অ্যাবসার্ড ইজ দ্য নিউ রিয়েল: ফানি গেইমস

ফানি গেইমস যে ওয়েটিং ফর গডো’র সেকেন্ড পার্ট এইটা প্রুভ করাটা একটু মুশকিলই হওয়ার কথা। করা যাইবো না যে তা না; কিন্তু এতো ডিটেইলসের তো দরকারও পড়ে না মনেহয় সবসময়।

গডো’তে যেমন দুইজন আছেন, ফানি গেইমসেও দুইজনেরই খেলা এইটা। (আরো অনেক কাহিনি’তেও দুইজন আছেন নিশ্চয়।) তবে এইখানের খেলাটা দুইজনের মধ্যের না এতোটা। দুইজন দুইজনের জায়গা থিকা বাইর হইয়া অন্যদের লগে খেলতেছেন। গডো’তে অডিয়েন্স সেইফ কারণ তাঁরা জানেন যে উনারা নাটকের পার্ট না, উনাদেরকে দেখানো হইতেছে খালি। ফানি গেইমসে ব্যাপারটা এক্সটেন্ড হইছে, ওই অ্যাবসার্ড দুইজন আইসা তাদের নাটকটা করা শুরু করছে আমাদের মতোন কমন পিপলদের লগে।

আমরা, যাঁরা কমন পিপল, ফ্যামিলি ম্যান, চাকরি-বাকরি করি, তেমন টাকা-পয়সা নাই হলি আর্টিসানে যাওয়ার মতো, কিন্তু আছে কিছু, মাঝে মধ্যে ফরেন মদ খাইতে পারি, বছরে/ছয়মাসে একবার ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবি, এইরকম; ডিসাইড করতে পারতেছি না এই নাটকটাতে বিশ্বাস করবো কিনা। চাইলেই দৌড়ায়া বাইর হইয়া যাইতে পারি আর ফিরা আসলাম না। কইলাম যে, ভাই এইগুলা তো নাটক-ই। কিন্তু যেই ডর এইটা ইনসার্ট করে আমাদের মনে, সেইটা থিকা বাইর হওয়া যায় না।

ছোট্ট, ছোট্ট, আজাইরা কান্ড-কারখানাগুলিরে যখন ওরা ইর্ম্পটেন্ট বানায়া তুলবে, তখন আমরা কনফিউশনে পইড়া যাবো – গেইমটা খেলবো কি খেলবো না; জানি খেললেও ওরা মাইরা ফেলবে আমাদেরকে, মজা নিয়া মারবে যে, দেখো, বাঁচতে চাইছিলো; আর খেললে, আমাদের ফাঁপা ডিগনিটি নিয়া মকারি করতে থাকবো। মারবো তো অবশ্যই, এমনভাবে যে, আমাদেরও কনফিউশন হবে, অ্যাকসিডেন্টও হইতে পারে।

এই কনফিউশনটা জরুরি। কনফিডেন্টলি কিছু কনফিউশন ক্রিয়েট করতে পারাটা। ওয়েটিং ফর গডো আর ফানি গেইমসের এইটা একটা কমন জায়গা। কনফিউশনগুলি ইর্ম্পটেন্ট। রিয়ালিটি বইলা যে একটাকিছু’র অনুমান আছে সেইটারে ভচকাইয়া দিতে পারাটা। তখন অ্যাবসার্ডিটি’টা হইতেছে একটা নিউ রিয়ালিটি। আন-নোনও। যেই ‘নরমাল’ রিয়ালিটি’তে আমরা সাবস্ক্রাইব করি সেই জায়গাটা থিকা।

মজার একটা জিনিস আছে, ফানি গেইমসে। ফ্যামিলির মানুষজন যাঁরা ডরাইছে, তাঁরা নিজেরাও নিজেদের লগে ডরের কথাগুলি কয় না। একটা সেন্স অফ নরমালিটি’র জায়গা থিকা মোকাবিলা করতে চায়, অ্যাবাসির্ডিটারে। ওদের বাঁইচা থাকার চাইতেও ওদের নরমালিটির বাঁইচা থাকাটা জরুরি। অথচ সব জায়গায় অ্যাবসার্ডিটি নরমালিটি হান্ট কইরা বেড়াইতেছে। নরমাল লাইফ বা রিয়ালিটি’টা আসলে ক্যাওসটারে দূরে সরায়া রাখতে চাইতেছে, যেন যেইটা ঘটতেছে, সেইটা আসলে ঘটতেছে না। আমরা মইরা যাইতে রাজি আছি, কিন্তু ক্যাওসটা যে ঘটতেছে – সেইটারে মানতে রাজি না। এমনকি মানলেও, মরতেছি তো আমরা। আর ঘটনাটা এই জায়গাটাতেই। যতক্ষণ আপনি নিজে অ্যাবসার্ড হইতে রাজি না সেই রিয়ালিটিরে আপনি কেমনে নিবেন? যদি অ্যাবসার্ড হন তাইলে আপনি আর আপনি থাকলেন কই!

এই সিক্যুয়ালের একটা থার্ড কাহিনি’টা কি এইরকম হইতে পারে যে, সার্টেন পিপল যারা বোরড উইথ দেয়ার সেন্স অফ নরমালিটি একটা অ্যাবাসার্ডিটি’রে খুঁইজা বেড়াইতেছে? ফর অ্যা ট্রু রেভিউলেশন? আর অ্যাবসার্ডিটি টাইমই পাইতেছে না ইন্টারভেন করার। 🙂

তবে ব্যাপারটা খুববেশি রিয়ালিস্টিক না হইলেই হয় আর কি!

 

 

Leave a Reply