝামেলা! কোনটা যে ম্যানেজ করি! ঘর ঠিক করতে গিয়া চাকরি করতে পারি না, চাকরি করতে গিয়া আবার এমবিএ করতে পারি না। পুরা উল্টা-পাল্টা একটা ব্যাপার। কোনকিছুরই রুটিন ঠিক করা যায় না। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি নিয়া বাড়িতে আসছি। বাড়িতে আইসা আরো উল্টা-পাল্টা ব্যাপার। আরো ঝামেলা আইসা জড়ো হইছে। কথায় কথায় আমার মেজাজ খারাপ হইয়া যায়। ভ্রু না কুঁচকাইয়া কথাই কইতে পারি না। এইটা দেইখা বউয়ের আরো চেত উঠে। কয়, ভ্রু কুঁচকাচস কেন? নরমালি কথা বলতে পারিস না! আমারও চেত উঠে। যেইটা আমি বলতে চাই না, সেইটা আমি বলতেই চাই না। একটা জিনিস আর্টার করার বিপদ তো আছে। না-বলার ভিতর দিয়া কখনোই কোন ঘটনা ঘটে না, ঘটনা ঘটতেই শুরু করে যখন আমরা কথা বলতে শুরু করি। তখন সেইটা আর কথা থাকে না, ঘটনাও হইয়া উঠে আরেকটা ঘটনা। আমি বলতে না পাইরা চোটপাট করি। তখন আমার ছোট মেয়ে আমার হাত ধইরা রাখে। বড় মেয়েটা ভয় পাইয়া চোখ নামায়া রাখে। আমি জানি ওদের সামনে এইসবকিছু করা ঠিক না তাইলে ওরাও জানবে যে, ফ্যামিলি কতো ভয়াবহ একটা জিনিস। মানুষ হিসাবে আমাদের দায়িত্বই হইলো কিছু ইল্যুশন’রে স্ট্যাবল রাখা। এইজন্য আমি কথা না কইয়া চুপচাপ থাকার ট্রাই করি। তারপরও বউ তার চেত কমাইতে পারে না। একটু পরে পরেই গরম তাওয়াতে পানি ছিটা দিয়া দেখে আমি এখনো গরম আছি কিনা। আর কিছু কইলেই আমি ছ্যাৎ কইরা উঠি। কিন্তু কেন যে চেইতা আছি এইটা শে বুঝতে পারে না। আমিও যে ঠিকঠাকমতো বুঝতে পারি সেইটাও ত না। যেহেতু জামাইয়ের পজিশনে আছি, সেই কারণে হয়তো কোন কারণ ছাড়াই চেত কইরা থাকা যায়। মানে, এখনো পসিবল।     Continue reading