যে কোন ভাষাতেই ভালো লেখক তো দুই-চাইরজনের বেশি নাই

আইজ্যাক বাশিভিস সিঙ্গার ইয়েডিশ ভাষাতে লেখেন, এই ভাষাতে কম-বেশি ১৫ লাখ লোক কথা কয়, দুনিয়ায়। মানে ধরেন, ঢাকা শহরের রামপুরা টু নদ্দা এলাকার লোকেরা এর চে বেশি বাংলা-ভাষায় কিচির-মিচির করেন মেবি, ডেইলি।

তো, এক ইন্টারভিউয়ার উনারে জিগাইতেছিলেন, ইয়েডিশ ভাষা’তে তো ভালো রাইটার খুববেশি নাই! উনি কইলেন, হ, দুই-চাইরজন আছে; কিন্তু যে কোন ভাষাতেই ভালো লেখক তো দুই-চাইরজনের বেশি নাই।

উনার কথা আমার কাছে সত্যি বইলা মনেহয়।

তো, অন্য ভাষাগুলাতে যেইটা আছে, অনেক অ্যাভারেজ রাইটার আছেন। এই অ্যাভারেজ রাইটার’রা সাহিত্য-ভাষা’রে বাঁচায়া রাখেন। এই অ্যাভারেজ রাইটার’রা জরুরি – এমন কথা উমবের্তো একোসহ আরো অনেকে কইছেন।

কিন্তু কেন জরুরি? আমার ধারণা, উনারা একটা ইকো তৈরি করতে পারেন, একটা এক্সটেনশন করতে পারেন – গ্রেট রাইটারদের; এই ইকো’র কারণে, এক্সটেনশনের কারণে ব্যাপারগুলা সোসাইটিতে ছড়ায়া পড়তে পারে, ধীরে ধীরে একসেপ্টেড হইতে পারে।

দুই-চাইরজন রাইটার দিয়া কনটেক্সট’টা তৈরি হয় না। অ্যাভারেজ রাইটার’রা এই কনটেক্সট বা ‘সাহিত্যের টেস্ট’টাতে কন্ট্রিবিউট করেন।… Continue reading

তর্কে কি কি জিনিস করবেন না

[তর্ক করা আমার অনেক দিনের স্বভাব। বাজে স্বভাব-ই একটা। 🙁 যদিও চুপ কইরা থাকার প্রাকটিস করতে চাই এখন, কিন্তু পারি বইলা মনেহয় না।

তো, নানান সময়ে তর্ক করতে গিয়া কিছু জিনিস অবজার্ভ করছি। ভাবলাম, বইলা রাখা যাইতে পারে তো, এইসব নিয়া! 🙂 ]

১. রেটরিক করতে (মানে, ঠেস মারতে) পারটারে যুক্তি দেয়া হিসাবে ভাইবেন না। দুইটা মোস্টলি আলাদা আলাদা জিনিস।

২. কোন আর্গুমেন্টরে ন্যারোড ডাউন কইরা ফেইলেন না। যেমন ধরেন, কেউ কইলো ক্রিকেট খেলার লগে পলিটিকসের রিলেশন আছে; তখন এইভাবে আর্গুমেন্টটারে মোকাবেলা কইরেন না যে, ক্রিকেট খেলার পুরাটাই পলিটিকসের ঘটনা। 🙁

৩. পাবলিকরে খুশি করার লাইগা বা খালি জিতার লাইগা তর্ক কইরেন না। কোন তর্ক যদি সার্টেন ইস্যুরে এক্সপ্লোর করতে না পারে, ব্যাপারটা আসলে খামাখা।

৪. কোন মানুষরে অপমান কইরেন না। ব্যাপারটা তখন তর্ক থাকে না।

৫. সবার লগে তর্ক করার দরকার নাই। সবার লগে তর্ক করলে প্রেম, ভালোবাসা, শত্রুতা, ঘৃণা, এইসব কার লগে করবেন! 🙂

