সিলেট শহর

ক্রমাগত বৃষ্টি একটা ইল্যুশন, সিলেট শহরের মতোন

কালিঘাট ত কাদার খাল, সুরমার এক্সটেনশন
বন্দরবাজারের রাস্তায়, ভর দুপুরবেলা, সব রিকশা উধাও
জিন্দাবাজারে বন্ধ কসমেটিকস ষ্টোর, সাইবার ক্যাফেগুলা
বারুতখানায় হাঁটুপানি আর উপশহর আবারো সেই পুরানা বিল

এইরকম দিনের পর দিন, প্রায় সপ্তাহ ধইরা একইরকম যখন
তখন মনে হয়, এইটাই ত নরমাল
বৃষ্টির যে বাস্তবতা, সেইটাই আসল, সেইটাই পুরানা…

আর যা কিছু পুরাতন, তারাই ইল্যুশন
আবার রোদ ফিরা আসলে মনে হয়

এত যে ভীড়-বাট্টা, বৃষ্টির ভয়ে তারা ছিল তাইলে
বাস্তবতার ভিতর লুকাইয়া?

আসামের মেঘেরও লাগিয়া
উতলা হয়া ছিল কি আম্বরখানার মোড়
হাউজিং এসেস্টের দালানগুলা? Continue reading

পুরির গল্প

গল্পটা আসলে পুরির। চা-পুরি-সিঙ্গারা’র পুরি; সিলঅটি পুরি, উৎপলকুমারবসু’র পুরি-সিরিজের পুরি কিংবা অন্য আর কিছুই না। খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা এইটা। চূড়ান্ত অসাফল্যের একটা ইতিহাস, না-পারার একটা করুণ অধ্যায়।

তখন আমার বয়স দশ। শৈশব শেষ হচ্ছে প্রায়। একটু একটু কিশোর। পাড়ার মাঠ ছেড়ে রেলের মাঠে যাই মাঝে মাঝে। মাঝে মাঝে বাজারে যাই আব্বার সাথে। বাজার শেষে রিকশা করে দিলে একা একা বাসায় ফিরতে পারি। ইত্যাকার সব লক্ষণ। মানে আমি বোঝাতে চাইতেছি যে, আমি তখন আসলে আর শৈশবের ভিতর নাই। কিন্তু আমার সম্পর্কে তখনও নর-নারী ভেদ পুরাপুরি ঘটে নাই। নানুবাড়ি গেলে নানা-নানির সাথে এক বিছানাতেই থাকি। একটা বিহ্বল অবস্থার সূত্রপাতও হয় নাই। তখনও আমি কিশোর হওয়ার যোগ্যতাগুলির ভিতর দিয়ে যাওয়া শুরু করি নাই।  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তখন আমি পড়ি ক্লাস ফাইভে। পৌরসভার মডেল প্রাইমারী স্কুলে। আমি বলছি, আশির দশকের মাঝামাঝির একটা সময়ের কথা। কিন্ডারগার্ডেন স্কুল তখনও চালু হয় নাই সেখানে। পৌরসভার মধ্যে নামকরা প্রাইমারী স্কুল। পৌরসভার তথা সমস্ত উপজেলার ট্যালেন্টপুল বৃত্তির একটা বড় অংশ এই স্কুল থেকে আসে। আমাদের আগের ব্যাচে উপজেলার সাতটা ট্যালেন্টপুল বৃত্তির পাঁচটাই এই স্কুলের ছিল। গল্পের এবং স্কুলের সাফল্যের সীমানাটুকু এই পর্যন্তই। এরপর থেকে আমার অধ্যায়, ব্যর্থতা আর অসাফল্যের গাঁথা। সেই ইতিহাসের বিবরণটা এবার পেশ করি।

Continue reading