দিস ইজ মাই ডিসেম্বর (ডিসেম্বর, ২০১৫)।

ইমাজিনিং সামওয়ান লাইক ইউ

যেইভাবে তুমি বইসা থাকো;
তোমার থাকার ভিতর
থাকতে থাকে অনেককিছু – একটা নভেম্বরের সন্ধ্যা,
নারিকোল পাতার ডানায় কুয়াশা, হিবিজবি গান, গান্ধী পোকা, একটানা আওয়াজ কিসের জানি,
শাদা অন্ধকার, শাশ্বত টাইপ গোলাপ, ভেটকাইন্না ওয়াও, সিলি সকলবকুলফুলও থাইকা যাইতে পারে মনেহয়,
একটা পাকুড় বট? থ্রিলার কাহিনির লম্বা বারান্দা, কিউরিসিটি, একটা ক্লান্ত মন
মন তো জানেন মনের সব – এইসব কারিকুরি, কি জানি কি জানি…
ভাবি আমি;
আর বসে থাকতে থাকতে গুটলি পাকায়া শুইয়া পড়ার একটা ছবি
আমি ইনসার্ট করার ট্রাই করতে থাকি,
কাইত হয়া বইসা আমারই চেয়ারে
আমি ভাবি, যেইভাবে তুমি বইসা থাকো
মানে, থাকতেই তো পারো, আমার না-পারার মতো
ঝাপসা, অল্প একটু।

 

লেট মি পোক ইউ!

১.
শুরু হও কাঁকড়া
এইবার তোমার জীবন।

২.
গলা ধইরা বইসা আছে গান

৩.
আমার বন্ধুর গান
আমিও গাইবাম

৪.
বাসের পাছা হঠাৎ কইরা বাঁইকা যায়
সামনে প্যাসেঞ্জার
উঠতে পারতেছে তো?

৫.
ঝুলে আছে হাওয়ার পাইপ, হলুদ রংয়ের

৬.
এত্তো ময়লা, বুঝলা
শাটার ফেললে দেখা যায়
ভাঁজে ভাঁজে ধূলা
গ্রে-কালার
অথচ হোয়াইট
আমরা ব্ল্যাক থিকা হাঁটা শুরু করছিলাম
নিজ না, সেলফ না আর কি কি
কইতে কইতে
ব্লাডার ফাইট্টা যাইতেছে
মুইতা আসি বইলা
উনার সেনসেটিভনেস বুঝতে চাইছিলাম
উনি মানছেন অবশ্য
এইটুক অশ্লীলতা

৭.
বাসের লাইনে দাঁড়ায়া করতেছি ফাইজলামি
দেখতেছি আমি সিগ্রেট মুখে নিয়া
তুমি অন্যদিকে তাকায়া আছো

৮.
শীত আর আসে না
ভাপা-পিঠা বেচা হয় খালি
রাস্তার সাইডে

তেমন আর শীত কই
সুয়েটার পড়ার মতোন
অথবা ভাবতে পারার মতোন
একটা লেপ কোথাও
অপেক্ষা কইরা আছে

৯.
এই হইলো দিন তাইলে

নেভাল একাডেমির গেইটে
বিয়ারের ক্যান হাতে
গরম পেঁয়াজু খাইতে খাইতে
ভাববো নে।

১০.
এই যে ভাই
কই যান!

আসছেন পুলিশ, ডিবির লোক মেবি

উনি ঠিক ঠিক মিনিং বাইর কইরা ফেলবেন

অথচ কইছিলাম, এমনি এমনি লিখি আমি
বেদনা-টেদনাও নাই তেমন

১১.
স্টোরি-টেলার যিনি স্টোরিওটাইপ
ভঙ্গি-টঙ্গি সব একইরকম

১২.
কইছিলাম তো, যাইয়েন না

এইবার তাকায়া থাকো রইদে

শুশুকের লাফ দেখার লাইগা
শুটকির মতো বইসা থাক, বাল…

১৩.
হেই ইউ!
যে তুমি অন্য কোন মিনিংয়ে
অন্য কোন চামে, অন্য কোন পিরামিডের ভিতর
বইসা থাকতেছো
ইঁদুরগুলার দিকে খেয়াল রাইখো

টর্চ নিছো তো সাথে?
লগে এনাফ ব্যাটারি?

১৪.
আমার নাথিং তুমি
আমার সাথেই থাকো

১৫.
ঘাটের কাছে এইরকম কাদা
পা পিছলায় না, আটকাইয়া যায়
যতোক্ষণ না হাসির আওয়াজ আসে
মনেই হয় না আটকাইয়া ছিলাম

বাড়ি ফিরা কুপির আলোতে দেখি
আরে, এইটা ত আমি!

১৬.
রান লোলা রান
একটাই সিন
বাট
মিনিমাম তিনটা অপশন।

 

দ্য বাইসাইকেল থিফ

আমি বইসা থাকবো
আর আমারে নিয়া যাবে না কেউ?

আমি কি খালি সাইকেল
সাইকেল চালাইতেই থাকবো?

আর মোটর-বাইক?

