আমার কবিতা

 

আমার কবিতা কেউ লাইক করলেন
আমার কবিতা কেউ শেয়ার করলেন
আমার কবিতা কেউ ট্রান্সলেটও কইরা ফেললেন

দুই একজন কবি কমেন্ট করবেন করবেন কইরাও হয়তো আর কইরা উঠতে পারলেন না
আমার কবিতা কবিতা হয়া উঠতে থাকলো

যেহেতু আমার কবিতা
তাই আমারেই লিখতে হইলো –
কি যে ফাউল কাজ এই কবিতা লেখা!

আর লিখতে লিখতেই পেট মোটা একটা চাঁদের ভিতর থিকা
আরেকটা মুনের রেখা বাইর হইলো

চুদতে চুদতে বাল ধোন ব্যাথা-ই শুরু হয়া গেলো…
সেও নেতাইয়া পড়লো

একটা রাত জাইগা থাকার ভিতর
ধীরে ধীরে আসতেছে ভোর

অগাধ অন্ধকারের ভিতর
দুই হাত ফেলে রেখে বইসা থাকলাম
ভাবলাম,
কবিতা লিখবো বইলাই বইসা আছে কেউ

আমার কবিতা লেখা শেষ করছি কয়েক মাস আগে

এখন দেখতেছি কারা কারা কবিতা লিখছিলো
কারা কারা কি কি কবিতা লিখে

কারো কবিতা লাইক করা যায় কিনা
কারো কবিতা শেয়ারও করলাম
কারো কবিতা ইচ্ছা হইলে ট্রান্সলেটও করলাম

কারো কারো কবিতা আমার কবিতা-ই হয়া উঠতেছে তো

এইজন্য আমার কবিতা আমার আর না লিখলেও হয়
হইতেছে বইলা

বসে আছি

ভাবতেছি

কবিতা লেখা বা না-লেখা এমনকিছু না যে
লিখতেই হয়

একবার লিখলাম আর কুমীরের বাচ্চারে আমি শেয়াল হয়া দেখাইতে থাকলাম

যে দেখে
সেও কুমীর হয় তো
অনেক দিন দেখে না বইলা
অনেক অনেক দিনের পুরানো বাচ্চারে অনেক অনেক অন্য রকম মনে হয়
আর ভাবতে পারে এ তো ওর মতো
আর ও এর মতো

যেইদিন শব্দগুলি
উড়ে যায়
সাবানের ফেনার মতো
বুবুদ্ব উড়ায়

কতো হিংসার কথা আমি বলে গেছিলাম
কতোবার বলতে গিয়া থাইমা গেছি
না-বলতে পারাগুলি
তারাও ভাইসা আসছে

কিলবিল করতেছে একটা পানির ফোঁটার ভিতর একটা জীবাণু

তড়পাইতেছে

ভোরের শিশিরকণা
আর্লি শীতকালে
দেখবো না?

কবিতা তাইলে কি নিয়া লিখবো

এত এত দূর থিকা
আসতেছিলো বাতাস

বলতেছিলো, কি দরকার!

আমি নুয়ে পড়তেছিলাম আরো

আরো কিছু লাইক জোগাড় করা গেলে নাহয়
বেচতাম;
আরো কয়েকটা ক্লোজ রিলেশনশীপ
আরো কয়েকজন মানুষ
হাত তুলে দিলো
নমস্কার, বিদায়…

এইসবকিছু কইলো

তখন জমলো কিছু বেদনার আতাফল

তাঁদের নরোম বোটায় হাত রাইখা
যে কবিতাগুলি লিখলো যাঁরা
তাঁরা ঘুমাইলো আবার

আর দেখলো আমার কবিতা বইলা একটাকিছু
স্বপ্নে দিতেছে পাহারা

আর শেষে কবিতাগুলি সবার তলপেটে জমতে জমতে
সকালের পেশাব হয়া বাইর হয়া গেলো

টয়লেটে দেখা গেলো
পানি ঘোলাটে কিছুটা

কি কি জানি মিনিং ছিলো…

এইভাবে শব্দে, উচ্চারণে, হিস হিস আওয়াজে
আলাপের ভিতর
কবিতা বাইর হইতে থাকলো

কেউ কেউ তো বলতেই পারে,
এই যে বাল আবার আসছেন
নমস্কার, বিদায়…

মুন বিষয়ে গদ্য লিখেন এখন
সকালবেলার আলো

নরকের ভিতর পচতেছে শব্দ

ঢেঁকুড় উঠতেছে না এখনো

আর যে ছিলো, যাঁরা
আইডেন্টি ক্রাইসিসে হারাইয়াই কি গেলো?

তাঁরা ঠিকই তো চিনে রোড
তাই ফিরা আসবে

আমারে ল্যাঙ মাইরা আমার কবিতা বইলা
বুক ফুলাবে; মানে, স্তন উঁচা করবো
আর তখনই ধোন ফিরা আসবো আবার
ফোরপ্লে’তে জাইগা উঠবে সবাই

কে যে কারে চুষতেছে জানাই যাবে না

কে যে কখোন আসছিলো

ভালো যে বাসছিলো

সেই কথা থাকবে মনে

মনের ভিতর আরেকটা মন প্রিপেয়ার হইতে থাকবে

খালি কবিতা লিখার লাইগাই জেলে যাওয়া টাফ হয়া যাইতেছে তো দিন দিন

তাই কি আর করা?

আমার কবিতা আইসা জিগায় আমার কবিতারই কানে কানে

মেকি কবিতার চাইতে মকারি কবিতা লেখাই কি ভালো তাইলে?

