সেক্স-রোবট

অনলাইনে বা প্রাকটিক্যাল লাইফেও যেইসব মানুষদেরকে সেক্স-রোবট হিসাবে পারফর্ম করতে হয় সেক্স-রোবট বানানো শুরু হইলে উনাদের মেশিন হওয়ার নেসেসিটি কইমা আসবে বা কমপিট করা লাগবে মেশিনের সাথেই, তখন মোর ‘মানুষ’ হওয়ার অপারচুনেটি বাড়তে পারে উনাদের; যদিও এই কারণে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা’ কমার কথা না। বরং ‘রিয়ালিটি’র একটা নিশ অর্গানিক মার্কেট তৈরি হইতে পারে। এনাফ ডিমান্ড তৈরি হওয়ার পরে পুরুষ সেক্স-রোবটও বানানো হবে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ম্যান-এর মতো। দেখেন, আমরা (মানে, হিউম্যান এগজিসটেন্স) হইলাম ডিজায়ার প্রডাক্ট; ব্যাপারটা এইরকম না যে আমরা ডিজায়ার বানাই, ডিজায়ারই আমাদের এগজিসটেন্সরে মিনিংফুল করতে পারে।

এথিকসওলাদেরও আর্গুমেন্ট এইটা যে, এই সেক্স-রোবটগুলি আমাদের ডিজায়ারের লেভেলে আসতে পারে নাই। মানুষও তো একদিনে মানুষ হয় নাই, ধীরে ধীরে সেক্স-রোবটরাও ফোরপ্লে করতে শিখবে। Continue reading

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির ঘটনা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা, বিশেষ করে ‘আমাদের’ জন্যে, যারা বাংলাদেশের জনগন, যারা দরিদ্র না হৈয়াও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত, তাদের প্রতিনিধিত্ব করি, তাদের জন্য; এমনকি অন্য অনেকের জন্যেই। আমার ধারণা প্রায় সবাই সেইটা অনুধাবন করতে পারতেছেন, এইটা নিয়া সংশয়ের কিছু নাই। এই ঘটনা অনেককিছুকে সিগনিফাই করে, অনেকগুলি বিষয়কে স্পষ্ট করে বলে। এই ঘটনাকে ইগনোর করার, ছোট করার কিছু নাই। এর তাৎপর্য বহুবিধ।

সবচেয়ে প্রথমে মনে হৈছে যে, কিছুদিন আগে যেমনটা কথা হচ্ছিল যে, ‘আমরা’ কী করি না করি বা কী ভাবি না ভাবি তা দিয়া ‘পশ্চিমাদের’ কিছু যায় আসে না; কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, এইটা সত্যি না। এইখানে চলমান ঘটনাসমুহে ‘পশ্চিমাদের’ আগ্রহ আছে, এক ধরণের সম্পৃত্ততা তারা অনুভব করেন বা চান; অর্থাৎ ‘আমরা’ আর বিচ্ছিন্ন কোন অস্তিত্ব না, পুঁজির সামগ্রিক চিন্তার অংশীদার ।

Continue reading