কোজাগরী

#কোজাগরী শব্দটার মিনিং আমি জানতাম না। লোকজন কয়, টিভিতে দেখায়, কোজগরী চাঁদ, #জি_বাংলা টিভি-চ্যানেলে একটা সিরিয়ালও আছে এই নামে। গতকালকে ছিল, এই কোজাগরী চাঁদের রাত। তো, অনলাইনে সার্চ দিয়া দেখলাম যে, এইটার মানে হইতেছে ‘কো জাগর্তি’; এই মিনিংয়ের পিছনে একটা #কাহিনি আছে। [বেশিরভাগ শব্দেরই, বিশেষ কইরা বিশেষণের এইরকম থাকার কথা।] কাহিনি’টা #হিন্দু ধর্মের। [#ইসলাম ধর্মের শব্দও থাকতে পারে এইরকম, #সেক্যুলার-ধর্মেরও…]

দেবী #লক্ষী বিষ্ণুলোক থিকা দুনিয়াতে আইসা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়া জিগান, “কে জাইগা আছো?” [এইরকম বাক্য পাইলাম, কবিতার লাইন হইতে পারে এইটা – “নিশীথে বরদা লক্ষী কোজাগর্তিভাষিনী”।] তো কেউ জাইগা থাকলে, উনার ডাকে রেসপন্স করলে তার ঘরে গিয়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, ধন-সম্মান দিয়া আসেন। [আমি অবশ্য মরা’র মতোন ঘুমাইছি গতকালকে।  সন্ধ্যায় খালি বাইর হইছিলাম একটু।] Continue reading

#গণতন্ত্র #ভাষা #ফ্যামিলি

দুইটা পেন্ডিং চিন্তা ছিল। মানে, ভাবছি কিছুদিন, কিন্তু পুরাটা ভাবা হয় নাই। মনে হইলো, জিনিসগুলি জাস্ট বইলা রাখি।

পয়লা ইস্যুটা গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি নিয়া। এই জিনিসটা কেমনে পারফর্ম করে। ধরেন, অফিসে ৫ জন আছেন, আপনারা। ৪ জনের সিংগারা-সমুচা পছন্দ, ১ জন তেলে-ভাজা জিনিস পছন্দ করেন না; কিন্তু খাওয়ার জিনিস একটাই আনতে হইবো। তো, ব্যাপারটা কখনোই এইরকম ঘটে না যে, আপনারা যেহেতু ৪ জন, ১ জনরে ইগনোর কইরা বা না-খাইতে দিয়া সিংগারাই খাবেন। আপনারা যদি মানবিক হন, সোশ্যাল হন তাইলে ওই ১ জনরেও কন্সিডার করবেন। বাদ দিয়া দিবেন না। পরে করবেন কি, ওই একজনরে নিয়া মস্করা করবেন, বেশি হইলে হিউমিলেট করবেন। গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি জিনিসটা এইভাবে পারফর্ম করা লাগে; দেখাইতে হয় যে, আপনি মাইনরিটিরেও কেয়ার করেন; তা না নাইলে ডেমোক্রেসি হয় না আসলে। তো, এই ডেমোক্রেসি অনেক সময় মেজরিটির একটা অস্বস্তি’র কারণ। নট দ্য্যাট উনারা গণতন্ত্র চান না, উনারা চান যে, গণতন্ত্র থাকবে, উনাদের অবজেক্টিভ ফুলফিল করা যাবে, মোস্ট ইর্ম্পটেন্টলি কোন গিল্টি ফিলিংস থাকবে না। এইজন্য একটা বাজে অথরিটি ভালো, যারে এই গিল্টি ফিলিংসটার লাইগা গালিগালাজ করা যাবে। আমাদের ‘গণতন্ত্র’ ভাবনাটা তখনই এগজিস্ট করে যখন কাউরে ব্লেইম করা যায়, গণতন্ত্র না থাকার লাইগা। ‘সবাই’ – এই জিনিসটা কখনো ঘটে না; ‘ম্যাক্সিমাম’ জিনিসটাও না; গণতন্ত্র হইলো, যে মিনিমাম জিনিসটারেও ইনক্লুড করে। যেহেতু মেজরিটিই ডিসিশানটা নিতেছে মনে হইতে পারে যে, এইটা নাই। Continue reading

দুইটা খবর

দুইটা খবরের দুইটা লাইনে চোখ আটকাইলো, মানে ভাবা লাগলো (ভাষা বাল, রেটরিকে ভরপুর!)।

একটা হইলো, ঢাকা ট্রিবিউনের। http://bit.ly/29MCu8F। উদিসা ইমনের শেয়ারটার কারণে দেখলাম। ওইখানে, একজন কইতেছিলেন, “ছাত্র পরিচয় দিয়েছিল, দেখতেও ছাত্রদের মতোই।“ মানে, একটা লুক আছে, যেইটা দিয়া আপনি বুঝতে পারবেন উনি ছাত্র, উনি গার্মেন্টস ওয়ার্কার, উনি সাংবাদিক, উনি ব্যাংকার, এইরকম…। লুকটারে নিতে পারলেই কিন্তু হইলো, আবার ছাত্র হইয়াও ছাত্র’র মতো না দেখানোর কারণে আপনি ছাত্র নাও হইতে পারেন। আর ছাত্র হইলে যে জঙ্গী হইতে পারবেন না, এইটা তো সবাই বিলিভ করে। মানে, ট্রুথের চাইতে ট্রুথের পারসেপশনটাই জরুরি সবসময়। আমি ভালোমানুষ, তার চাইতে জরুরি হইতেছে নিজেরে ভালোমানুষ দেখানোটা। দ্যান, ইটস ডান। এইরকম দাড়ি দেইখা রাজাকার বানাইছি আমরা, জিন্স দেইখা স্টুডেন্ট বানাইতেছি, লুঙ্গি দেইখা রিকশাওলা। এই বানানো (প্রটোটাইপ) রিয়ালিটি থিকা বাইর না হইলে রিয়ালিটিরে দেখতে পাওয়ার চান্স আসলেই অনেক কম। Continue reading