আমার কবিতা আমার কবিতা বইলা
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মের পিগগুলা নিজেরাই নিজেদেরকে দড়িতে ঝুলাইতে থাকে
অটো স্লাইস হয়া আসে
ভেজেটেরিয়ান রোদে

এখন সকাল হইতেছে
এখন ঘাসেরা উঠতেছে জেগে

কোন রকম নৈতিকতা ছাড়াই একটা সাপ ময়লা পানিতে
ঘুরতেছে
ভাবতেছে ঘুরতে ঘুরতেই একদিন একটা মেরুদন্ড খাড়া কইরা ফেলতে পারবো তো
আমি!

তখন আমার কবিতা আমি লিখতেই পারি
এখনো পসিবল
ইচ্ছা করে না আর কি…
বলে সে হাসবে একটা শাই হাসি

তখন তারে ইচ্ছা করবে কোলে নিয়া আদর কইরা দেই একটু

কবিতা লেখা বাদ দিয়া আমি তারেই দেখবো

এতোটাই ভাল্লগবো যে
আমার মেমোরি স্ক্রিপ্টে যাঁর যেই রোল যে চাইছিল
সেইটাই দিয়া দিবো;
আমার কবিতা তোমরা যে যাঁর মতো লিইখা ফেলো!

ওরাও হাসবে
লিখবে না আর কোন কবিতা তখন

তারপর
কোন একদিন


নে

দি

পরেএএএএএ

মনে হবে
আরে লেখাই তো যাইতো
লিখলাম না বইলা কতো কিছু রয়া গেলো
আর লিখতে লিখতেই তো
কতকিছু ভুইলা গেলাম,
ভুলতে যে পারতেছিলাম
উইথ আওয়ার অউন ফিল্টার
তখন
মনে হইলো
এইটুক খারাপ-লাগা যদি না-ই থাকতো
তাইলে কি আর আমরা
কবিতা লিখতে পারতাম!

ডাউন ডাউন ডাউন
ইন অ্যা স্মল টাউন

আমরা ডিম পাড়তেছিলাম

হাঁসগুলি প্যাক প্যাক
না কইরাই বইসা ছিলেন

হৃদয়ে হইতেছিলো
কোন এক ক্র্যাক-ডাউন

অউন ফার্মহাউসে
আমরা চলে যাওয়ার কথাও ভাবতেছিলাম

আচানক এক প্রজাপতি
একটা ফড়িং
একটা ফুলের ছবি
বেগুনের খেতে
তুলে ফেললাম

আর ভাবলাম

কি ভুল-ই না আমরা করতেছিলাম

নিজেরে বাঁচাইয়া নিয়া
কই যে চললাম

চলে যাওয়ার তো শেষ নাই কোন

চলে যে যাইতে পারা যায়
এই কথা জাইনাই আমরা
চুপচাপ ছিলাম

জগতের লোভের ভিতর
ফুস্কুরি জাগাইতে ছিলাম

নিরব পদ্মফুল
নিরব বইলাই কথা কইতেছিল
সকালবেলায়

কি কথা সেইটা আর জিগায় নাই

একই তো জিনিস
একই তো সেই থ্রেড পসিবিলিটির

তাই বইসা বইসা দেখতেছিলাম

একটা পাতারে একটু বাতাস কি কইরা নাচায়

আর রোদের ভিতর ভেসে উঠতে থাকে
সেই সিন

সেই সকালবেলাতেই মনেহয়
কেন যে রাত
জেগে থাকতে গেছিলাম
এইসব ইল্যুশনের ভিতর
নিজের গোপন করতে গিয়া
নিজ’রেই রিফ্লেক্ট করতে থাকলাম
আর
যা নিজেরেও বলতে পারে নাই

এইরকম একটা ধাঁধাঁ
বানাইতে গিয়া দেখলাম

মাঠের ওই পারে কেউ একজন
বইসা আছে বইলাই
ভাবতেছিলাম
সারাক্ষণ

অথচ একটাই মোমেন্ট
সবকিছু
ইনভিসিবল
যেন দুপুরবেলায়
হঠাৎ সূর্যগ্রহণ
রাত হয়ে আসতে আসতে
নিভে যাইতেছে টিনের ঘরের চাল
থক থক কাদার নিচে
চাপা পড়ে যাইতেছে
সবদৃশ্য

একটা সূর্যগ্রহণের পরে
যেন সবকিছু আবার
নতুন।

আবার শুরু হইলো দিন
আবার একটা রাত
আমি আর কোনকিছু না ভাইবাই
শুইয়া পড়লাম

কিছু তো লিখি নাই আমি
আমার কবিতা আমি হইয়াই ছিলাম

যখন মরার টাইম হইলো
বুঝতে পারলাম
এনাফ ছবি-টবি তোলা হয় নাই তো
এনাফ গানের সাথে তাল মিলাই নাই

সো, সবকিছু বাদ

আমি ভাবলাম আবার নতুন কইরাই শুরু করবো
আমি বললামও যে ভাই এইটা হয় নাই
এখন নতুন কিছু, ঠিকাছে?

দেখি যে ভাই আর নাই কেউ
ছিলো না বইনও কোন
নদীর পারে হাঁটতেছিলেন যিনি
কইলেন, বুঝছি আপনার অবস্থা
আমি এখন যাই…

আমার কবিতা বইলা শেষমেশ
আমার-ই থাকতে হয়
আমি না থাকতে থাকতেই
থাকতে থাকি
আমার কবিতা তো
একটা আমি’র থাকা লাগে

এইভাবে নিজেরে বুঝাই
পারা যায় না যদিও

কিছু লাইক আসতে তো পারে
কিছু শেয়ার
আর কেউ ধরেন
ট্রান্সলেটই কইরা ফেললো

আমার কবিতা তখন শিস দিয়া হাঁটতে হাঁটতে
কই যে কই যে
চইলা যাইতে থাকলো…

যাইতে পারে তো!

Leave a Reply