ফেমিনিজম

ফেমিনিজমের সুবিধা হইলো আপনি ফেমিনিস্ট না হইয়াও এর সুবিধা নিতে পারবেন, বেনিফিট পাইতে পারবেন অনেক। ফেমিনিস্ট হইলে বরং কম পাইবেন একটু। মানে, পিকাসো যদি খালি কিউবিস্ট হন বা দালি যদি সুরিয়ালিস্ট হন তাইলে যেমন হয়। আপনি কিউবিস্ট বা সুরিয়ালিস্ট না হয়া পিকাসো বা দালি হইবেন। বাদ’রে বাদ দিতে পারাটাই ঘটনা! ইন্ডিভিজ্যুয়ালিজম ফাইট্টা বাইর হইতে পারবে তখন, এর চিপা দিয়া।…

কিন্তু আপনার ডিজায়াররে জাস্টিফাই করতে গিয়া পার্টনাররে (মেইল/ফিমেইল) চিপায় ফালাইতে হইলে ফেমিনিজমরে ইউজ করবেন। ফেমিনিজম নিয়া সিমন দ্য বেভোয়া একটা মজার কথা কইছিলেন; যে, ইদানিং (মানে, উনার টাইমেই) ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বাইড়া গেছে (কঠিন শব্দগুলাই এর কারণ না অবশ্যই); কারণ ফেমিনিজমের কারণেই পোলাগুলি কইতে পারে, তুমি ত ফ্রি, চলো আমরা শুইয়া পড়ি! ফ্রি মানে যে আপনি যে কারো লগেই শুইতে চাইতেছেন না – সেইটা না, ফ্রি মানে হইলো আপনি চাইলে যে কারো লগে শুইতে পারেন। নাইলে আর ফ্রিয়ের কি মানে! Continue reading

সিমন দ্য বেভোয়া

মেয়েদের হার মেয়েদের জিত।  সিমন দ্য বেভোয়া। সংকলন ও ভাষান্তর: সন্দীপন ভটাচার্য। জুলাই ২০০৮। মন ফকিরা।

প্রচারের ফলে ‘নারীমুক্তি’ শব্দটা এখন পুরুষের মুখে-মুখে, সে তারা মেয়েদের ওপর যৌন পীড়নের ব্যাপারে সচেতন হোক বা না-হোক। পুরুষের এখন মনোভাবটা যেন এই যে, ‘বেশ, তুমি যখন ফ্রি, চলো, বিছানায় যাই।’ অন্য কথায়, ছেলেরা এখন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক, কদর্য, হিংস্র। আমার যৌবনে আমরা মঁপারনাস ধরে হাঁটতে-হাঁটতে কোন কাফেতে গিয়ে বসতাম, নিপীড়নের কোন ভয় ছিল না। হ্যাঁ, আমরা হাসতাম, চোখ টিপতাম, কটাক্ষ করে তাকাতাম। আর এখন কোন কাফেতে বসে কোন মেয়ের পক্ষে একা বই পড়া প্রায় অসম্ভব। পুরুষেরা আগ বাড়িয়ে কথা বলতে এলেও সে যদি একা থাকার ব্যাপারে দৃঢ় হয়, তো তারা তাকে ‘কুত্তি’ বা ‘খানকি’ বলে চলে যায়। ধর্ষণের ঘটনা এখন অনেক বেড়ে গেছে। সাধারণ ভাবে পুরুষ-আগ্রাসন ও বিদ্বেষ এখন এত স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে শহরে কোন মেয়ে আর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।”

(পৃষ্টা ২২)

মন ফকিরা পাবলিকেশন্সের বইগুলা আমার পছন্দ। অনেকসময়ই উনারা পরিচিত লেখকের অপরিচিত টেক্সটগুলা ছাপান। এই কথাটা আমার মনে হইলো অসীম রায়-এর ‘লেখকের জবান’ বইটার কথা মনে কইরা। এমনিতে বইগুলার সাইজগুলা ভালো, ১০০/১৫০ পৃষ্টা; অল্পদিনে পড়া যায়, খুব বেশি দিন ধইরা রাখার উপায় নাই, মানে, ভালো ত ভালোই। আমার পছন্দ মাইনর টেক্সট, যা কিছু লেখক না লিখলেও পারতেন, কিন্তু যখন লিখলেন, তখন আর তারে ইগনোর করা গেলো না, এইরকম টাইপের। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] 

ত, সিমন দ্য বোভেয়া’র দুইটা ইন্টারভিউরে অনুবাদ কইরা বই আকারে উনারা ছাপাইছিলেন ২০০৮ সালে। পড়ছিলাম মাস ছয়েক আগে (এখন ত প্রায় ১বছর হইতে চললো), তখন ২/১টা কথা মনে হইছিলো, সিমন দ্য বোভেয়া সর্ম্পকে।

সিমন দ্য বোভেয়া’র লেখা আমি খুব একটা পড়ি নাই। হুমায়ূন আজাদের ‘নারী’ নামের বইটা এই অনাগ্রহের একটা কারণ হইতে পারে, ওইটা পইড়া বোভেয়া সর্ম্পকে বেশ খুব ভালো ধারণা হয় নাই; কারণ উনি নারী বিষয়ে অভিজ্ঞতাগুলারে বলতেছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখনই একটা ‘তত্ত্ব’-এর ভিতর ফেলতে যাইতেছিলেন, তখন আর ব্যাপারটা পিছলাইয়া যাইতেছিল। মানে, ব্যাপারটারে একটা ‘তত্ত্ব’-এর ভিতর নিয়া আসা যায় না, সেইটা না; বরং একটা ‘তত্ত্ব’-এর ভিতর তারে রিডিউস করা হইতেছিল… একটা জায়গায় উনিও বলতেছিলেন যে,

“… এর শিকড় থাকা উচিত অনুশীলনে, তত্ত্বে নয়। ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ গিয়েছিল উলটো পথে। সেটা আর এখন বহাল নেই।“

(পৃষ্টা ২৬)

(সর্তকীকরণ বিজ্ঞপ্তি 🙂 ) এইটা আবশ্যিকভাবেই উনার তত্ত্ব-প্রবণতারে বাতিল করে না, আমার সন্দেহটারেই আরো রিলিভেন্ট করে। Continue reading