অ্যাবসার্ড ইজ দ্য নিউ রিয়েল: ফানি গেইমস

ফানি গেইমস যে ওয়েটিং ফর গডো’র সেকেন্ড পার্ট এইটা প্রুভ করাটা একটু মুশকিলই হওয়ার কথা। করা যাইবো না যে তা না; কিন্তু এতো ডিটেইলসের তো দরকারও পড়ে না মনেহয় সবসময়।

গডো’তে যেমন দুইজন আছেন, ফানি গেইমসেও দুইজনেরই খেলা এইটা। (আরো অনেক কাহিনি’তেও দুইজন আছেন নিশ্চয়।) তবে এইখানের খেলাটা দুইজনের মধ্যের না এতোটা। দুইজন দুইজনের জায়গা থিকা বাইর হইয়া অন্যদের লগে খেলতেছেন। গডো’তে অডিয়েন্স সেইফ কারণ তাঁরা জানেন যে উনারা নাটকের পার্ট না, উনাদেরকে দেখানো হইতেছে খালি। ফানি গেইমসে ব্যাপারটা এক্সটেন্ড হইছে, ওই অ্যাবসার্ড দুইজন আইসা তাদের নাটকটা করা শুরু করছে আমাদের মতোন কমন পিপলদের লগে।

আমরা, যাঁরা কমন পিপল, ফ্যামিলি ম্যান, চাকরি-বাকরি করি, তেমন টাকা-পয়সা নাই হলি আর্টিসানে যাওয়ার মতো, কিন্তু আছে কিছু, মাঝে মধ্যে ফরেন মদ খাইতে পারি, বছরে/ছয়মাসে একবার ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবি, এইরকম; ডিসাইড করতে পারতেছি না এই নাটকটাতে বিশ্বাস করবো কিনা। চাইলেই দৌড়ায়া বাইর হইয়া যাইতে পারি আর ফিরা আসলাম না। কইলাম যে, ভাই এইগুলা তো নাটক-ই। কিন্তু যেই ডর এইটা ইনসার্ট করে আমাদের মনে, সেইটা থিকা বাইর হওয়া যায় না। Continue reading

দ্য গ্রেট বিউটি

The Great Beauty সিনেমার দুইটা ঘটনার কথা মনে আছে। একটাতে, রাতে পার্টি শেষে এক এলিট মাইয়ার বাসায় যান মেইন কারেক্টারটা, পয়ষট্টি বছর বয়স যার, রাইটার উনি, একটা সাকসেসফুল নভেল লেখার পরে আর লেখেন নাই। তো, সেক্সের পরে মাইয়াটা কয় যে, শে মাঝে-মধ্যে ছবি তুলে আর অর ফেসবুক ফ্রেন্ডরা কয় যে, শে নাকি ভালো ছবি তুলে – এইটা বইলা শে অ্যামেচার একটা হাসি দেয়। রাইটার কয়, এর মধ্যে নিশ্চয় তোমার ন্যুড ছবিও আছে কয়েকটা? মাইয়াটা হাইসা কয়, তা তো আছেই! তুমি আমার কয়েকটা ছবি দেখবা? আমার ল্যাপটপে আছে, দাঁড়াও আমি নিয়া আসি – বইলা শে যায়। রাইটারটা তখন ভাবে, আরে, এইখানে আমি কি করতেছি? এমনে টাইম ক্যান ওয়েস্ট করতেছি আমি? মাইয়াটা ল্যাপটপ নিয়া আইসা দেখে স্যুট-কোট পইড়া রাইটারটা হাঁইটা যাইতেছে রাস্তায়। এইটার সাথে রিলেভেন্ট আরেকটা সিন হইলো, সে এক ফটোগ্রাফারের ছবি দেখতে যায়, যেইখানে লোকটার তার লাইফের প্রত্যেকদিনের ছবি আছে। সে ফটোগ্রাফাররে জিগায় এইটা তার আইডিয়া কিনা; সে কয়, তার বাপের আইডিয়া এইটা, পরে সে নিজেই করছে। তো, লোকটার ইয়াং বয়সের ঠোঁট-বাঁকানি, চোখ-উল্টানির ছবিগুলা দেইখা রাইটারটা কানতে থাকে। অ্যামেচার আর প্রফেশনালের ডিফরেন্স তো আছে। যেমন ডিফরেন্স আছে গ্রেট আর মিডিওকার আর্টিস্টের। এইটা যতোটা ফর্মে বা কনটেক্সটে, তার চাইতে অনেকবেশি আর্টের ধারণাটাতে। একটা ফেইলওর অনেকবেশি ইর্ম্পটেন্ট, অনেকগুলি সাকসেসের চাইতে। Continue reading

।। ওল্ড অ্যান্ড ইয়াং ।।

ডেক্সটারের সিজন থ্রি’তে এই কাহিনিটা আছে। শহরের ডিফেন্স অ্যার্টনি এলেন উলফ, দুইবার ডিভোর্স হইছে, এখন সিঙ্গেল, নিজের জব নিয়া খুবই সিরিয়াস; ডেক্সটারের বস মারিয়া লাগোর্তা’র লগে খাতির হয় উনার। দুইজনেই ফর্টি প্লাস ফিমেইল। একটা প্রোগ্রাম থিকা আইসা বার-এ বসেন; তখন বারটেন্ডার ইয়াং পোলাটার লগে ফ্লার্ট করতে থাকেন। মারিয়া কয়, এইগুলা কি করো… অপরিচিতদের সাথে এইগুলা করাটা তো রিস্কি। তখন শে কয়, দুইটা বাজে জামাইয়ের সাথে থাইকা আমি বুঝছি যে, দুনিয়ার আসল হ্যাপিনেস হইলো ইয়াং পোলাপানদের লগে ফ্লার্ট করা!