৬. সবচে ভালো হইতেছে, নিজের লগে তর্ক করা।কিন্তু এই কারণে নিজেরে অপছন্দ করার দরকার নাই। মানে, তর্ক করার লগে কাউরে পছন্দ করা বা অপছন্দ করার রিলেশন কমই। তবে যাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোন পরিচয় নাই, তাদের সাথে তর্ক করতে যাওয়াটা কিছুটা রিস্কি, কথাগুলা মিসলিডিং হওয়ার চান্স বেশি থাকে। Continue reading

আমাদের অ্যাভারেজ লাইফ খুব কমই আমাদের অরিজিনাল ফিলিংগুলারে অ্যাকোমোডেড করতে পারে

জুলিয়ান বার্নসের দ্য অনলি স্টোরি নভেলটার সেকেন্ড পার্টের শেষের দিকে একটা সিন আছে, যেইখানে মেইন যে কারেক্টার, সে তার ডিসিশানটা নিতে পারে। একটা হোটেল রুমে ভ্যান গগেঁর গমক্ষেতে কাকের ছবিটা টাঙানো দেইখা ভাবে, এইটা যদি অরিজিনাল ছবিটা হইতো, তাইলে মুশকিলই হইতো, ঠিকঠাকমতো সে রিড করতে পারতেছে কিনা, ঠিক এক্সপ্রেশন দিতে পারতেছে কিনা, যেইভাবে দেখতে পারার কথা সেইভাবে দেখতে পারতেছে কিনা… এইসব নিয়া একটা টেনশনেই পড়তে হইতো। অথচ এইটা ফেইক বা কপি বইলা এইরকম কোন টেনশন নাই, জাস্ট অন্য যে কোন একটা ছবির মতোই দেয়ালে ঝুলানো আছে। তারে এভেয়ড কইরা, ডেইলি লাইফের মতোই একটা জিনিস ভাইবা নিজেদের কাজকামগুলা করা যাইতেছে।…

তো, এইরকম ফেইক বা কপি টাইপ ইমোশনগুলার কাছেই আমাদের থাইকা যাইতে হয়, এইটা মোর ইজিয়ার, টু লিভ বাই। বাঁইচা থাকাটারে এতোটা কমপ্লিকেটেড কইরা তোলে না। অরিজিনাল বইলা যে কিছু নাই, তা না, সেইটা রেয়ার ঘটনাই। আর আমরার যখন এইরকম কোন অরিজিনাল আর্ট বা ফিলিংসের সামনে হইতে হয় তখন একটু টেনশনে পইড়া যাইতে হয়।

কিন্তু মুশকিল মেবি তার পরের ঘটনাটা, যখন এই টেনশনের টাইমটা বা বিহ্বলতার টাইমটা পার হয়, তখন তারে এড়ায়া চলতে হয়, এইটাই মেবি তরিকা, অ্যাভারেজ লাইফস্টাইলের। আরো এক কদম আগায়া, ফেইক ইমোশনগুলার ভিতর ঘুরপাক খাইতে খাইতে যখন ট্রু কোন ইমোশনের সামনাসামনি আমরা হই, তখন বরং নিজেরে বুঝ দিতে থাকি, আরে এইটা তো আরেকটা কপিই! ফেইক জিনিসই! দেখেন না, এইটা এইটা তো ভুল! 🙂

এইভাবে ভাবতে পারাটা, নো ডাউন, আমাদেরকে হেল্প করে। কিন্তু লাইফটারে ধীরে ধীরে অন্ধও কইরা তোলে মনেহয়। একটা সেন্স অফ ট্রুথ বা অরিজিনালিটিরে অ্যাপ্রিশিয়েট করার অ্যাবিলিটিটা আমরা হারায়া ফেলি, সারা জীবনের লাইগাই।

অরিজিনালরে কপি বা কপিরে অরিজিনাল – এইরকম প্যাঁচ লাগায়াও বাঁইচা থাকতে হইতে পারে। মানে, এই ইল্যুশনগুলা জরুরি। এইটা একটা গ্রেটার পার্ট, লাইফের।
Continue reading

