লোনলিনেস

ছবি: দঈত আননাহাল

অনেকদিন পরে লোনলিনেসের সাথে আবার দেখা। সে কয়, ভাই আপনি না গেছিলেন গা; আবার কই থিকা আইলেন? আমি কই; না, না, ফিরা আসি নাই ত একবারে; দেখতে আইলাম রাস্তাঘাট কিরকম, আগের মতোন আছে কিনা; এখনো গরুর দুধের চা বেচো নাকি, এইসব। সে কয়, দুইটা সিগ্রেট খান ভাই, একটার পুটকি দিয়া আরেকটা ধরাইয়া, তাইলে ভাল্লাগবো। কুয়াশা এখনো পড়ে নাই। মনেহয় বাতাসে খালি একটু ধোঁয়া উঠতেছে। রিকশা-ট্রাক-বাস-টেম্পু-কার সবাই যাইতেছে কোথাও না কোথাও। লোনলিনেস চা বানাইতেছে। চা-টা খাইয়া আমি আবার হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চইলা আসবো। মনেই হবে না, রাস্তায় লোনলিনেসের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। মাঝে মাঝে এইরকম ত আসা-ই যায়, আমি ভাবতেছিলাম।

 

 

বিকাল আসতেছে ধীরে

 

বিকাল আসছে ধীরে, মেঘনার পাড়ে। বৃষ্টি আইসা ছুঁইলো তারে। বেড়ার হোটেলে, চায়ের কাপে সেও মিলতে চায়। মিলন হবে কতোদিনে! পুনম ধীলন কাঁদতেছে; তেরে মেহেরবানিয়া’তে। কুত্তাটা ভিজতেছে বাইরে। ইয়াং কবির মতো সাহসে। মারা-যাওয়া নায়কের কবরটাও নিশ্চয় আশেপাশেই আছে অথবা নতুন ব্রীজের প্ল্যানে অ্যাকোমোডেড করা যায় নাই আর, বাদ পইড়া গেছে।