বাচ্চামি ইজ লাভ! Crazy, Stupid, Love.

সিনামাটা দেইখা মজা পাইছি। শেষদিকে, স্টিভ ক্যারল যখন ভাষণটা দিতে যায় স্কুলের স্টেইজে তার পোলারে থামাইয়া দিয়া, তখন তার পোলার ফিমেইল স্কুল-টিচার যে মিডল ফিঙ্গার দেখায়, ব্যাপারটা অসাম! শে হইলো ট্রাডিশন্যাল অডিয়েন্স কারেক্টার। কারণ শে তখনো বিলিভ করে যে, স্টিভ ক্যারল একটা চিটার; তার সাথে চিট করার পরে এখন লাভ নিয়া কথা কইতে আইছে! আমাদের নিজেদের এক্সপেরিয়েন্স দিয়াই আমরা অন্যরে ভাইবা ফেলতে পারতেছি।

আমাদের কথা-বার্তার বা চিন্তা-ভাবনার সেন্টার পয়েন্ট সবসময় আমরাই, আমাদের সাথে যা যা কিছু ঘটতেছে। যেমন, জুলিয়ান মোর যখন গাড়ি চালাইতে চালাইতে স্টিভ ক্যারল’রে তাঁর ফ্লিঙ-এর কথা কইতে থাকেন, তখন স্টিভ তো শুনতে চান না, কারণ সেইটা খালি জুলিয়ানের সাথেই ঘটে নাই, শোনার ভিতর দিয়া স্টিভরেও এইটার ভিতর দিয়া যাইতে হইতেছে… যে শুনতেছে, যে দেখতেছে, সে সেন্টার হয়া উঠতেছে। এইটার ভিতর দিয়া স্টিভ যাইতে চায় না আর, কয় যে, গাড়ি থিকা লাফ দিয়া নাইমা যাইবো সে; আর যায়ও। বাচ্চামি’টা করে। প্রমাণ করতে পারে যে, সে প্রেমের ভিতরেই আছে।  

লাস্ট ভাষণে গিয়াও বুঝাইতে পারে যে, শিট হ্যাপেনস; কিন্তু লাইগা থাকতে হবে। এই যে লাইগা থাকতে হবে, এইটা আবার তারে শিখায় তার ১৩ বছরের পোলাই। প্রেম তো আসলে বাচ্চাদেরই জিনিস। বাচ্চা বয়সে না হইলে (স্টিভ ক্যারল আর জুলিয়ান মুর-এর ১৫ বছর বয়সে হইছিল) আর হইতে পারে না বা আপনি বাচ্চা হইতে রাজি না হইলে। এইটা হয় না যে তা না। হয়। 

কিন্তু মাইয়াদেরকে বাচ্চা বানাইতে বানাইতে ক্লান্ত লাগে রায়ান গসলিংয়ের, সে নিজেও তো বাচ্চা হইতে চায়। এমা স্টোনের কাছে এইটা সে হইতে পারে আবার। মানে, একজন সৌলমেট যে থাকতেই পারে এইটা ঘটনা না, ঘটনা হইলো, এই এক্সপেরিয়েন্সের ভিতর দিয়া আপনি যাইতেই পারেন। তারপরে কইলেন, শিট হ্যাপেনস!  

এই চালাকি’টা একটা বাজে জিনিসই আর কি!

কিন্তু বিটুইন রিয়েল আর ফেইক এমন কোনকিছু নাই, যা আছে সেইটা একটা ধইরা নেয়া-ই। এমন একটা সিরিয়াসনেস যা বাচ্চামির ভিতরই রাখতে পারেন আপনি।

 

 

Leave a Reply