How Do I Know That I Don’t Know

 

প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় একটা নাটক করতাম আমরা। নাটকের কাহিনিটা ছিল এইরকমের যে, গ্রামে (হায় অশিক্ষিত গ্রাম!) দুইটা পাড়াতে দুইটা স্কুলে দুইজন টিচার আছেন; দুই পাড়ার লোকজনেরই ধারণা যে তাঁদের পাড়ার স্কুলের টিচার-ই বেশি জ্ঞানী, বেশি জানেন। এই নিয়া ঝগড়া-টগড়াও হয়। পরে, সবাই মিইলা ঠিক করেন যে, সবার সামনেই কম্পিটিশন হবে। তো, একটা নির্দিষ্ট ডেইটে, নির্দিষ্ট টাইমে, নির্দিষ্ট প্লেইসে দুইজন টিচারসহ গ্রামের সব লোকেরা আসেন, গোল কইরা দাঁড়ান এবং বসেন। মাঝখানে দুইজন টিচার থাকেন। কম্পিটিশনটা হয় ইংরেজি জানা নিয়া-ই। একজন টিচার খুব খটোমটো টাইপের একটা ইংরেজি’র মানে জিগান; ধরেন, ‘circumstance’ [মানে, ক্লাস থ্রি/ফোর’রে পড়ার সময় কঠিন-ই আছিলো মনেহয় এই শব্দটা]; তো সেকেন্ড জন এইটার উত্তর দেন, ধরেন ‘পরিস্থিতি’ [মানে, এইটা বাংলা হিসাবেও প্রায় সেইম লেবেলেরই কঠিন]; গ্রামের লোকজন তো জানে না ঠিক হইছে কিনা; কিন্তু যিনি কোশ্চেন করছিলেন, তিনি মাইনা নেন বইলা সবাই বুঝতে পারে যে ঠিকই হইছে। তখন যিনি উত্তর দিছিলেন উনি ‘I don’t know’র বাংলা করতে বলেন। যাঁরে জিগানো হইলো, তিনি এক সেকেন্ডও দেরি না কইরা উত্তর দেন, ‘আমি জানি না।’ এইবার গ্রামের লোকজন আর ওয়েট করে না; তিনি তো বইলাই দিছেন যে, জানেন না; সো, সবাই তাঁর জানা’র ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে পারে, নিজেদের জানা দিয়া। রিয়েল মিনিং আর কনটেক্সটুয়াল মিনিং এক হয়া যাইতে পারে। Continue reading

বাংলা একাডেমির ভাষায় মতিকণ্ঠের নিউজের অনুবাদ

 

ফেব্রুয়ারি মাস আসতেছে সামনে। চারদিকে বই ছাপানোর নিউজে আমার মনে ভাষা-প্রেম একটু আগেই চইলা আসছে।

মতিকণ্ঠ পড়ছেন তো? বেশ হিউমারাস না! হিউমিলেশনও আছে। আর হিউমিলেশন আছে বইলাই হিউমার করাটা পসিবল হয়, বেশিরভাগ সময়। এই হিউমিলেশন যতোটা না ঘটনার (মানে, নাই যে সেইটা না), তারচে বেশি ভাষা থিকাই আসে।

মানে ঘটনা, সেইটা যা-ই হোক, এর যে রিপ্রেজেন্টশন, সেইটাই হইলো ঘটনাটা। ঘটনা আসলে ভাষার ভিতর দিয়াই ঘটে। আর ভাষারে আপনি যতো কব্জির জোর দিয়া ঘুরাইতে থাকবেন ঘটনা ততোই ঘটতে থাকবো। এমনিতে পত্রিকা-টিভি-রেডিও’র ভাষাই হইলো আমাদের জীবনের ঘটনা। এর বাইরে গল্প-কবিতা ত থাকলোই।

মানে, আপনি জানেন যে, পাখিটারে কয়, বক-পাখি; এখন আপনি বক-পাখি না কইয়া কইলেন, বগা-পাখি। এতে কইরা বক-পাখি ইন্সট্যান্ট বগা-পাখি হয়া যায় না খালি, তার যে দুইটা পা সেইগুলা ঠ্যাং হয়া যাইতে পারে। পাখি হিসাবে আরোবেশি পাতলা, এমনকি পাখি-ই হইতে পারলো না, মনে করেন। মানে, এইরকম মনে করাটা সম্ভব হইতে পারে। খালি বক-পাখি থিকা বগা-পাখি লিখার কারণেই। আবার ধরেন, আকাশে বকপাখি তো ওড়তেছেই। সেই বক-পাখি ওড়ে বইলাই বগা আর কখনোই পাখি হইতে পারে না।

এখন রিডার হিসাবে এনাফ লিটারেট না হইলে আপনি এই বক-পাখি আর বগা-পাখি’রে আলাদা করতে পারবেন না। আর মজাটা এইখানেই এমপ্লিফাই হইতেছে যে, কেউ কেউ হয়তো বুঝতেছেও না! না-বোঝার যদি কেউ না-থাকে, বোঝাটার মিনিং তৈরি হইতেছে না।

আমি মনে হয় ব্যাপারটা ক্লিয়ার করতে পারতেছি না। এইজন্য ভাবলাম, মতিকণ্ঠের ভাষাটারে অনুবাদ কইরা দেই। Continue reading