সিলেক্টেড পোয়েমস: জানুয়ারি, ২০১৬।

আমরা না আমরা

‘পরকালে তুমি আমাদের হইও’
পরকালে তুমি থাকবা ত?
মানে, পরকাল তো আছে একটা, তাই না?
তুমি আর তোমার পরকাল থাইকো কিন্তু…
তখন আমরা না আমরা আমরাই থাকবো
আর কাউরে দেখবো না
আর যেহেতু দেখবো না
অরা নাই, আমরাই থাইকা যাবো তখন
আমরা আর আমরা
মানে, আমি-ই তো
আমি আর তুমি যেই আমরা, তারা;
সেইরকম হবে ব্যাপারটা, বুঝছো…
ফিউচাররে ঠেলা দিয়া পরকালে
নিয়া যাবো আমরা…
পরকালেও দেইখো থাকবো কিন্তু আমরা,
ঠিকাছে না? হুমম…

 

আগর

আগর গাছের ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। দেখতে অন্য যে কোন গাছের মতোই। কিন্তু ঘটনাটা ঘটে যখন পোকাগুলি গাছটা খাইতে শুরু করে। গাছের শাদা শাদা গুড়ি নিচে পড়তে থাকে, আর গাছের ভিতরটা কালো হইতে থাকে। অনেক সময় দশ বারো বছর লাগে গাছের একটা অংশ নষ্ট হইতে। ওই কাঠ কাটার পরে কালো অংশ আলাদা কইরা ত্রিশ দিন পানিতে ভিজাইয়া, আরো ত্রিশ দিন চুলাতে জ্বাল দিয়া আগরের লিকুইড সুগন্ধি বানানো হয়। এক কেজি কাঠ থিকা এক গ্রাম পাওয়া যায়, ম্যাক্সিমাম। তবে সবচে মজার ব্যাপার হইলো, সব গাছে পোকা ধরে না, খুব কমই ঘটে এইরকম ঘটনা। তখন পুরা গাছে পেরেক মারতে হয়, পেরেকের ঘায়ে গাছটা পঁচতে থাকে। পেরেকগুলি একটা সময় গাছের ভিতরেই ঢুইকা যায়। গাছটা কাটার পরে দেখা যায় পেরেকের আশেপাশের জায়গাও কালো হইয়া আছে, ওইটুক কালো পেইনটা দিয়া তখন আগর বানানো হয়। ন্যাচারালের চাইতে কোয়ালিটি লো হয় অবশ্য। গাছে এইরকম পেরেক লাগানোরে বলে – নেইলিং। ছবি তুললাম একটা।

 

তবুও জীবনানন্দ

ডিমটা পাইলেও হয়;
তারে ওম দিতে দিতে
কুক্কুরুকু ডাকতে ডাকতে
ভোরের কুয়াশায়
আমার মুর্গি-জীবন আমি
সার্থক কইরা ফেলবো

ডিম যদি না-ই পাই
খড় দিয়া আমি তবু
ডিম-ই বানাবো।

 

হ্যামলেট

ব্যাকগ্রাউন্ড চেইঞ্জ হওয়ার সাথে আমি যাবো চলে,
আমারে ভুলে যাওয়ার লাইগা
আর কি কি জিনিস তোমার মনে রাখা লাগবে?

ওফেলিয়া, তোমার স্কেয়ারি চোখ কি আরো স্কেয়ারি হবে?
তুমি ভাববা, এইসব আজাইরা কথাগুলার কি মানে?
মরা মানুষের সাইলেন্সই কি ভালো না, আজাইরা কথাগুলি বলার চাইতে?

কোনদিন বিকালে, জঙ্গলের পাশে চেয়ারে বসে
শিকার করতে থাকা কারো তাক করা বন্দুকের নল দেখতে দেখতে
একটু দূরে, দেখবা তুমি এক শেয়ালরে, যে তাকায়া আছে তোমাদেরই দিকে,
তার চোখের দিকে তাকায়া, তার হঠাৎ দেখতে পাওয়া মৃত্যুরে দেইখা
হয়তো তোমার মনে হবে অন্য একটা ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা
ধরো, ডাক-রোস্টের ভিতর পইড়া থাকা একটা হলুদ ডিমের কথা-ই
গুটিশুটি বইসা আছে;
তারে খাইতে খাইতে মনে হবে অন্য কোন কথা,
অন্য কোন আলাপ আইসা নিয়া যাবে তোমারে ওয়াইনের গ্লাসের দিকে

ব্যাকগ্রাউন্ড চেইঞ্জ হবে ওফেলিয়া, আমি যাবো চলে…

 

ডায়ালগ

১.
যারে নিয়া আসছি তারে কি আর ফেলে দেয়া যাবে…

২.
ঘুমায়া গেছিলাম, বুঝছো; জেগে উঠে দেখি ভোর-ই হয় নাই

৩.
তখন সকাল।

৪.
রিকশাগুলির যে কি স্পিড, ওরা তাউরাইতে তাউরাইতেই আগায়া যায়

৫.
তোমার গেইমগুলি, সে কি তুমি ন্‌ও? মানে, তুমি তো একরকম… একবার জিগায়া তারপরে কনফার্ম করলাম।

৬.
আমি না বাঁইচাই আছি, জানো….
অনেকগুলি মরণের শেষে আরেকটা মরণই খাড়াইলো;
রণক্লান্ত – এইরকম একটা ওয়ার্ড আছে না? সন্ধ্যার দিকে বলা লাগে মনেহয়।

৭.
আসছেন দিন, তিনিও খাড়া হইতেছেন, চুপসাইয়া যাইবেন…

৮.
It’s a ball game.

৯.
ক্রিকেট খেলতেন তিনি, তার আগে ফুটবল, চি-কুত-কুত, গোল্লাছুট; ও, প্রথমে অবশ্যই পুতুল, প্লাষ্টিক না, কাপড়-চোপড় দিয়া বানানো… তখনই মনে হইতো হয়তো বা মনে হইতো বইলা ভাবা যায়… যাক না দিন, ময়ূরের… ময়ূর না বিষন্ন, নাচে খালি… এইজন্য কইছিলাম… কিন্তু প্রাইমারি আলাপ ক্যান (এ-কার এ পেইন নাই, জফলা-তে আছে) করবো?

১০.
অনেক তো হইলো ট্রাফিক জ্যামের কথা

১১.
অনেক অনেক দিন অনেক অনেক দিনের মতোই

তাই না?

 

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়

হায়, এই জীবন এত ফানি কেনে!

 

দেখছো, দেখছো?

একটা গুইসাপ,
দাদীর কবরের পাশে;

সরে যাইতেছে…

 

Leave a Reply