 

হঠাৎ

তোমার বাঁইচা থাকার লাইগা আমারেই কেন মরা লাগবে? শি জিগায় আমারে। মরো নাই তো তুমি! আমরা জাস্ট কথা বলা বন্ধ কইরা দিছি। একটা জিনিসরে কেন এক্সাজারেট করা লাগে তোমার? তোমার বাঁইচা থাকা তুমি চোদাও না গিয়া বাল। হোয়াই ইট হ্যাজ টু বি মি? এইরকম হাউকাউ করতে গিয়াও চুপ কইরা থাকি আমি। যে কোন কনভারসেশনই পসিবল না আর। একজন মানুষরে ন্যাংটা দেইখা ফেলার পরে যতোই তুমি তারে ঢাইকা রাখতে চাও, তার ইমেজ থাইকাই যায়। চোখ বন্ধ কইরা রাখলেও। অন্ধ হয়া গেলেও। একটা ট্রাজিক বা রোমাণ্টিক এন্ডিংয়ের লাইগাই তো ছিল এতকিছু। শি মেবি অপেক্ষা কইরা আছে, মেমোরিটা মুইছা গেলেই হয়। তখন ফোঁস ফোঁস কইরা ফিরা আসতে পারে। আমি ভয় পাই। আমি অন্য আরেকটা শি’র কথা ভাবি যে কখনো টেম্পট হইতে রাজি হয় নাই। অথবা দুই-তিনজন তারা ক্যাফেতে বইসা সিগ্রেট খাইতেছে। এই প্লেইসটা সেইফ। তারপরে সেলফি তুলে। আরেকজন শি আইসা বলে, বিয়া করছি ঠিকই, বাচ্চা তো নিবো না; আমার পেটে বাচ্চা দিয়া সে আরেকটা প্রেমই করতে চায়। ধোঁয়ায় বসে থাকে সবাই। আমি ভাবি যে উইঠা চইলা যাবো। আমি ভাবি, আমি তো মারা গেছি। মানে, আমি যদি মারা না যাই শি আর কেমনে বাঁইচা থাকতে পারে? এইটা এমন একটা দুনিয়া যেইখানে একজনই থাকে। আর আমাদের আইডেন্টিটি পিক করে সবচে নমিনাল এলিমেন্টটারে, যেইখানে ইউনিকনেস ক্লেইম করা যায়। উই আর ডান উইথ আওয়ারসেলফস। সো, একজনই আছে, শি। সামনের দিকে তাকায়া পিছনে হাঁটতে থাকি আমি। তেমন সমস্যা হয় না আসলে। বস্তার ভিতর দুই পা ঢুকাইয়া ব্যাঙের মতো লাফাইতেছে শি। আমি দেখতেছি। কুয়াশায় কিছুটা ঝাপসা লাগে। এখনো সন্ধ্যা আবার? একটা দিনের ভিতর কয়বার সন্ধ্যা হয়? ট্রাফিক জ্যাম কি আজকে ভাল্লাগতেছে? বুকার প্রাইজ পাওয়া বইয়ের পাইরেট কপিটা যদি তোমার গাড়ির জানালায় ধরি তুমি কি কিনতে পারো? পড়বা বইলা না, ধরো তুমি উদাস, ভাল্লাগতেছে না, কারো সাথে কথা বলাই যায়, এইরকম। আর সাথে সাথে ধূলা-বালি যত ঘিইরা ধরলো। ধরো, ৫০ টাকার নেগোশিয়েশন শেষ হইতে না হইতেই সিগন্যাল ছাইড়া দিলো। নীল গাড়ির ড্রাইভার সে। প্রাইড আছে। চইলা গেলো। পরের দিন মেবি দেখা হবে। পরের দিন। পরের দিন। পরের দিন। ধরো, মরার পরেও তো আছে পরের দিন। কয়েকটা পরের দিন পার হইলেই মনে হবে, মারা গেছি। কবরের ঘাসে বাতাস। পাকুড় বটের কাছে গোদারা ঘাটের কিনারে সন্ধ্যাবেলায়, আমি ভাবতেছিলাম, সবকিছুই কিরকম শেষ হয়         হঠাৎ।

 

শীতের সকাল

অনেকদিন পরে একটা নরমাল সকাল। ব্ল্যাকবেরি জেলি দিয়া দুইটা টোটেস্ট ব্রেড আর একটা ডিমভাজি খাইলাম। ব্ল্যাকবেরির জেলিটা আমার পছন্দের (ব্রান্ডের নামটা Smucker’s মনেহয়, সুগারফ্রি), ডিমটা হাফ-বয়েল হইলে মেবি আরো ভাল্লাগতো, যেইটার ডিমভাব পুরাপুরি শেষ হয় নাই। এইরকম সকাল ভালো। ভালো হইতো পুরাটা দিন যদি ঘুমাইয়া থাকা যাইতো। মেবি কফি খাওয়ার পরে এইরকম মনে হবে না আর। হলিডে সিজন বইলা এইরকম মনে হইতেছে। আরো যা যা কিছু মনে হবে সেইটাও লিইখা ফেলা যাবে। লিখছি বইলা কোনএকদিন আবার মনেও হইতে পারে। তখনো মেবি ভালোই লাগবে শীতের সকাল, একটু একটু রোদ উঠতেছে… জানালা থিকা চোখ সরায়া আমি ল্যাপটপের স্ক্রীণের দিকেই তাকায়া আছি…

 

মাস্টারবেশন

ঝির ঝির ফিরা আসলো টিভির স্ক্রীনে আবার
এন্টেনার বাঁশটা ভিজা ছিলো বৃষ্টিতে

রোদ উঠার পর, আবারো ঝাঁকাইতে থাকলাম…

 

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫

“কাঁকড়ার মতো এই সন্ধ্যা,
ভিজা মাটিতে শক্ত পা ফেইলা
উঠে আসতেছে, পানি থিকা…”

“তোমার পন্ডিতি বাল আর ভাল্লাগে না!”

বলতেছিল দিনের আলো,
সরে যাইতে গিয়া।

 

Leave a Reply