চে গুয়েভারা

চে গুয়েভারা’র চাইতেও মেবি অনেক ত্যাগী, ডেডিকেটেড ও ইন্টিলিজেন্ট বিপ্লবী ছিলেন, কিন্তু উনার মতো আর কেউ বিপ্লবের আইকন হয়া উঠতে পারে নাই।

উনি তিনটা জায়গা থিকা কমিউনিস্ট বিপ্লবের আইকন হয়া উঠছিলেন।

এক, কিউবান বিপ্লবের সাকসেস। পলিটিক্সে জিততে পারাটা একটা ঘটনা, এটলিস্ট একবার হইলেও; তাইলে মনে হবে যে, উনি তো পারেন! (চিন্তা, ইন্টেলেকচুয়ালিটি বা ক্রিয়েটিভ ব্যাপারে সাকসেস এইরকম জরুরি ঘটনা না সবসময়।…)

সেকেন্ড হইলো, সেটেল না হওয়া, এক্সপ্লোর করতে থাকা। উনি যদি কিউবা’তেই থাইকা যাইতেন, ফিদেল কেস্ট্রো’র “সহযোগী” হিসাবেই থাকতেন হিস্ট্রিতে। উনার এই এক্সপ্লোর করতে চাওয়াটা উনারে কমিউনিস্ট আইডিওলজির বাইরেও কালচারালি “বোহেমিয়ান” একটা জায়গাতে নিয়া যাইতে পারছে।

থার্ড আর মোস্ট ক্রুশিয়াল ঘটনা’টা হইতেছে, এই জায়গা থিকা উনারে নিয়া মিথ ও কাহিনিগুলা তৈরি হইতে পারছে তখন। উনারে নিয়া নেরেটিভ’টা একটা পার্টি-সিস্টেমের মধ্যে আটাকায়া থাকে নাই আর। আর এইরকম কথা তো আছেই যে, ওয়েস্টার্ন মিডিয়া উনার মিথগুলা দিয়া বিপ্লবরে পণ্য বানাইছে, সেক্সি কইরা তুলছে, থিওরির লগে একটা ডিসকানেকশন তৈরি করছে।

এইটা যতোটা না সত্যি, তার চাইতে আমার কাছে মনেহয়, কমিউনিস্ট বিপ্লব যতো বেশি একটা “রীতি-নীতি” ও প্রথার ব্যাপার হয়া উঠছে, তার বাইরে গিয়া চে’র মিথ ইয়াং পিপলের কাছে রিলিভেন্ট হইতে পারছে। যে, উনিও তো বিপ্লবী ছিলেন – ফেইলওর ছিলেন না, একটা জায়গাতে আটকায়া থাকেন নাই এবং সবসময় পার্টির কথা মানেন নাই! আর (তারপরও না খালি, বরং) এই কারণেই বিপ্লবের আইকন হয়া উঠতে পারছিলেন।

এই যে পার্টির শাসনের ভিতরেও ইন্ডিভিজ্যুয়াল হয়া থাকা – এইটা হইতেছে চে’র সিগনিফিকেন্স। প্রতিটা কমিউনিস্ট বিপ্লবীই এই কারণে চে হইতে চায়, কিন্তু কোন কমিউনিস্ট পার্টি-ই দুই-চাইরজনের বেশি চে গুয়েভারা’রে এফোর্ড করতে পারে না আসলে। 🙂

Leave a Reply