সিলেক্টেট পোয়েমস: অগাস্ট, ২০১৫।

 

বাঘ-বন্দী

আমাদের বন্দীটারে
আমরা বন্দী কইরা
আমাদের কাছেই
রাইখা দিলাম।

 

রোলিং স্টোন

যা কিছু আমি বুঝতেছি না, তা আর ঘটতেছে না।
যা কিছু আমি দেখতেছি না, তা ঘটার সম্ভাবনাই; ঘটনা কিনা শিওর না।

আমি অনুমান করতে পারি খালি। অনুমানগুলি সত্যি না।

যা কিছু সত্যি, তারা আমার বুঝা আর দেখার ভিতর কোন একভাবে থাকতেই থাকে।

সত্যি হইলো পাত্থর। অথবা আমাদের নিজস্ব এক একটা সত্যি।
তারপরও অন্যরা অনুমান করতে থাকে। কোনটা আমার সত্যি; সত্যি সত্যি?

সত্যির নাম দিয়া সবাই নিজেদের অনুমানের কথা-ই বলে। এইরকম ভাবতে পারি আমি।

আমি যে ভাবতেছি এইটা ভাবতেছো তুমি।

তোমার সত্যি’র পাথর নড়তে পারতেছে না।

আমি গড়াইয়া গড়াইয়া সরে যাইতেছি আরো দূরে…

তারপর, একটা মিথ্যার ভিতর, স্থির।

 

মেমোরি ড্রেইন

সোমবার কখনো জানে না
রোববার যে আসছিলো
মঙ্গলবারও জানবে না
আরেকটা মঙ্গলবারের কথা

জানবে নতুন প্রেমিক
আরো এক প্রেমিক আছিলো তোমার;
কিন্তু সে তো আরকটাই টাইমে
সেই টাইমে সে তো ছিলো না!

যে ছিলো, সে-ও আরেকটা না-থাকাই
মেমোরি’র…

 

র‌্যাট ক্যাট

তোমার ভাবনার ভিতর আমি এক অদ্ভুত ইঁদুর
খুদ খাই, বস্তার চিপায় লুকাই,
স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকারে থাকি। আর বিড়ালের নখ দেখে
চোখ বন্ধ করে ফেলি, অন্ধকারেই আবার।

 

লাইক

একটা লাইক আমি খুঁইজা বেড়াইলাম তোমারে ট্যাগ কইরা
একটা লাইক আমি পাইয়া গেলাম প্রোফাইল পিক চেইঞ্জ কইরা
একটা লাইক আমি পাইতে চাইলাম কারো স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়া
একটা লাইক আমি মনেহয় পাইতেই পারি জীবনানন্দের কবিতার লাইন লিইখা
অনেকগুলা লাইক জড়ো কইরা বিট কয়েন বানাইয়া
আমি বাজারে বেইচা দিবো,
তারপর কোন এক দ্বীপে, বাহামায় বা ফিজিতে থাকতে থাকবো
তখনো ছবিই দিবো, তবে অনেকদিন পর পর
হাজার হাজার লাইক আসলেও আমি আর খেয়াল-ই করবো না
লাইক আমার লাইফ আমি এনজয় করতেছি খুব, লাইক ছাড়াই…

 

সত্যি-মিথ্যা

(মার্ক স্ট্রান্ডের প্রতি)

দুনিয়ার মিথ্যাগুলিই সত্যি;
মিথ্যা রাগ, মিথ্যা কান্না, মিথ্যা অভিমানগুলি
মিথ্যা হইতে হইতেই একদিন সত্যি হয়া যাবে।

লাল পিঁপড়াগুলি লাল
আর কালা পিঁপড়াগুলি কালা।

চড়ুই একটা ডাকতেছে কি ব্যাকুলভাবে
বারান্দায়, সকালে।

মিথ্যা কল্পনাগুলি দূরে সরে যাইতে যাইতে একটা সময় পরে
সুদূরের বাস্তবতা বইলা মনে হবে; এই ডিসট্যান্সটুকই
আমাদের ভালোবাসা,
যেইখান থেকে নিজেদেরকে আমরা দেখতে পাই
এক একটা মিথ্যার আবরণে জড়ানো সত্যির মতো।

ঘোড়ার খুরের সাথে কিছু মাটি লেগে থাকতেছে, তারপরও।
উটের গালার কাছে জমে থাকতেছে কিছু পানি।

আমরা খালি আমাদেরই সত্যি আর মিথ্যা অভিমান নিয়া
হেঁটে যাইতেছি পথে, পাহাড়ে।

পাতাভরা একটা ট্রি বাতাসে দোলাইতেছে মাথা।
যেন সম্মতি দিতেছে সে,
ধূলা-বালির সাথে, উড়ে যাওয়া কাগজ, পলিথিন
আর বিভিন্ন ভাবনাদের সাথে।

পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়াইলে দেখা যায়
কাঠের বাড়িগুলি বানানো হইছে পাহাড়ের গায়ে
খাঁজ কেটে কেটে।

বাতাস আছে বইলা নিঃশ্বাস নেয়া যাইতেছে। ভাবা যাইতেছে
ওই নিচে একই বাতাস, একই সত্যি-মিথ্যা খেলা।

উপর থিকা নিচরে মনে হয় ইলিউশনের মতো, মিথ্যা না তো?
নিচে থিকাও চূড়ারে মনে হয় ইলিউশনের মতো, সত্যি তো?

মেঘগুলি কুয়াশার মতো এইখানে।
মেঘের সত্যিগুলি মুছে গেছে এখন।

চড়ুইটা চলে গেছে।

সবকিছুই ছিলো একটা মিথ্যা,
সত্যির ইলিউশন।

আমরা সবসময় অন্য কোনকিছুরই
ছায়া।

আদারস নেভার বিলং টু আস,
উই বিলং টু আদারস।

 

Leave a Reply