ম্যালিস পইড়া অবাক হইছিলাম ফার্স্ট চ্যাপ্টারেই; আরে, এইরকম স্ট্রেইট কেন, এইটাই কি চাইতেছেন রাইটার? পয়লা চ্যাপ্টারেই সবকিছু বইলা দিতেছে! সব রহস্য শেষ হয়া যাইতেছে, এইটা কি রকমের থ্রিলার! একটু অস্বস্তিও হইতেছিল, রাইটার তো না, একটা কারেক্টার বলতেছেন। এই রাইটার এবং কারেক্টারের ডিফরেন্স ক্লিয়ার হইছে আরো পরে। যখন আপনি রাইটার (রাইটারও তো একটা কারেক্টারই – এই ভেদবুদ্ধি এইখানে এক্সপ্লোর হইছে আসলে) তখন আপনি নিজেরেই সার্ভ করতে থাকবেন। এইটা খুব ইম্পসিবল একটা ব্যাপার নিজেরে সেইভ না কইরা লিখতে পারাটা। কারেক্টারটা রাইটারের ইন্সটিংক্ট নিয়াই ছিল আর খুব খেয়াল না করলে আপনার চমকাইয়া উঠার কথা কি কি জিনিস সে হাইড করতেছিল বা কিভাবে সে নিজেরে সাজাইতেছিল। বিশেষ কইরা, হাইড করতে পারাটাই যখন আমাদের দেশে সাহিত্য, তখন এই বই পড়াটা আরো বেশি মজার।
হাইড করার ঘটনাটা খুব ইন্টারেস্টিং ওয়েতে ঘটে। প্রথমে আপনি কাহিনিটারে বানায়া নিবেন। ওই অনুযায়ী ঘটনাগুলিরে বলবেন। ঘটনা তো ঘটতেই থাকে, কিন্তু আপনি সাজাইয়া ফেলবেন। যেই জায়গাটারে কন্ট্রোল করবেন সেইটা হইলো কই কই নিজেরে ইনসার্ট করবেন আর কই কই উইথড্র করবেন। বাকি সবকিছু থাকবে; ফ্যাক্ট, এভিডেন্সগুলি যতো কম নড়চড় করা যায়, তত ভালো। তারপরও কিছু তো করতেই পারেন, কারণ আপনি জানেন রিডারের আসলে এতো টাইম নাই খুঁইজা খুঁইজা আপনারে বাইর করার। সো, এইটুক চাতুরি করাটা জায়েজ বইলাই আপনি ভাবতে পারেন। কিন্তু মুশকিল হইলো এই বইটা তো থ্রিলার, ডিটেকটিভ আছেন একজন, রিডারের বদলে; যার ফলে জিনিসগুলি রিভিল হইতে হয়।
খুন তো হয়, কে করছে সেইটাও জানা যায়; মানে সেও জানাইতেই চায়। কিন্তু কেন? সেইটার উত্তর আর পাওয়া যায় না। লেখকের কাজ অনেকটা একজন ডিডেকটিভের মতোই – পড়তে পড়তে মনে হইতেছিল। উপরচালাকি কইরা পার পাওয়া যায় না। খুঁটাইয়া খুঁটাইয়া কতকিছু করতে হয়, পরে দেখা যায় সবই বাতিল মাল। কোন একটা ছোট্ট জিনিস কাজে লাইগা যায়। আর যেইটা পাওয়া যায় সেইটা ঠিক বলার মতো কোন জিনিসও না। বেশ পুরাতন। ঝাপসা একটা স্মৃতির মতোন। খচখচ করতে থাকে। তেমন ইর্ম্পটেন্ট না, কিন্তু না-থাকার মতো থাকতে থাকে। এই থাকার লাইগা খুনও করতে পারেন আপনি। ইন ফ্যাক্ট, এইরকম একটা জিনিসের জন্যই খুন করা যায় আসলে। জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলাই বড়; বড় বইলা যা আছে, তাও ছোটই।
Leave a Reply