দোস্ত, দুশমন

এইরকম একটা কথা আছে যে, মানুষের বন্ধু-বান্ধব দেখলে আন্দাজ করা যায়, মানুষটা কেমন। কিছু মিল না থাকলে তো আর দোস্তি হয় না। কিন্তু এর চাইতে আরো সিগনিফিকেন্ট মনেহয়, শত্রুতার ব্যাপারটা বা যার আপনি বিরোধিতা করতেছেন, সেই জায়গাটা। মানে, আপনি কারে শত্রু ভাবতেছেন বা কোন জিনিসগুলারে – সেইটা দিয়াও একটা মানুষরে বুঝা যাইতে পারে। দোস্তির মতোন শত্রুতাও, আমার কাছে মনেহয়, একটা লেভেলেরই ঘটনা, একটা সার্কেলেরই ব্যাপার। মানে, আমার যদি কনসার্ন না-ই থাকে, সেই জিনিসটারে তো আমার শত্রু মনে হওয়ার কোন কারণই নাই। দোস্তি আর দুশমনি একটা সার্কেলেরই ঘটনা, এইভাবে যে, আমরা কনসার্নড, বোথ পার্টি নিয়া।

আরেকটা জিনিস হইলো, এই কনসার্নড জিনিসগুলাই আমাদেরকে ডিফাইনড করতে থাকে বা থট-অ্যাক্টিভিটিরে ইনফ্লুয়েন্স করতে থাকে। এই কারণে কার সাথে দোস্তি করতেছি – এইটার যেমন একটা ভ্যালু আছে, কার সাথে দুশমনি করতেছি, সেইটারও ইমপ্যাক্ট আছে আমাদের লাইফে। Continue reading

#কবিতা #প্রেম #মিডিয়াম #ফেসবুক #হেইট্রেট #বুলিং #হাট #খেলা #ক্রুয়েলিটি #হাততালি

আমারে কয়েকজনই জিগাইছেন, নানান টাইমে, প্রেম নিয়া কেনো এতো কবিতা লেখা হয়! দুনিয়াতে কি আর কোন কিছু নাই, কবিতা লেখার মতোন!

আমিও খেয়াল করছি, মোস্টলি দুই-তিনটা সাবজেক্ট নিয়াই কবিতা লেখা হয় – প্রেম, পলিটিকস, মরা’র চিন্তা… এই কয়টা জিনিসই, ঘুইরা-ফিরা। অন্য জিনিস নিয়া যে কবিতা লেখা যায় না বা হয় না – তা না; কিন্তু কবিতা বলতেই প্রেমের একটা ঘটনা আছে, বা প্রেমে না পড়লে মানুষ কবিতা কেমনে লেখে – এইরকম!

তো, এই প্রশ্নের তেমন কোন উত্তর আমি করতে যাই নাই। (উত্তর যে নাই – তা না, নানান সময়ে নানান উত্তর তো দেয়া-ই যায়।) কিন্তু একটা জিনিস গত কয়েকদিন ধইরা মনে হইতেছিলো, এক একটা মিডিয়াম এক একটা ফিলিংস’রেই উসকায়া দেয়। যেমন, ফেসবুক – মিডিয়াম হিসাবে এক রকমের হেইট্রেট বা বুলিং’রে প্রমোট করে।

এর একটা কারণ মেবি এইরকম যে, ধরেন, একটা হাটে বা ক্রাউডেড প্লেইসে আমরা যে যার কথা কইতেছি বা খেলা দেখাইতেছি, এখন যে যতো ক্রুয়েল গেইম’টা দেখাইতে পারবো, লোকজন তো সেইখানেই আসবো বেশি। হাটে বা পাবলিক গেদারিংয়ে সবাই তো খেলা দেখাইতে আসেন না, দেখতেই আসেন; চোখের সামনে যা পড়ে, দেখি তো আমরা; আর যা কিছু একসাইটিং – তা-ই তো চোখে পড়ে বেশি। এইরকম। তাই বইলা ফেসবুক একটা হেইট্রেট বা বুলিং করার মিডিয়াম – এইটা আমার ক্লেইম না; কিন্তু মিনিমাম লেভেলে এক রকমের ‘হাততালি’ দেয়ার ব্যাপার’রে এনকারেজ করেই।
Continue reading