এইরকম একটা টেনডেন্সি আছে যখন আমি কোনকিছুরে মকারি করতে পারলাম, তখন তার গুরুত্ব আর নাই! কোন টেক্সটরে চিন্তার দিক থিকা বা তার সাহিত্য-মূল্যরে জিরো কইরা দিতে পারলাম। যেমন ধরেন, শামসুর রাহমান-এর কবিতার বইয়ের নাম – আমি অনাহারী; কেউ একজন কইলেন খুলে ফ্যাল (বানানে ‘য-ফলা’ দিয়া উচ্চারণটারে ক্রিটিক্যাল করা লাগবে) তোর শাড়ি! আনিসুল হক তার উপন্যাসের নাম রাখলেন ভালোবাসো, বাঁচো; কেউ একজন কইলেন, ভালোবাসো, খেঁচো! দিস আর দ্য থিংকস।
মানে, শামসুর রাহমান বা আনিসুল হক খুব ভালো কবিতা উপন্যাস লিখেন বা ব্যাপারটা খুব পবিত্র কিছু, এইসব নিয়া হাসি-ঠাট্টা করা যাইবো না, সেইটা না; বরং একটা জিনিস যেই জায়গটাতে ‘বাজে’ সেইটা না বইলা খালি মকারি করা সম্ভব বইলাই যে তারে বাতিল কইরা দেয়া যায়, এইটাই ঘটনা। এইটা এমন একটা গ্রাউন্ডে অপারেট করে যেইখানে তাদের ‘বাজে’ ধরণটা এস্কেইপের জায়গাটাই খালি খুঁইজা পায় না, রিপিটেটলি করতেও থাকতে পারে, কারণ মকারিই ত এইগুলা, সমালোচনা তো আর না! আর যারা এই ধরণের মকারি করেন তারাও ব্যাখ্যা না করতে পারাটারে এইভাবে এড়াইতে পারেন যে, এইটা নিয়া তো কথা বলার কিছু নাই, রায় ঘোষণা করেন, বাতিল! আর যারা রিসিভার এন্ডে থাকেন, তারা আরেকটু বেশি কইরাই হাসতে পারেন এবং ভাবতে পারেন যেহেতু মকারি করা যায় সেই কারণেই এরা বাতিল। এখন যে এমনেই বাতিল, তারে নিয়া আর কী কথা!
এই আর্ট-ক্রিটিক কোন কিছুরেই আসলে বাতিল করতে পারে না, একটা অথরিটি ক্রিয়েট করা ছাড়া। এই পদ্ধতিতে যেই সাহিত্য’রে আপনি বাতিল কইরা দিতে চান, সমালোচক হিসাবে আপনার কাজ হইলো তারে নিয়া মকারি করা। আর্টের মানে যেইরকম অস্পষ্টতা ক্রিয়েট করতে পারা, সমালোচনাও এইরকমই, পুরাটা বলার কি দরকার, আপনারে ঠারে ঠারে বুইঝা নিতে হবে, এই বুঝতে পারাটাই আর্ট এবং আর্ট-ক্রিটিক!
ইন ট্রু সেন্স, মকারি করতে পারাটাই আসলে সাহিত্য-সমালোচনা এখন, বাংলাদেশে। ব্যাপারটা কখনোই এইরকম না যে, মকারি করা যাইবো না; বরং মকারি করাটাই যখন সাহিত্য, তখন সাহিত্য সমালোচনা’তেও এইসবই থাকার কথা। অন্য আরেকভাবে দেখতে গেলে, এইটা বিষাদ-ভারাক্রান্ত সাহিত্য-রচনারই আরেকটা সাইড-অ্যাফেক্ট। আমাদের ব্যক্তিগত বেদনা এতোটাই বড় যে নিজেরে আর কনটেইন করতে পারতেছে না, এইজন্য বাতিলের রাস্তাতেই যাইতেছেন কবি ও ক্রিটিকেরা।
আমি সরি যে, কবি ও ক্রিটিক হিসাবে আমার মকারিটা ঠিকমতো হইলো না!
Leave a Reply