পরে রাতে ওই পোলা আসার কথা থাকে বইলাই মার্ডারারটা ইজিলি এলেনের রুমে ঢুকতে পারে। মানে, কমবয়সী পোলাদের লগে ফ্লার্ট করাটা ঠিক কি বেঠিক এইটা নিয়া সরাসরি কোন কথা নাই। সবারই তো কিছু না কিছু উইকনেস থাকে, স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়তো ফর্টি প্লাস উইমেনদের এই অভ্যাসরে ক্রিটিসাইজ করতেও চান নাই। কিন্তু দ্যান এগেইন, এই সাজেশনটাই আবার রিভিল কইরা ফেলেন যে, ফর্টি-প্লাস হইলে এইরকম করা-ই যায়! এইটা বলাটাও একটু ঝামেলারই। Continue reading

~ ডেক্সটার সিজন টু ~

সেলফরে এক্সপ্লেইন করা যায় না আসলে। একটা ধূলার কণার ভিতর দিয়া পুরা দুনিয়া দেখতে পারেন আপনি (কাব্য না এইটা, পসিবল); কিন্তু ধূলার কণা যে কি জিনিস সেইটা বলতে পারবেন না। এইটা ওইটা বইলা বুঝাইতে হইবো যে, বাতাসে ওড়ে জিনিসটা, খালি চোখে এমনিতে দেখাও যায় না ঠিকমতো… মানে, ধূলার কণা হইলো একটা আমার দেখা ধূলিকণা, টায়ারিংই এইরকম বলতে চাওয়াটা। এইরকমের একটা ঝামেলা আছে ডেক্সটারের সেকেন্ড সিজনের কাহিনিটাতে।

নিজের ভাইরে খুন কইরা ঝামেলাতে আছে সে। খুন করতে পারে না আর। গার্লফ্রেন্ডের এক্স-হাজব্যান্ডরে জেলে পাঠানোর ঘটনাটাতে ধরা খাইয়া সত্যি কথা বলতে হয়। বইলা বিপদ আরো বাড়ে। সেলফ বইলা একটা বালছাল রিভিল হইতে শুরু করে। আর যখন সেলফ বইলা একটাকিছুরে ভাবতে পারতেছেন আপনি তখন আদার-এর অ্যাডভাইস নিতে হয়। আদাররেই আপনি সেলফ ভাইবা বসেন ভুল কইরা, চাইতে থাকেন তারে; একটা সময় পরে বুঝা যায় আদারের ডিজায়ারটাই আদার। আদারও আসলে সেলফই আরেকটা। তখন সে তার ইমাজিনেশনের কাছে ফেরত আসতে পারে আবার। এইসব ভগিচগি করতে গিয়া খুনের ব্যাপারটাই মাইনর হয়া যায়। খুন করাটা কি ভালো, না খারাপ? কিসের বেসিসে সিরিয়াল কিলার হইবো আমরা? – এইসব নিয়া আজাইরা ফিলোসফিক্যাল প্যাঁচাল। Continue reading

ট্রমা: ডেক্সটারের ঘটনা

Dexter-এ এইরকম একটা সিন আছে:

ফার্স্ট সিজনে ডেক্সটারের বইনের কাহিনি মিডিয়ায় চইলা আসার কারণে তারে মায়ামির পাবলিক চিইনা ফেলে; শে যে পুলিশ এর বাইরে তার সেলিব্রেটি আইডেন্টিটি হয়া উঠে আইস-ট্রাক কিলারের গার্লফ্রেন্ড। এইটা তার লাইগা বেশ ট্রমাটিক ঘটনা। যেই লোক এতোগুলি মানুষরে খুন করছে, তারে সাথে প্রেম করছে যেই মেয়ে শে তো একটা ঘটনাই।

একদিন রাতে শে যখন ডেক্সটারের (তার ভাইয়ের) গার্লফ্রেন্ডের লগে একটা পাবে যায়, তখন এক বেটা তারে সাইড থিকা দেইখা কয়, আরে তোমারে তো চিনা চিনা লাগতেছে… কই দেখছি তোমারে?… বইলা তার দিকে আগায়া আসে। শে তো তার চেহারা লুকাইতে চায়। তখন বেটাটা পিছন থিকা আইসা তার কাঁধে হাত দিয়া চেহারাটা দেখতে চায়। ওই মোমেন্টটাতেই শে স্ট্রাইক করে। ঘুইরা পাঞ্চ করে বেটাটার নাকে। সবাই অবাক হওয়ার আগেই শে চিল্লান দিয়া উঠে, ও আমারে জড়াইয়া ধরতে নিছিলো! ও আমারে জড়ায়া ধরতে নিছিলো! তখন সবাই অবাক হয়, চুপ কইরা থাকে; মেবি ভাবে, মেয়েটার কি কোন প্রব্লেম আছে? শেও যখন বুঝতে পারে যে ওই ট্রমাটা এখনো তার রইয়া গেছে, তখনই শে ভুল বা মিথ্যা ক্লেইমটা করে যে, লোকটা তারে বাজেভাবে জাড়ায়া ধরতে নিছিলো; এইভাবে হাইড করে নিজের ট্রমারে। Continue reading