অতীত কল্পনা থেকে

যখন যাই
তখন কি আর ছায়া থাকে
দুপুরের শেষে, বিকালে[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

ফেরী চলে যায়
ব্রীজের কিনার ঘেঁষে;

যারা যায়
তারা মহান

মেঘনার ঘোলা পানিতে
ফেরীর ছায়া দেখে

রেলব্রীজের পাশ থেকে
যখন ফিরি বাসায়
অন্ধকারে, ছায়ারা ঘুমায়া থাকে

বিকালের গুমোট মেঘ
পোকা-খাওয়া পাতার স্মৃতি

মুছে আসে ক্রমে;

কুপির আলোর তলে
সন্ধ্যার বাজারে

জেগে ওঠছো কি প্রাণ
ধীরে

‘যা কিছু কল্পনা, তার সবই অতীতের না
যা কিছু অতীত, তার সবটাই কল্পনাও না’

শুটকির ঘ্রাণ নিতে নিতে
পুঁটি মাছে আরো বলে,

‘আমারে রাইন্ধো না তুমি আর
এই রাত্রে।’

শুকাইয়া যাওয়া বেগুনের জন্যে
উথলাইয়া উঠতেছে তার দরদ

চুলায় গরুর দুধের মতো
বলক উঠতে উঠতে একসময়
সর হয়া যাবে সে

জানালার বিড়াল আইসা খাবে তারে

যে যায়
তার ছায়াই মনে পড়ে থাকে

ছায়ারূপ বাস্তবের ভিতর
তোমার কল্পনা

কখন যে আইসা জিজ্ঞাসা করে
‘আমার মাথার কেশে বাইন্ধা রাখি বন্ধু,
তোমারে?’

যখন যাই
তখন কি আর যাওয়ার কথা মনে থাকে?

তোমার ঘ্রাণের সকাল আসে
রাতের ভিতর বসে থেকে থেকে

আসলে ত যাই না কোথাও

যাওয়ার পথের ধারে
ধুলা মেখে, বসে থাকি
প্রত্যুত্তরের।

 

বৈশাখ ৩০, ১৪২০।

 

Leave a Reply