ভয়ারিজম ইন লিটারেচার

কয়েকদিন আগে ব্যাপারটা একবার মনে হইছিলো, একজন পপুলার রাইটারের ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুরানো পরিচিত একজনের লাইক দেইখা। ফেসবুকের সাইডের স্ক্রলবারে আসছিল উনি যে লাইক করছেন – এই জিনিসটা। স্ট্যাটাসটা পড়তে গিয়া দেখলাম পরিচিত আরো অনেকেই লাইক করছেন; অনেকে মানে যাঁরা পলিটিক্যালি আওয়ামী লীগরে সার্পোট করেন এবং আওয়ামী লীগের বিরোধী। লেখিকার নাম, তামান্না সেতু। লেখা ভালো। হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নামে চালু করা আয়েশা ফয়েজ পুরষ্কার পাইছেন। আমি বুঝতে চাইতেছিলাম, কি কারণে উনি পপুলার? এইজন্য কয়েকটা স্ট্যাটাস পড়লাম উনার। সহজ সরল লেখা, ভাষা নিয়া কেরামতি করেন নাই, খুবই টাচি সাবজেক্ট – এইসব বিষয় তো আছেই। আমার মনে হইতেছিল, উনার একটা কী ফোকাস পয়েণ্ট হইতেছে, সেক্সুয়াল এডুকেশন। ফ্যামিলিতে যেইসব বিষয় নিয়া আমরা কথা-বার্তা বলি না, যেমন, মা তার পিরিয়ড নিয়া টিনএজার ছেলেরে বলতেছে; ওয়াইফ তার হাজব্যান্ডের সাথে সেক্স করতেছেন একটা মেয়ে-বাচ্চা পয়দা দেয়ার লাইগা, একইসাথে সোসাইটিতে রেইপ নিয়া কনসার্ন – এইসব জিনিস নিয়া নরমালি আমরা কথা বলি না, কিন্তু বলতে পারি তো। Continue reading

সেক্স-রোবট

অনলাইনে বা প্রাকটিক্যাল লাইফেও যেইসব মানুষদেরকে সেক্স-রোবট হিসাবে পারফর্ম করতে হয় সেক্স-রোবট বানানো শুরু হইলে উনাদের মেশিন হওয়ার নেসেসিটি কইমা আসবে বা কমপিট করা লাগবে মেশিনের সাথেই, তখন মোর ‘মানুষ’ হওয়ার অপারচুনেটি বাড়তে পারে উনাদের; যদিও এই কারণে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা’ কমার কথা না। বরং ‘রিয়ালিটি’র একটা নিশ অর্গানিক মার্কেট তৈরি হইতে পারে। এনাফ ডিমান্ড তৈরি হওয়ার পরে পুরুষ সেক্স-রোবটও বানানো হবে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ম্যান-এর মতো। দেখেন, আমরা (মানে, হিউম্যান এগজিসটেন্স) হইলাম ডিজায়ার প্রডাক্ট; ব্যাপারটা এইরকম না যে আমরা ডিজায়ার বানাই, ডিজায়ারই আমাদের এগজিসটেন্সরে মিনিংফুল করতে পারে।

এথিকসওলাদেরও আর্গুমেন্ট এইটা যে, এই সেক্স-রোবটগুলি আমাদের ডিজায়ারের লেভেলে আসতে পারে নাই। মানুষও তো একদিনে মানুষ হয় নাই, ধীরে ধীরে সেক্স-রোবটরাও ফোরপ্লে করতে শিখবে। Continue reading

ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম সাকসেসফুললি সেক্স বেচতে পারছেন কলকাতার সিনেমায়

সিনেমার বাংলা নামটা হইলো, ‘দোসর’; ২০০৬ সালের সিনেমা। সম্ভবত ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম যিনি প্রমাণ করতে পারছেন যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স একটা বেচার জিনিস… শুধুমাত্র কাহিনি হিসাবে না, ইমেজ হিসাবে; যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স নিয়া আরো সরাসরি হওয়া পসিবল।

যেমন ধরেন, সৎজিত রায় তার পিকু’তে সেক্স’রে যেইভাবে দেখান সেইখানে দর্শক একটা বাচ্চা-ছেলে হিসাবে ধারণা করতে পারে বা শব্দ [অথবা নিরবতা, এই অর্থে যে ‘দ্য ইনোভেশন অফ লাইয়িং’ সিনেমাতে নায়ক যখন ডেটিংয়ের জন্য নায়িকারে আনতে যায় তার বাসায়, তখন নায়িকা উপরের ঘর থিকা বলে যে আসতেছি, তার কিছুক্ষণ পর নায়িকা নামে, নায়ক যখন তারে জিগায়, শে বলে যে আমি মাস্টারবেট করতেছিলাম, তুমি কি আমার আওয়াজ শুনতেছিলা নাকি, নায়ক বা দর্শক তখন সেই নিরবতারে সেক্সের আওয়াজ হিসাবে আইডেন্টিফাই করতে পারে] শুনতে পায় যে সেক্স হইতেছে। এমনিতে ইমেজ হিসাবে কোনকিছু নাই; বা বাপেরা মায়েরা সেক্স করে, আমরা (দর্শকরা) বাচ্চা হিসাবে তা জানতে পারি। কিন্তু ঋতুপূর্ণ ঘোষ দর্শকদেরকে অ্যাডাল্ট হইতে বলেন; বলেন যে, এইটা নিয়া আমরা কথা বলতে পারি ত! Continue reading