The tree of life/জীবনবৃক্ষ

১.

“তখন তুমি কই ছিলা, যখন আমি দুনিয়ার ভিত্তিগুলা রাখতেছিলাম?… যখন সকালবেলার তারাগুলা গাইতেছিল একসাথে, আর আল্লার বান্দারা সবাই আনন্দে চিৎকার করতেছিল?”  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

এই লাইন কয়টা দিয়া সিনেমাটা শুরু হইছে।

 

এইটা আসলে সিনেমা না, স্ক্রিপ্টটা হয়তো একটা কবিতাই ছিল। খৃষ্ট-ধর্ম নিয়া লেখা কোন কবিতা।

 

শুরু থিকাই মন-খারাপ করার একটানা মিউজিক।

 

কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন-এর ব্রাড পিট আর মিস্টিক রিভার-এর শন পেন।

 

দীর্ঘক্ষণ খালি অনুভূতিগুলার ফটোগ্রাফিক রিপ্রেজেন্টেশন।

 

২.

‘আমরা তোমার কাছে কেডা?’

 

এই বাক্যের মিনিট দশেক পরে, কোন সিন ছাড়া, ডকুমেন্টারি ফিল্মের মতো গ্রহ-নক্ষত্র জন্ম, উল্কা-পতন, অগ্ন্যুতপাতের পর আরেকটা বাক্য:

‘আমরা কানছিলাম তোমার কাছে।’

 

তারপর আর কথা নাই কোন, পানির নিচের আলো, মরুভূমি, জীবাশ্ম… আরো দশ মিনিট কথা শূন্য, খালি চিত্রকল্প, দৃশ্যের পরে দৃশ্য… একা ডাইনোসার কই গেলো?

 

‘জীবনের পর জীবন। আমি খুঁজছি তোমারে।’

 

‘আমার সবকিছু।’

 

৪.

‘আমি জানার আগেই তোমারে ভালোবাসছিলাম। তোমারে বিশ্বাস করছিলাম।’

‘আমি দেখতে চাই যা তুমি দেখ।’

 

অ্যাম্বিশাস মুভি একটা এবং শুধুমাত্র বেশিরকমের অ্যাম্বিশন দেখানোর জন্যই এইটা গোল্ডেন পাম পুরস্কার পাইছে ২০১১ সালে। ব্যবসা-ট্যবসা খুব একটা ভালো হওয়ার কথা না।

 

৫.

একটা মধ্যবিত্ত পরিবার। বাবা ত স্বার্থপর (এবং ব্যর্থ) একটা লোকের নাম।

মা।

 

৬.

প্রতিটা পাতারে ভালোবাসো। প্রতিটা আলোর কণা।

 

৭.

আমি তোমার সাথে কথা বলতে পারবো না। আমার দিকে তাকাইও না।

 

৮.

ভাই রে, মরা ভাই রে আমার…

ছেলে আমার!

সানফ্লাওয়ার বনের বাতাস

 

৯.

মন-টন খুববেশি খারাপ না থাকলে এই সিনেমা দশমিনিটের বেশি দেখা প্রায় অসম্ভব!

 

 

 

 

Leave a Reply