‘কিছু মায়া রহিয়া গেলো’

 

য়্যু আর অ্যা বাস্টার্ড, য়্যু নো দ্যাট!

শে কাইন্দা-কাইটা বলে।

আমি ভাবি, তার ভাবনা ভুলও ত হইতে পারে।

 

 

১.

–    লেটস ডু ইট স্ট্রেইট। শে কইলো।

–    কেন তোমার কি হাঁটুতে সমস্যা হচ্ছে? আমি জিজ্ঞাসা করি।

–    না, আমি তোমার চোখটা দেখতে চাই। দেখতে চাই তুমি কার কথা ভাবো? আকুল হয়া বলে শে।

আয়নার ভিতর আমি হাসার চেষ্টা করি।

–    হাসির ভিতর নিজেরে লুকাইয়ো না। শে সিরিয়াস।

–    লেটস ডু ইট স্ট্রেইট দ্যান। আমি তার কথাই বলি।

 

২.

‘তাইলে কী দেখলা তুমি?’ – আমি জিগাইলাম শেষে।

শে চুপ কইরা থাকলো। আমি সিগ্রেট ধরাইলাম। সিগ্রেটের গন্ধ তাঁর অপছন্দ। শে শরীরটারে ঘুরাইলো। তখনই প্রথম আমি তাঁর পিঠের তিলটা দেখতে পাইলাম। বাম কাঁধের একটু নিচে। কালো ছোট একটা বিন্দু। চামড়ার মধ্যে কিছুটা উঁচা, না ছুঁইলে বোঝা যায় না। একবার ইচ্ছা করলো সিগ্রেট দিয়া জায়গাটা ছুঁইয়া দেই। আমার এই প্রেম তারে ব্যথা দিতে পারে এই কারণে ভাবলাম যে, না, ঠোঁট রাখি। সিগ্রেট রাখলে যে ব্যথা পাইতো, তার বদলে আদর কইরা দিলাম যেন, এইরকম। ঠোঁট রাখার ভাবনার পরে মনে হইলো, দাঁত দিয়া একটা কামড় দেই, যেন খাইতে চাই ছোট্ট একটা তিল। লুচির মধ্যে কালোজিরা যেইরকম তার গন্ধ নিয়া থাকে, শরীরের তিলে তা নাই, একটা মৃদুচিহ্নই খালি।

এইটা যে শরীর, পিঠ; তারে সিগনিফাই কইরা রাখছে এই তিল। পুকুরের মধ্যে প্রাণভোমরা, দৈত্যের। আমি খুঁজতে খুঁজতে সারা শরীর ঘুইরা পিঠে গিয়া তারে পাইছি। এখন তারে চামড়ার খোলস থিকা মুক্ত করি, তাইলে কেউ না কেউ হয়তো মুক্তি পাবে। শে। অথবা আমি। তিলটাতে আমি হাত রাখতে চাই। আমি কি ছুঁইবো তারে? কেমনে? কবে? তবে বেস্টওয়ে অবভিয়াসলি গডফাদার-এর রিপিটেশন; সিগারেটের ছাইটা জমতে জমতে একটা সময় টুপ কইরা গিয়া পড়লো তিলটার ওপর। সিনেমাতে ইমেজটা পুরা ভচকাইয়া গেছে। দেয়ার শ্যুড বি এটলিস্ট একটা তিল এবং মাইকেল কর্লিয়নির হাতে-ধরা সিগ্রেটের ছাইটা কে অ্যাডামসের পিঠের তিলে পড়তেছে। ক্যান বি সাডেন, ইনসিগনিফিকেন্ট, কয়েক সেকেন্ডের একটা ব্যাপার। কারণ আর্টের ঘটনাটাই হইলো সাডেন একটা মোমেন্টের ডিটেইলিংরে দেখা এবং এড়াইয়া যাওয়ার জায়গাটাতে আসলে। Continue reading